আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোগ জীবাণু জন্ম নিচ্ছে। এই রোগ জীবাণু থেকে নতুন নতুন রোগের উদয় হচ্ছে। পৃথিবীর জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত যত বড় বড় রোগ মহামারী হিসেবে পৃথিবীতে এসেছে তাদের মধ্যে একটি বড় রোগ হচ্ছে এইডস। এটা প্রথম দেখা যায় আফ্রিকার একটি দেশে। এবং আস্তে আস্তে এটা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং এখন পর্যন্ত এই রোগ নিরাময়ের জন্য সঠিক কোন ঔষধ পাওয়া যায়নি। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা এইড সম্পর্কে অনেক কিছু জানবো যেটা আমাদের জানার পরিধিকে অনেক বড় করবে।
এইডস রোগ অনেক সাংঘাতিক একটি রোগ এবং এই রোগ যার একবার হয়েছে সে কখনো এই রোগ থেকে আর মুক্তি পেতে পারেনি মৃত্যু পর্যন্ত এ রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। এ রোগের ক্ষেত্রে লড়াইয়ের জন্য যথেষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে রোগীকে। নিচে আমরা এইডস এর পূর্ণরুপ তুলে ধরলাম।
AIDS – Acquired Immuno Deficiency Syndrome
এইডস এর লক্ষণ ও কারণ
কি দেখে বোঝা যায় যে এই চোখে আক্রান্ত হয়েছে একজন রোগী। সাধারণত এটা এমন একটি ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায় যেটা মানব শরীরে প্রবেশ করার পর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে শুরু করে। এ ভাইরাস আলাদাভাবে নতুন কোন রোগ তৈরি করবে না কিন্তু আপনার শরীরের যত ধরনের রোগ আছে প্রত্যেকটি রোগকে শক্তিশালী করবে এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ড্যামেজ করবে। লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক দুর্বলতা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা।
৪০ থেকে ৯০% রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বেশিরভাগ জ্বর হয় আবার অনেকের ক্ষেত্রে গলা প্রদাহ এবং ফুসফুসে বা মাথাব্যথা ক্লান্তি ইত্যাদি হতে পারে। ২০ থেকে ৫০% রোগীদের ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি বের হতে পারে। সাধারণত একজন রোগী যখন প্রচুর পরিমাণে অসুস্থ হয়ে যায় এবং কোন ধরনের বড় রোগ ধরা না পারে এবং শারীরিক দুর্বলতা অতিক দেখা যায় ঠিক তখনই চিকিৎসকের ধারণা করতে পারেন এ রোগের এইডস হয়েছে এবং পরীক্ষা-নিক্ষার মাধ্যমে সেটা নিশ্চিত হতে পারেন।
এইডস এর কারণ ও প্রতিকার
এটা ছড়ানোর বেশ কিছু কারণ আছে তবে আমরা যদি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে এটা ছাড়তে পারবে না। সাধারণত এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগীর শরীরের রক্ত যদি অন্য সুস্থ রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয় তাহলে সেখান থেকে এটা ছড়িয়ে যেতে পারে। একই সিরিঞ্জ দুইজন ব্যবহার করার ফলে তাদের মধ্যে একজনার যদি এইচআইভি পজিটিভ থাকে তাহলে অন্যের শরীরে এটা ছড়িয়ে যেতে পারে। সাধারণত এইচআইভি বহনকারী মা যখন সন্তান সম্ভাবনা হন অথবা সন্তান জন্মদানের সময় অথবা সন্তানকে বুকের দুধ পান করানোর সময় শিশুর শরীরে এইচআইভি চলে যেতে পারে। এইচআইভি বহনকারী কোন ব্যক্তির ব্যবহৃত কোন জিনিসপত্রে যদি সংক্রমণের রক্ত লেগে থাকে এবং তার ব্যবহারের ফলে যদি শরীরের বিরুদ্ধে সেই রক্ত বা কাঁটা ছেঁড়া প্রবেশ করে যায়।
প্রতিকার বলতে গেলে সাধারণত এটা এমন একটি জিনিস যেটা ছোঁয়াচে নয় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণত চেষ্টা করতে হবে জানো আক্রান্ত রোগীর প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র জানো অন্য কেউ ব্যবহার না করে। অবশ্য সতর্কতার সঙ্গে এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
এইডস এর ভাইরাসের নাম কি
এমন একটা সময় গেছে যেখানে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে এবং গোটা বিশ্ব এই রোগের ভয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে গেছে। এখানে এই রোগ যে ভাইরাসের মাধ্যমে ছড়ায় সেই ভাইরাস অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি ভাইরাস এবং খুব শান্ত মেজাজে সে একজন রোগীর জীবন নষ্ট করতে পারে। এখানে যে ভাইরাস রয়েছে সে ভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে HIV- Human Immunodefic Virus.