ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট কি

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট বলতে এমন একটি উপাদানকে বোঝানো হয়েছে যেটা আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা এবং সেই উপাদানের নাম হচ্ছে ইন্সুলিন। এটা সাধারণত আমাদের মাংসপেশিতে থাকে এবং মাংসপেশিতে থাকার পরে যখন প্রয়োজন হয় তখন আমাদের শরীরে থাকা দুটি হরমোনের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে এটা আমাদের শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি বড় ভূমিকা পালন করে। তবে এটা যদি শরীরে ঘাটতি থাকে তাহলে অনেক কষ্ট করতে হয় রোগীকে এবং ঘাটতি হয় সেই সকল রোগীদের বেশি যাদের ডায়াবেটিস আছে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজনীয়তা বেশি রয়েছে তার কারণ হচ্ছে এমনিতে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং শরীরের যদি শর্করা জাতীয় জিনিসের মজুদ নিয়ন্ত্রিত না থাকে তাহলে অবশ্যই সে ডায়াবেটিস আরো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস আর মাথায় রাখতে হবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট যতদিন না থাকে তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তাই নিয়মিত অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করাতে হবে।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট কেন হয়

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট করার ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যে পরিমাণ ইনসুলিন দিচ্ছেন সেটা আপনার জন্য সঠিক কিনা। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন বাজারে রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন এর ব্যবহার বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করা করে থাকেন রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দেখা যায় যে পাশাপাশি প্রায় একই ধরনের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিন ভিন্ন তার কারণ হচ্ছে ডাক্তারের অবশ্যই দুজনের শরীরে কিছু পার্থক্য পেয়েছেন যার কারণে তারা দুই ধরনের ইনসুলিনে অভ্যস্ত। আবার ডায়াবেটিসের পরিমাণ এর ওপর নির্ভর করে অনুসুলিন দেওয়া হয় অর্থাৎ ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট তার ওপর নির্ভর করে মূলত ইনসুলিনের পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট টেস্ট কি এবং খরচ কত

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট টেস্ট সাধারণত বড় বড় প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে করানো হয়ে থাকে তবে সবার প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে এই টেস্ট করার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা। আপনার যদি এই টেস্ট করানোর কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকে তাহলে আপনার এই টেস্ট করার কোন দরকার নেই আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। তো আপনার যদি এই টেস্ট করানোর প্রয়োজনীয়তা থাকে তাহলে যে কোন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আপনি উপস্থিত হয়ে আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন।

প্রাকৃতিক উপায়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট করার নিয়ম

প্রাকৃতিক উপায়ে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি বা ধাপ আছে যে ধাপগুলো আস্তে আস্তে আপনারা অনুসরণ করলে হয়তো উপকারিতা পেতে পারেন। অতিরিক্ত কাজ করা এবং অলস জীবন যাপন ত্যাগ করা এই অভ্যাস যদি আপনি তৈরি করতে পারেন তাহলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট আপনার প্রয়োজন পড়বে না। শরীরে অতিরিক্ত মেদ বা ওজন কমিয়ে ফেলতে পারলে প্রাকৃতিক ভাবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট করা সম্ভব। শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে এই খাবারগুলো আপনারা যত বেশি খাবেন আপনার ইনসুলিনের প্রয়োজন ততটাই পড়বে তাই চেষ্টা করতে হবে এগুলো বাদ দিতে। খাদ্য তালিকায় যতটা বেশি সম্ভব কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বাড়াতে হবে যাতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এটা সকলের ক্ষেত্রে এবং সব ধরনের অসুখের জন্য অনেকে বড় একটি পাওয়া। আপনি যতই অসুস্থ হন না কেন আপনার যদি মানসিক শক্তি থাকে এবং আপনি যদি সেখান থেকে মনবল ধরে রাখতে পারেন যে আপনি অবশ্যই সুস্থ হবেন তাহলে আপনি অন্যদের থেকে প্রায় পাঁচ ধাপ এগিয়ে গেলেন এই মানসিক শক্তির কারণে। এছাড়াও একেবারে চিনি খাওয়া বাদ দিতে হবে এবং পেটের চর্বি কমানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট এর জন্য। যারা ধূমপান ও তামাক সেবন করেন এটা সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার খেতে হবে চেষ্টা করতে হবে সময় মতো ঘুমানো এবং বার ব্লাড সুগার নিয়মিত চেকআপ করা।