আর বি এস টেস্ট কি

ডায়াবেটিস রোগের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি এই ডায়বেটিস রোগ সাধারণত রক্তে অতিরিক্ত চিনি থাকার কারণে হয়ে থাকে। যেটাকে ইংরেজিতে ব্লাড সুগার বলা হয় এবং সেই ব্লাড সুগারের মাত্রা যদি কোন ব্যক্তির শরীরে অতিরিক্ত পাওয়া যায় তাহলে তাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগ হিসেবে ধরা হয়। এই ডায়াবেটিস পরীক্ষার ক্ষেত্রে কয়টি পদ্ধতি রয়েছে এবং সেই পদ্ধতির একটির নাম হচ্ছে আরবিএস। এটাকে বলা হয় রেনডম ব্লাড সুগার।

সাধারণত যেকোনো সময় যে ব্লাড সুগার পরিমাপ করা হয় সেটাকেই বলা হয় আর বি এস। ডায়াবেটিস পরীক্ষার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে অর্থাৎ খালি পেটে পরীক্ষা করার একটি নিয়ম এবং খাবার দুই ঘন্টা পরে পরীক্ষা করার আরেকটি নিয়ম। তবে প্রয়োজন ভেবে যে কোন সময় ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায় এবং যেকোনো সময় হঠাৎ করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার এই নিয়মের নামকরণ করা হয়েছে আরবিএস। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা এই আরবিএস পরীক্ষার খুঁটিনাটি অনেক তথ্য সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।

আরবিএস পরীক্ষা কেন করানো হয়

আর বি এস পরীক্ষা করানো হয় রোগীর শরীরে থাকা রেনডম ব্লাড সুগার পরিমাপ করতে। যেকোনো সময় আপনার শরীরে কি পরিমানে ব্লাড সুগার রয়েছে সেটা যদি পরীক্ষা করতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে আরবিএস টেস্ট করতে হবে। খাবার দুই ঘন্টা পরে ডায়াবেটিস টেস্ট এর মান অথবা খাওয়ার আগের ডায়াবেটিস টেস্টের মানের সঙ্গে কখনোই এই মান এক হবেনা। তাই যাদের হঠাৎ করে অসুস্থতার কারণে ডায়াবেটিস পরীক্ষার করার প্রয়োজন পড়ে তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে এই পরীক্ষা করার উপদেশ দেন চিকিৎসক।

আর বি এস পরীক্ষা কিভাবে করে

আর বি এস পরীক্ষা কিভাবে করে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। আরবিএস পরীক্ষা করার কয়েকটি পদ্ধতির রয়েছে প্রত্যেকটি পদ্ধতিতে শুধুমাত্র স্যাম্পল হিসাবে ব্লাড নেওয়া হয়। অর্থাৎ রোগীর ব্লাড স্যাম্পল হিসেবে গ্রহণ করা হয় তারপর সেটা ল্যাবে প্রস্তুত করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ডায়াবেটিস টেস্টের তিনটি পদ্ধতির মধ্যে একটি হচ্ছে আর বি এস এটা যে কোন সময় কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই সম্পন্ন করা যেতে পারে।

আর বি এস পরীক্ষার প্রস্তুতি

আপনারা যারা আর বি এস পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব এই পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকে কোন ধরনের প্রস্তুতি আপনাকে গ্রহণ করতে হবে না। তবে হ্যাঁ আপনি যদি অন্য টেস্ট গুলো করাতে চান তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে অর্থাৎ খাবার আগে যে পরীক্ষা করাতে হবে তার 12 ঘণ্টা আগে থেকে কোন কিছু খাওয়া যাবে না। কোন কিছু খাওয়ার ঠিক ১২ ঘণ্টা পরে এসে আপনাকে খাওয়ার আগের পরীক্ষার রক্তের স্যাম্পল প্রদান করতে হবে।। এরপরে খেতে হবে এবং তার দুই ঘন্টা পরের সিম্পল আবার প্রদান করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি রেনডম ব্লাড সুগার টেস্ট করেন অর্থাৎ আর বি এস টেস্ট করেন তাহলে এক্ষেত্রে যে কোন সময় যেকোনো মুহূর্তে আপনি টেস্ট করাতে পারবেন।

আরবিএস পরীক্ষার খরচ বাংলাদেশ

আর বি এস পরীক্ষার খরচ বাংলাদেশ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য নিয়ে এসেছি আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। আরবিএস পরীক্ষার খরচ বাংলাদেশ সম্পর্কে বলতে গেলে একেবারেই কম খরচ রয়েছে এটার যেহেতু এটা একটি জাতীয় রোগ তাই চেষ্টা করা হচ্ছে যতটা কম খরচে এর টেস্ট করানো হয় ততটাই ভালো রোগের পক্ষে। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে এই টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে 50 টাকা থেকে 60 টাকা। তবে আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার সেখানে খরচ হতে পারে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মতো। রোগের তুলনায় এই খরচটা অনেক কম তাই আশা করব খরচের ভয়ে আপনারা বাড়িতে বসে না থেকে নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং চিকিৎসা নিন সুস্থ থাকার জন্য ।