টক্সিন কাকে বলে

এটা হচ্ছে একটি ইংরেজী শব্দ। টক্সিন কাকে বলে এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা খুব সহজে এবং সংক্ষেপে বলতে পারি যে এটা হচ্ছে একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ যা জীব ও জীব কোষের অভ্যন্তরে উৎপন্ন হয়। এছাড়াও আরো বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে টক্সিন হচ্ছে অধিবিশ যা উপবিস আর টক্সিক হচ্ছে বিষপূর্ণ বা বিষঘটিত।

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করব মানব শরীরে টক্সিন কিভাবে উৎপন্ন হয় এবং এই টক্সিন মানব শরীর থেকে দূর করার উপায় কি কি। এছাড়াও আমরা এটাও জানার চেষ্টা করব মানুষ হইলে টক্সিন এর পরিমাণ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় হয় তাহলে কোন কোন সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন আজকের তথ্য থেকে অনেক অজানা তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই প্রয়োজনীয়। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে দেহকে টক্সিন মুক্ত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

টক্সিসিটি কাকে বলে

আমরা উপরে খুব সুন্দর ভাবে একটি বাকে বর্ণনা করেছি যে সাধারণত জীব কোষের অভ্যন্তরে যে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয় সেটাকে টক্সিন বলা হয় এবং এ টক্সিনের প্রভাবে যদি কোন মানব শরীরে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেটাকে বলা হয় টক্সিসিটি। তার একটি বড় উদাহরণ হতে পারে এলার্জি। এই অবস্থাতে মানব শরীরে টক্সিন এর পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং এটা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে তার ইমিউনিটি সিস্টেমকে প্রতিহত করতে পারে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে নিজের সুবিধার্থে কাজে লাগাতে পারে। এ অবস্থাতে হঠাৎ করে মানব শরীরে এলার্জি জন্ম নেয় এবং এই এলার্জির কারণে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়।

শরীরে টক্সিন কিভাবে তৈরি হয়

শরীর টক্সিন কিভাবে আসে বা কিভাবে উৎপন্ন হয় এটা অনেকেই বুঝতে পারে না। বর্তমান আধুনিক বিশ্ব হচ্ছে তার একটি বড় উদাহরণ যেখানে প্রত্যেকটি ধাপে এবং প্রত্যেকটি পর্যায়ে আমরা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে টক্সিন উৎপাদন করছি যা আমাদের শরীরকে খারাপ করতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখছে। ক্ষুধা লাগলে আমরা যখন খাবার খাই তখন আমরা একটু ভেবে দেখি না সেই খাবারের সঙ্গে আমরা কি খাচ্ছি। প্রথমত আমরা খাচ্ছি পচা বাঁশি খাবার আবার অনেকের ক্ষেত্রে বাইরের অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাবার অভ্যাস আছে। বাড়িতেও ভালো খাবার খাবার ব্যবস্থা নেই তার কারণ হচ্ছে বাড়িতে আমরা ফ্রিজে রেখে যে খাবার গুলো খাই সেখানে প্রচুর পরিমাণে খারাপ ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন হয়।

এছাড়াও ভেজাল তেল ভেজাল মসলা মশলা তে রং এই ধরনের সমস্যার কারণে প্রচুর পরিমাণে খারাপ পদার্থ আমরা খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করছি যা আমাদের শরীরের কোষে টক্সিন উৎপাদন করতে সাহায্য করছে। এগুলো শরীরে প্রবেশ করার পরে কোষে প্রবেশ করে বিষাক্ত পদার্থের মাধ্যমে টক্সিন উৎপাদন করে যেটা আমরা বুঝতে পারি না।

এছাড়াও বাতাসে যে অক্সিজেন আছে সেই অক্সিজেনের সঙ্গে কিছু বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে রক্তে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে কোষে প্রবেশ করে এবং কোষে যাওয়ার পরে সেখান থেকে টক্সিন উৎপাদন করে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ। এছাড়াও আরো বহু কারণে আমাদের শরীরে টক্সিন উৎপাদন হতে পারে যেমন ক্ষতিকারক ভিউটি প্রডাক্ট থেকে শুরু করে ক্ষতিকারক সব ভেজাল ক্রিম ইত্যাদি থেকে আমাদের শরীরে টক্সিন তৈরি হতে পারে।

টক্সিন দূর করার উপায়

আমাদের শরীর থেকে টক্সিন কমানোর মূল উপায় হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং একেবারে ভেজাল মুক্ত খাবার খাওয়া। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন খাবারগুলোকে বর্জন করতে হবে তরকারিতে যতটা সম্ভব কম তেল এবং যতটা সম্ভব কম মসলা দিয়ে রান্না করতে হবে। বাড়ির আশেপাশে আঙিনায় চাষ করতে হবে সবজির এবং সেই সবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। জীব প্রোটিনের উপর নির্ভরশীল না হয়ে চেষ্টা করতে হবে কোন কোন সবজিতে প্রোটিন আছে এবং ডাল যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।