বিভিন্ন সময় আমরা হয়তো বিভিন্ন জায়গাতে রক্তের প্লাজমা সম্পর্কে বিভিন্ন কথা শুনেছি ্ কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে আমরা হয়তো সেগুলো নিয়ে গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু আপনার যদি অবশ্যই জানার প্রয়োজন থাকে রক্তের প্লাজমা কি তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে একটু মনোযোগ দিলে আপনি সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। রক্তের বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে সেই উপাদান গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রক্তের প্লাজমা। সাধারণত খালি চোখে রক্তের এ প্লাজমা কে আলাদা করা যায় না তাই রক্তের এ প্লাজমা আলাদা করতে হলে বিভিন্ন বড় ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়।
সাধারণত আমাদের শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে এই প্লাজমা ব্যবহার করা হয় তাই যদি কোন ধরনের বড় সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে রক্ত থেকে প্লাসমা আলাদা করার প্রয়োজন পড়তেও পারে। তবে যাদের মাথায় এখন পর্যন্ত রক্তের প্লাজমা সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই তারা আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে সবার প্রথমে জানার চেষ্টা করুন রক্তে যে প্লাজমা থাকে সেটা কি এবং তার কাজ কি।
রক্তের প্লাজমা ও সিরাম এর মধ্যে পার্থক্য
সাধারণত রক্তে যে প্লাজমা থাকে সেটা কি বলতে বোঝানো হয়েছে রক্তের এই জলীয় অংশকে প্লাজমা বলা হয়। এই প্লাজমা তে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রক্ত কণিকা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটাকে বাংলাতে আমরা রক্তরসও বলতে পারি এবং এই প্লাজমার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটা হবে হালকা হলুদাপ ও তরল এবং এটাতে দেহের বিভিন্ন ধরনের রক্ত কোষ রয়েছে।
একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে মানবদেহের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগই হলো রক্ত তাই রক্ত রস এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এটাকে কোনভাবে অবহেলা করতে পারি না। প্লাজমা সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের আরও বিস্তারিত জানতে হবে এবং আমাদের এটাও বুঝতে হবে রক্তের যে প্লাজমা আছে তার সঙ্গে আর সিরামের সঙ্গে যে পার্থক্য সেটা কি। অনেকেই এই দুইটা জিনিসের পার্থক্যকে এক করে ফেলেন এবং এই দুইটা জিনিসকে এক করে ফেলেন যেটা একেবারেই ভুল।
সাধারণত স্বাভাবিক রক্তে যে জলীয় অংশ থাকে সেটাকেই প্লাসমা বলা হয় কিন্তু তার বিপরীতে রক্তে যে তন্দন পিণ্ড থেকে নিঃসৃত জলীয় অংশকে আমরা খুঁজে পাই সেটাকে বলা হয় সিরাম। প্লাজমা তে প্রচুর পরিমাণে রক্ত কণিকা এবং রক্ত কোষ থাকে কিন্তু এই সিরামে কোন ধরনের রক্ত কণিকা থাকে না এবং এটা সাধারণ অবস্থাতে দেহের মধ্যে থাকে না কিন্তু প্লাজমা রক্ত ভাই কার গহ্বর ও প্রকোষ্ঠের অবস্থান করে।
রক্তের প্লাজমার প্রয়োজনীয়তা কি
আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সাধারণত আমরা আপনাদের আগে জানিয়েছি যে এটা এমন এক ধরনের ত্বরণ যেটাতে পানির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ৯০ থেকে ৯৯% এবং এখানে দ্রবীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণ রয়েছে 8 থেকে 10%। এই ৮ থেকে ১০% এর মধ্যে কিছু রয়েছে জৈব আবার কিছু রয়েছে অজৈব এছাড়াও এখানে আরো অনেক ধরনের গ্যাস পাওয়া যেতে পারে।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের কাজ কি এটা আমরা অনেকেই জানিনা। আপনাদের কিছু কাজ সম্পর্কে ধারণা দেব যেমন মনে করুন এই ক্লাস মা সাধারণত পরিপাকের পর খাদ্য স্যার রক্ত দ্রবীভূত হয়ে দেহের বিভিন্ন টিস্যু ও অঙ্গে বহিত হয়। এরপর আবার টিস্যু থেকে যে বর্জ বের হয় সেই বর্জ্য পদার্থ রেচনের জন্য বৃক্কে নিয়ে যাওয়া হয় এই তরলের মাধ্যমে।
এই রক্ত রসের আরো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে টিছুর অধিকাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড বাই কার্বনেট রূপে দ্রবীভূত থাকে এখানে। কণিকায় সংবদ্ধ হওয়ার আগে অক্সিজেন প্রথমে রক্তরসেই দ্রবীভূত হয়। এবং রক্ত রসের মাধ্যমে হরমোনের পাশাপাশি এনজাইম ও লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বাহিত হয় যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের অম্ল ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই রক্ত রস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।