এটা এমন একটি উপাদান যেটা কোন ধরনের রোগ ছাড়াও বাড়তে পারে আবার কোন ধরনের বড় রোগের কারণেও হতে পারে। আজকে আমরা মানব শরীরের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং আলোচনা করব এর সঠিক বিষয়গুলো নিয়ে। কেন ESR বেড়ে যেতে পারে এবং সেটা বেড়ে গেলে আমাদের কি করা উচিত সে সম্পর্কে যারা কিছুই জানেন না তারা একটু ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গে থেকে জানুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আপনাদের আগে জানিয়ে রাখি সাধারণত শুধুমাত্র যে রোগের জন্য এই জিনিসটা বৃদ্ধি পাবে এমন নয় । অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে রোগীদের কোন ধরনের রোগ নেই কিন্তু যখন ইএসআর চেক করা হচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে যে ই এস আর বৃদ্ধি পেয়েছে। এটার পেছনে কোন রোগ নেই তবে কিছু কারণ আছে যার কারণে এমন হতে পারে তাই চলুন বিস্তারিত সম্পর্কে জানি।
ESR কোন রোগের কারণে বৃদ্ধি পায়
সাধারণত বেশকিছু রোগ আছে যেই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে যদি ইএসআর পরীক্ষা দেওয়া হয় তাহলে সেই ইএসআর পরীক্ষার মান বেশি হবে। সেই রোগগুলোর মধ্যে সবথেকে ওপরে রয়েছে যক্ষা। সাধারণত জব খায় আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসার জন্য সবথেকে মূল্যবান এবং সব থেকে জরুরী টেস্ট হচ্ছে ESR। আপনি যদি যক্ষা নিরাময় কেন্দ্রে যান তাহলে দেখবেন প্রত্যেকটি রোগীকে তার বুকের এক্সরে করতে বলা হয়েছে এবং তার পাশাপাশি থাকে একটি টেস্ট করতে বলা হয়েছে যার নাম ই এস আর। এই টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত ভাবে চিকিৎসকেরা বলতে পারেন একজন রোগীর যক্ষ্মা হয়েছে কিনা।
এর পাশাপাশি বাত জ্বর হলে একজন রোগীর ই এস আর বৃদ্ধি পেতে পারে। স্ক্রিনে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন বৃদ্ধি পেলে যদি এই টেস্ট করানো হয় তাহলে তখন এই টেস্টের মান বৃদ্ধি পেতে পারে স্বাভাবিকভাবে। হাড়ের কোন ইনফেকশন থাকে এরকম রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীদের যদি ইএসআর টেস্ট করানো হয় তাহলে দেখবেন সেখানে ই এস আর এর মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এলার্জিক ইনফেকশন আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও যদি ই এস আর পরীক্ষা করা হয় তাহলে সেই মুহূর্তে ই এস আর এর মান অনেক বেশি থাকবে বলে প্রমাণিত হয়েছে বারবার। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতার কারণে ও ই এস আর বৃদ্ধি পেতে পারে। কিছু বড় ধরনের রোগ যেমন থাইরয়েড ডিজিজ আবার কিডনি ডিজিস এই ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য রক্তে ই এস আর এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। এছাড়াও অটো ইমিউনি ডিজিজ আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে একই বিষয় হতে পারে।
ESR কেন বৃদ্ধি পায়
তবে কিছু স্বাভাবিক কারণ আছে যে কারণগুলো কোন ধরনের রোগ ছাড়াই আপনার রক্তে ই এস আর এর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। সেই কারণগুলোর মধ্যে প্রথম কারণ হচ্ছে বয়স। বয়স্ক রোগীদের জন্য এই জিনিসটা রক্তে বেশি থাকা একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সিতে যদি এই টেস্ট করানো হয় তাহলে রেজাল্টে বারবার ESR বেশি হবে। এছাড়াও ভিটামিন এথেরাপি চলছে এরকম রোগীদের জন্য একই জিনিস বা একই ঘটনা ঘটতে পারে।
ESR টেস্ট কিভাবে করাবো
সাধারণত এই টেস্ট করাতে হলে আপনাকে প্যাথলজিকাল ল্যাবে উপস্থিত হতে হবে। আপনার চাইলে সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মাধ্যমে এই টেস্ট করাতে পারেন চাইলে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মাধ্যমে এই টেস্ট করাতে পারেন। সিদ্ধান্ত সম্পন্ন আপনার হাতে যেকোনো একটি ল্যাবের মাধ্যমে আপনি এই টেস্ট করাতে পারেন শুধুমাত্র কয়েক ফোটা রক্তের মাধ্যমে। তবে সব সময় চেষ্টা করবেন ভালো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজগুলো করিয়ে নিতে যাতে করে সঠিক রোগ নির্ণয় হয়। টেস্টে যদি কোন ধরনের ভুল হয় তাহলে কোনভাবেই সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব নয় চিকিৎসকের পক্ষে।