সাধারণত এনজাইম নানা ধরনের টিস্যু অথবা কোষ থেকে উৎপন্ন হতে পারে এবং এটা কিছু বহির করা গ্রন্থি হতেও।নিঃসরণ করতে পারে। যদি বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলতে হয় তাহলে বলতে হবে যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা জীব দেহের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট বিক্রিয়ার প্রভাবক হিসেবে কাজ করে তাকেই মূলত এনজাইম বলা হয়ে থাকে। সাধারণত বিক্রিয়া শেষে এই সকল পদার্থ নিঃশ্বাসিত হয় না এবং এরা আগের অবস্থায় ফেরত যায় অর্থাৎ এরা পরবর্তী বিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটির কাজ এবং এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সাধারণত আমাদের সৌরজন কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে। এতদিন ধরে আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ ভিজিট করছেন তাদের আবারও স্বাগতম জানাচ্ছি এবং নতুন এই তথ্য জানার জন্য অনুরোধ করছি।
এনজাইম কিভাবে কাজ করে
কেউ যদি জানতে চায় এনজাইমের সঠিক কাজ কি তাহলে অবশ্যই তাকে একটু ধৈর্য ধরে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিস্তারিতভাবে না জানতে চান তাহলে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনি জানতে পারবেন না আসলে সবকিছু শর্ট কটে হয় না এর জন্য প্রয়োজন সময়। যেকোনো ধরনের বিক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন শক্তি এবং এই শক্তি অর্জিত হতে বিভিন্ন ধরনের উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে।
মানব শরীরে অর্জিত শক্তি অনু গুলোর বন্ধনে ভাঙ্গন তৈরি হয় এর ফলে এনজিয়ামের কাজ সেই প্রয়োজনীয় শক্তির মাত্রাকে কমিয়ে নিয়ে আসা। এতে করে বিক্রিয়ার সময় শক্তির যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটা যেন কম হয় যার ফলে বিক্রিয়া করতে কম শক্তির প্রয়োজন হয় এবং খুব দ্রুত বিক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। উৎসেচক এই প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ কমানোর জন্য বিক্রিয়ার জন্য একটি বিকল্প চালু করে যার মাধ্যমে এই সক্রিয়করণ শক্তি সাধারন অবস্থা থেকে কম থাকে যার ফলে বিক্রিয়া সংঘটিত হয় এবং সম্পূর্ণ কাজটি এনজাইম ভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
এনজাইমের মাত্রা ঠিক রাখতে কি করতে হবে
আমাদের শরীরে হাজার হাজার উপাদান আছে সেই প্রত্যেকটি উপাদানের উপকার যেমন আছে এবং প্রয়োজনীয়তা ও তেমন আছে। সাধারণত আমরা যে অসুস্থ হয় সেটা যে কোন একটি উপাদানের ঘাটতিজনিত কারণেই হয়ে থাকে এবং আমাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই উপাদানগুলো ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আজকে আমরা কথা বলছি এনজাইম নিয়ে তাই আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এই এনজাইমের অভাবজনিত কি কি সমস্যা আমাদের শরীরে হতে পারে।সাধারণত এনজাইমের অভাবে মানুষের ল্যাকটোজ জাতীয় খাবার হজম করতে পারে না। অনেক সময় দেখা যায় যে এই জাতীয় সমস্যার কারণে ল্যাক্টোজেন ইল্টরারেঞ্জ এর দিকে ধাবিত হতে পারে।
এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এমাইলেজ এর অভাবে আমাদের শরীরে শর্করা জাতীয় খাবারের ভাঙতে অনেক বেশি সমস্যা হয় যার কারণে এই খাবারগুলো হজম হতে অনেক বেশি সমস্যা হয়। এছাড়াও প্রোটিয়াজের অভাবে দেখা যায় যে প্রোটিন জাতীয় খাবার ভাঙতে সমস্যা হয়। আমরা যখন প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় তখন এটা সঠিকভাবে হজম হতে পারে না যা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি সমস্যার কারণ হতে পারে।এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের অভাবও দেখা দিতে পারে এবং ইনসুলিনের অভাব ডায়াবেটিসের রূপান্তর হতে পারে যেটা বর্তমানে অনেক বড় একটি সমস্যা।
এনজাইমের অভাব হলে কি হয়
এই সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই আপনাকে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে যেন নিজের খাদ্যে নিয়মিত ফল ও সবুজ শাকসবজি থাকে। এছাড়াও সহজ পাচ্ছ আমিষ থেকে শুরু করে বাদাম ও নানা রকম বীজ নিয়মিত আপনাকে খেতে হবে আপনার খাবারের সঙ্গে। এছাড়াও ফার্মেন্টেড খাবার প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা আমাদের খোদা তন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তাই চেষ্টা করতে হবে এই খাবারগুলো সঠিকভাবে খেতে। আশা করছি এনজাইম সম্পর্কে যে ধারনাগুলো এতদিন আপনার মাথায় ছিল সেগুলোকে আরো বেশি প্রসিদ্ধ করতে আমাদের তথ্য গুলো অনেক কাজে আসবে।