ল্যাবে যে টেস্ট গুলো করানো হয়ে থাকে সেই টেস্টগুলোর ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা পাওয়া যায় যেমন মনে করুন সরকারি হাসপাতালে যে মেডিসিনের মাধ্যমে টেস্ট করানো হবে বেসরকারি প্যাথলজিগুলোতে সেই মেডিসিনের মাধ্যমে কখনোই টেস্ট করানো হবে না। তাই দুইটার ক্ষেত্রে মান দুই ধরনের হতে পারে এবং আদর্শ মান দুই ধরনের হতে পারে অর্থাৎ নরমাল ভ্যালু যাকে বলা হয়। তাই এখানে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না এই টেস্ট করার নরমাল ভ্যালু কত আপনারা রিপোর্টের এক পাশে নরমাল ভ্যালু পেয়ে যাবেন সেখান থেকে আপনারা নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার রিপোর্ট নরমাল হয়েছে না খারাপ হয়েছে।
হঠাৎ করে যদি এই রিপোর্টের মান বেশি দেখা যায় তাহলে যে এই সমস্যাগুলো একজন রোগী উপলব্ধি করতে পারবে তার মধ্যে হচ্ছে বমি অথবা বমি বমি ভাব অন্যতম। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে পেটের প্রচুর পরিমাণে ব্যথা এবং যন্ত্রণা অনুভূত হয় অর্থাৎ কোন কিছু খেতে গেলেও ব্যাথা লাগে আবার কোন কিছু করতে গেলেও ব্যাথা লাগে। প্রচন্ড ব্যথা ঘুমানোর সময় ঘুমানোর মধ্যেও ব্যথা এই ধরনের সাংঘাতিক ব্যথায় আক্রান্ত হলে বুঝতে হবে যে এর মান বাড়তে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে জন্ডিস হওয়ার কারণে এর মান অতিরিক্ত হয় তাই খেয়াল রাখবেন যাদের জন্ডিস হয়েছে তাদের মানের পরিবর্তন লক্ষণীয়।
এসজিপিটি কমানোর উপায়
এসজিপিটি কমানোর উপায় সাধারণত নির্ভর করছে কোন রোগ হয়েছে তার উপর। এটা তো একটি টেস্টের নাম এবং এর মানের উপর নির্ভর করে মূলত রোগের রোগ নির্ণয় করা হয় তাই এখানে সেই রোগ নির্মূল করতে পারলেই এমনিতেই এই মান কমে আসবে । সাধারণত এটি বেড়ে যাওয়ার যে মূল কারণ রয়েছে সেগুলোর জন্য যে রোগ হয় তার মধ্যে অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ হচ্ছে হেপাটাইটিস। এছাড়াও লিভার সিরোসিস থেকে শুরু করে লিভারের টিস্যুর বিভিন্ন ধরনের ক্ষত অথবা লিভার টিউমারের মতন সাংঘাতিক সমস্যার কারণেও এই মান বৃদ্ধি পাবে।
তাহলে এখন আপনাদের চিন্তা করতে হবে এই মান নিয়ন্ত্রণে আসতে হলে আপনাদের কি করা উচিত অবশ্যই চিকিৎসা নেওয়া উচিত। মরণঘাতী রোগ ক্যান্সার যদি লিভারে আঘাত আনে তাহলে সেই রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। তারপরেও রোগের পারিবারের সদস্য এবং প্রিয়জনেরা চেষ্টা করে শত বাধা অতিক্রম করে তাকে সুস্থ করাতে যদি সৃষ্টিকর্তা হায়াত দেন তাহলে অবশ্যই তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারবেন।
তাহলে এই বিষয়গুলো থেকে আমরা জানতে পারি যে SGPT বাড়ার বিশেষ কিছু রোগ রয়েছে এবং এই রোগ গুলো সহজে ভালো হওয়ার মতন রোগ নয়। তাহলে আপনারা হয়তো আপনাদের প্রশ্নের উত্তর নিজে থেকেই খুঁজে পেয়েছেন অর্থাৎ রোগের কারণে যদি এর মান বৃদ্ধি পায় তাহলে সেই রোগ মুক্ত হতে পারলেই এমনিতেই এই মান কমে আসবে তাছাড়া কমার কোন সম্ভাবনা নেই।
SGPT বাড়ায় কয়েকটা রোগের নাম
এখানে বেশ কয়েকটি রোগের কথা বলা যেতে পারে তবে খারাপ দিক হলো যদি এই রোগ গুলো হয় তাহলে সেটা অবশ্যই অনেক গুরুতর রোগ তাই কোনভাবেই অবহেলা করা যাবে না কোন কিছুকে। সবার প্রথমে আমি বলতে চাই ফ্যাটি লিভারের কথা যেটা আমাদের দেশের প্রায় প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে হেপাটাইটিস যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ তাই সবসময় এই বিষয়গুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও লিভার সিরোসিস অর্থাৎ লিভারের বিভিন্ন স্থানে এলার্জিক রিঅ্যাকশনের কারণে বিভিন্ন ক্ষত বা সংক্রমনের সৃষ্টি হওয়া।
অনেক রোগীর ক্ষেত্রে লিভারের টিস্যুর ক্ষতি বা ক্ষত লক্ষ্য করা যায় এই ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে সাধারণত এই টেস্টের মান বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে লিভারে টিউমার ধরা পড়লে অথবা লিভার ক্যান্সার ধরা পড়লে এই টেস্টের মান বৃদ্ধি পায়। সুস্থ থাকার চেষ্টা সকলের করা উচিত এবং এই সুস্থ থাকার চেষ্টায় কোন ধরনের কমতি রাখা উচিত নয় তার কারণ হচ্ছে একটি সুস্থ মানুষ একটি পরিবার এবং একটি দেশের জন্য অনেক বড় একটি সম্পদ।