সাধারণত এখানে রক্তের প্লাটিলেটে বেড়ে যাওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে। মানব শরীরে যদি রক্তে থাকা ফ্ল্যাটেলে বেড়ে যায় তাহলে কোন কোন রোগের সম্ভাবনা রয়েছে এটা অনেকে জানতে চান। আজকে আমরা সেই বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জানাতে চাচ্ছি আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে জানার চেষ্টা করবেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্য। সাধারণত রক্তে যদি প্লাটিলেটের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে সবার প্রথমে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে সেটা হচ্ছে শিরা ও ধমনীতে রক্ত জমাট বাধা।
আমাদের শরীরের শিরা এবং ধমনীতে রক্ত চলাচল করে প্রতিনিয়ত এবং সেই ধমনী এবং ফিরাতে যদি কোথাও রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে তাহলে সেটা আমাদের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হতে পারে সেটা আসলে সকলেই আঁচ করতে পারছেন। এই ধরনের সমস্যার কারণে যেই রোগ হতে পারে তার মধ্যে কমন রোগ হচ্ছে স্ট্রোক হওয়া এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়া। ডঃ জামাত বেধে যাওয়ার থেকে ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারে যেটা আমরা সকলেই আজ করতে পারছি। সাধারণত এই প্লাটিলেট বেড়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে একটি পরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষায় যদি নয় লাখের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে ঔষধ খেতে হবে।
বর্তমান যুগে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এবং হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা যাওয়ার সব থেকে বেশি। তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে সে মানুষের কাতারে আপনি না পারেন এবং আগে থেকে সতর্ক অবস্থায় থেকে নিজের রক্তের প্লাটিলের নিয়ন্ত্রণে রাখেন যাতে করে কোন ধরনের সমস্যা আপনার না হয়। নিজে চলুন এ সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করি।
রক্তে প্লাটিলেট বাড়ার কারণ
রক্তে প্লাটিলেট কেন বাড়ে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন আজকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব কোন কোন খাবার খাওয়ার কারণে আপনার রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়তে পারে। সাধারণত কয়েক বছর ধরে ডাক্তারদের ভেতর বিভিন্ন মত দেখা যায় তা ডিলেট বাড়ার কারণে কিন্তু বড় কোন কারণ কেউ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি। কেউ কেউ বলে থাকেন পেঁপে খাবার ফলে রক্তে প্লাটিলের বেড়ে যায়।
কিন্তু শুধুমাত্র যে এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে প্রাঠিলের বেড়ে যায় তা নয় আরো কিছু রোগ আছে যেমন ডায়বেটিস হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস থাকার কারণে রক্তে প্লাটিলেট বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় ডায়াবেটিস হলে অনেকে করলা খান সেটা ডায়াবেটিসের জন্য ভালো দিক তবে বৈজ্ঞানিকভাবে আলাদাভাবে করলা খাওয়ার কোন ভালো দিক এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।
রক্তে ব্রাজিলের বেড়ে গেলে করণীয়
অবশ্যই প্লাটিলের সম্পর্কে কিছু তথ্য আছে যেগুলো ভুল ধারণা হিসেবে আমাদের সকলের মাঝে বিচরণ করছে আজকে আমরা এই প্লাটিলেটের সঠিক সুনির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা দিলে ব্রাজিলের কাউন্ট ২০ হাজারের নিচে নামলে অথবা রক্তক্ষরণ নেই কিন্তু প্লাটিলের 10000 এর নিচে নেমে গেছে তবে প্লাটিলেট দেওয়ার কথা ভাবা হয়। সাধারণত প্লাটিয়েট কমে যাওয়া মাত্রই রোগীদের রক্তক্ষরণ হয় হঠাৎ মারা যাবে বিষয়টি এরকম নয় শরীরে এক ধরনের হয় যেগুলোতে মারা যাওয়া সম্ভাবনা খুব কম থাকে।
ডেঙ্গু হলে প্ল্যাটিলে কত বা তা ঘন ঘন না দেখে রোগীর রক্তচাপ ঠিক আছে কিনা রোগের পানি শুন্যতায় ভুগছে কিনা রক্তের পিসিভি বা হেমাটোক্রেট কেমন তা দেখা উচিত কারণ এগুলো ওই জিনিসের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করতে হবে সব সময় রোগীর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
একজন চিকিৎসক হিসেবে সবথেকে বড় দায়িত্ব হল রোগের চিকিৎসা ও মনিটরিং ক্ষেত্রে হেমোটোক্রিট ভ্যালু ও রক্তচাপকে গুরুত্ব দিয়ে শিরায় নরমাল স্যালাইন দেওয়া। নরমাল স্যালাইনে কাজ না হলে কল অ্যাড সলিউশন দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ডেঙ্গুরে ন্যাশনাল গাইডলাইন সবার ফলো করা উচিত। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং ভুল তথ্য গুলো আমাদের মাঝে থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।