লো প্রেসার কত

সাধারণত আমাদের শরীরে যে রক্তচাপ আছে সেটা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকলে আমাদের জন্য কোন সমস্যা না সেটা আমাদের জন্য উপকার। প্রেশার মাপাতে গেলে যদি কারো প্রেসার ১২০ বাই ৮০ হয় তাহলে সেটা একেবারেই পারফেক্ট এবং এই অবস্থাতে তার শরীরের রক্তচাপ একেবারেই নিয়ন্ত্রণে পর্যায়ে আছে। সাধারণত এই অবস্থাতে যদি তার কোন শারীরিক সমস্যা হয় তাহলে সেটা প্রেসারের কারণে না।

তবে যারা বিভিন্ন ধরনের প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন তাদের মধ্যে একশ্রেণীর লোক আছেন যারা লো ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন। লো ব্লাড প্রেসার রোগীদের ক্ষেত্রে যদি প্রেসার মাপা হয় তাহলে তাদের প্রেসার ১০০/ ৭০ এর নিচে সব সময় থাকবে। সাধারণত যাদের ব্লাড প্রেসার এত তাদেরকেই সাধারণত লো ব্লাড প্রেসার বলা হয়ে থাকে। এটা যত কমতে শুরু করবে ততই সেই রোগের জন্য ক্ষতিকারক হবে তাই সময় মত অবশ্যই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এক্ষেত্রে কিছু ভালো অভ্যাস এবং নিয়মিত চিকিৎসা আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

লো প্রেসার কেন হয়

সাধারণত যেই কারণে লো ব্লাড প্রেসার হয় তাদের মধ্যে কিছু বড় কারণ আছে এবং কিছু আছে স্বাভাবিক কারণ। অত্যাধিক শারীরিক দুর্বলতার কারণে লো ব্লাড প্রেসার হতে পারে। এই অবস্থাতে শারীরিক দুর্বলতা বোঝা যায় খাওয়া-দাওয়া কমে যাওয়া এবং শরীরের ওজন কমে যাওয়ার মতন সমস্যা দেখে। এরকম ঘটনা যদি কারো সাথে ঘটে তাহলে একটু চেক করে দেখবেন সেখানে তার ব্লাড প্রেসার এমনিতেই কমে গেছে।

লো ব্লাড প্রেসার হওয়ার আরো কিছু কারণ এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে অন্য কোন অসুখ-বিসুখ থাকলে সেখানে যদি ঔষধ ম্যানেজমেন্ট ভুল হয় তার কারণে। ঔষধ ম্যানেজমেন্টে যদি কোন ধরনের ভুল হয় তাহলে সেটা হঠাৎ করে রোগীর ব্লাড প্রেসার কে অনিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে এই ক্ষেত্রে অধিকাংশ রোগীর লো ব্লাড প্রেসার দেখা যায়।

লো প্রেসার থেকে বাচার উপায়

সাধারণত এই প্রেসার অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে তবে এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং সেটা সঠিক সময়। অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে আপনারা যদি নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য ভালো। এছাড়াও লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ নিয়মিত পরিমিত পর্যায়ে খাবার খেতে হবে এবং সেটাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং ভিটামিন থাকে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে লোক ব্লাড প্রেসার হওয়ার কারণ থাকতে পারে অন্যান্য রোগ তাই এই অবস্থাতে চেষ্টা করতে হবে অন্যান্য রোগ যাতে ভালো হয় সেই দিকে নজর রাখতে এবং সঠিকভাবে যদি সেটা করা সম্ভব হয় তাহলে এমনিতেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এছাড়াও হঠাৎ করে যদি কারো এই সমস্যা দেখা যায় তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই তার কারণ হচ্ছে এটা একেবারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আপনি নিয়মিত খাবার খান এবং সঠিকভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করুন দেখবেন এমনিতেই সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে।

লো প্রেসার এর চিকিৎসা

অবশ্য এই অবস্থাতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আপনারা যদি নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন কি চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং সেটা আপনার প্রেশার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করবে। আমরা সকলে অবগত আছি যে এই সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং অন্যান্য বিষয় সতর্ক থাকলে মূলত প্রেশারটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে নাও আসতে পারে এই পর্যায়ে অবশ্যই উচ্চতর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে এবং অন্য কোন সমস্যার কারণে এটা হচ্ছে কিনা সেটা নির্ণয় করার প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি বিষয়গুলো আপনারা বুঝতে পেরেছেন।