এমিলিন ১০ এর কাজ কি

এমিলিন ট্যাবলেট এখানে এমিট্রিভটাইলিন হাইড্রোক্লোরাইড উপাদানের মাধ্যমে এই ট্যাবলেট তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র যে ১০ মিলিগ্রামের ট্যাবলেট বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে এমন নয় এর পাশাপাশি বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের ট্যাবলেটও রয়েছে তবে এখানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি জানতে পারবেন আপনার জন্য কোন ঔষধ সঠিক। আমরা আজকে কথা বলব অপসনিন ফার্মাল লিমিটেড এর অ্যামিলিন ট্যাবলেট নিয়ে আশা করব আপনারা এখান থেকে এমুলিন ট্যাবলেট সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

সবার প্রথমে আমরা জানার চেষ্টা করব কোন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে এই ট্যাবলেট কার্যকরী হয়ে ওঠে তার কারণ হচ্ছে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং তারপরে সে রোগের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সঠিক ঔষধ বাছাই করা রোগের সুস্থতার মূল কারণ। সঠিক ঔষধ সেবন না করলে কোনভাবেই কাউকে সুস্থ করা যাবে না বরঞ্চ সে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও আমরা চেষ্টা করি সব সময় সঠিক মাত্রা আপনাদের জানাতে এতে করে অতিরিক্ত মাত্রায় ঔষধ খাওয়ার প্রবণতা আমাদের মাঝ থেকে চলে যাবে এবং সঠিক ঔষধ সঠিক নিয়মে খেলে আমরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারব।

এমিলিন ১০ এর সঠিক কাজ কি

আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি সবার প্রথমে দুশ্চিন্তা জনিত কোন ধরনের মাথাব্যথা অথবা মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত এই ট্যাবলেট সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। মনে করুন একজন রোগী ডাক্তারের কাছে গেছে এবং সেই রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে তারা মাথা ব্যথার সমস্যার কথা বলল এবং ডাক্তার তারা সঙ্গে আরও কিছু পরামর্শ করার পরে জানতে পারলো সে দুশ্চিন্তা জনিত মাথা ব্যথায় ভুগছে। অন্য একজনের পক্ষে একই সমস্যায় কথা বলে ডাক্তার বুঝতে পারল তার মাইগ্রেনের সমস্যা যার কারণে মাথাব্যথা হচ্ছে দুই রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ থাকবে এমিলিন ১০ ট্যাবলেট খাবার। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে সঠিক নিয়মে আপনি যদি এই ঔষধ খেতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি এর সুফল পাবেন।

এখানেই শেষ নয় অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিষন্নতা দূর করতে ডাক্তারেরা নিয়মিত এই ঔষধ দীর্ঘদিন রোগীকে খেতে বলেন। আরেকটি বড় ব্যাপার হলো শিশুদের অনেকের একটি সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে রাতে বিছানায় মূত্র ত্যাগের সমস্যা সেটা কোনভাবেই ঠিক হয় না। এরকম শিশু যদি কেউ থাকে এবং এরকম শিশুর যদি চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য আজকের এই এমিলিন ১০ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

এমিলিন ১০ মাত্রা ও সেবন বিধি

যাদের সাধারণত বিষণ্ণতা জড়িত সমস্যা আছে তাদের শুরুর মাত্রা হতে পারে ৭৫ মিলিগ্রাম এবং এটা বাড়তে বাড়তে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারে প্রতিদিন। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে তাদের বিভিন্ন মাত্রায় এই ঔষধ দেওয়া যেতে পারে তবে প্রতিদিনের মাত্রা হিসাব করলে মাইগ্রেনের সমস্যা জড়িত রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ 100 মিলিগ্রাম করে এই ঔষধ খাওয়ানো যাবে। এর পাশাপাশি যাদের দুশ্চিন্তা জনিত মাথাব্যথা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম করে দিনে তিনবার এই ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে এবং সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার মেয়াদ নির্ধারণ করে নিতে হবে।

শিশুদের রাত্রিতে বিছানায় মুত্র ত্যাগের সমস্যা সমাধান করতে পারে এই ট্যাবলেট তবে এখানে শিশুদের বয়স এবং শিশুদের ওজনের উপর নির্ভর করে সাধারণত ঔষধ খাওয়ার মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। সাত থেকে দশ বছর শিশুদের জন্য ১০ থেকে ২০ মিঃ এবং যাদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে তাদের 25 থেকে 50 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট রাতে সেবন করতে হবে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই কাজটি আপনাকে করতে হবে। যেকোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রোগের শরীরে দেখা দিতে পারে তাই দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এই বিষয়ে।