খাদ্যে যে উপাদান গুলো থাকে সেই উপাদানগুলোকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা হয় এবং সে ভাগের মধ্যে একটি ভাগের নাম হচ্ছে প্রোটিন। যেটা ইংরেজি শব্দ যেটাকে আমরা বাংলাতে আমিষ হিসেবে ধরতে পারি। সাধারণত এই প্রোটিন এতটাই উপকারী জিনিস যে আমাদের শরীরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান হচ্ছে এটি। আপনি যদি সঠিক পরিমাণে আপনার শরীরে প্রোটিন মজুদ রাখতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সতেজ থাকবে এবং আপনার শরীরের সকল কাজকর্ম ঠিকঠাকভাবে হবে এবং আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকবে।
সাধারণত দুধ ডিম এছাড়াও মাছ-মাংস প্রভৃতি খাদ্যে উপস্থিতি থাকে এই প্রোটিনের এবং সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অপরিহার্য শরীর গঠনের পদার্থ হচ্ছে প্রোটিন। এ প্রোটিন আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানতে এবং এই প্রোটিন আমরা কিভাবে সংগ্রহ করতে পারি সে সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আজকের আর্টিকেল আপনাকে সাহায্য করবে। তাই অনুরোধ জানাচ্ছি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন এবং প্রোটিনের সম্পর্কে বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করুন যেটা ভবিষ্যতে আপনাকে কাজে দেবে।
প্রোটিন এর উৎস কি
প্রোটিনের উৎস আমাদের চোখের সামনে থাকা খাবারের মধ্যে থেকে পাওয়া যায়। সাধারণত কোন কোন খাদ্যে প্রোটিন আছে এই কথা যদি বলতে হয় তাহলে প্রোটিন খাদ্যের একটি বড় তালিকা তৈরি হয়ে যাবে আমরা চেষ্টা করব আমাদের আশেপাশে পরিচিত যে খাবারগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। এটি সুন্দর তালিকা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি আশা করব সেই তালিকা থেকে আপনারা খুব সহজেই প্রোটিনের উৎস সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
সাধারণত আমরা যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি তার মধ্যে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অত্যন্ত মজাদার যে খাবারগুলো রয়েছে সেই খাবারগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই প্রোটিনে ভরপুর। সাধারণত প্রোটিনের মধ্যে কিছু হাই প্রোটিন খাবার আছে আবার কিছু লো প্রোটিন খাবার আছে। আপনি যদি হাই প্রোটিন খাবারগুলো খান তাহলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে তবে যদি আপনি লো প্রোটিন খাবারগুলো খান তাহলে সেটা আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
প্রোটিন অনেক বেশি রয়েছে এরকম খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ এবং মুরগি ও হাঁস ডিম ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এছারাও গরুর মাংস এছাড়াও দুধ ও দুধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। সাধারণত প্রাণিজ উৎস থেকে এই প্রোটিন গুলো সংগ্রহ করা হয় এবং এই প্রোটিন গুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী যেটা আমরা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারি।
নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং নিজেকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ও সুস্থ রাখতে অবশ্যই আপনাকে প্রোটিন খাবার খেতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে এই খাবারগুলো আপনার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরে কখনো প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যাবে না।
প্রোটিন জাতীয় খাবার কেন খাবেন
প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি। আপনি যত কম প্রোটিন খাবেন আপনার শরীরের দুর্বলতা ততই বৃদ্ধি পাবে তবে যদি আপনি প্রোটিন বেশি বেশি খান তাহলে আপনার শরীরে কোন দুর্বলতা দেখা যাবে না যার কারণে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হবে। এছাড়া প্রোটিন খাওয়ার পেছনে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে বাড়তি বয়সে প্রোটিন হাড়ের বৃদ্ধি এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সুস্থভাবে বেড়ে উঠাকে নিশ্চিত করে।
প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা
প্রোটিন জাতীয় খাবার এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না আমরা উপরে ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়েছি যে উদাহরণের মাধ্যমে আমরা পুনরায় আপনাদের বোঝাচ্ছি যে বাড়তি বয়সে ছেলেমেয়েদের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে তাহলে দেখবেন সেই ছেলে অথবা সেই মেয়ে কখনোই পুষ্টিতে ঢুকবে না। তারা সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে এবং তাদের শরীর গঠন অনেক সুন্দর হবে তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন নিজের সন্তানকে বাড়তি বয়সে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়াতে।