ফেরাস ফিউমারের এন্ড ফলিক এসিডের কাজ কি

সব সময় সঠিক জিনিসটা ফলো করা উচিত। এখানে মোট দুটি উপাদানের কথা আমরা উল্লেখ করতে চলেছি যে দুটির উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই দুটি উপাদানের সমন্বয়ে এমন কিছু ব্র্যান্ড এমন কিছু ঔষধ তৈরি করেছে যেটা বিভিন্ন সময় আমাদের কাজে আসে। এখানে এই দুটি উপাদানের সমন্বয়ে একটি ক্যাপসুল তৈরি করা হয়েছে যেখানে এটা পাকস্থলীতে লোভের রিলিজ হওয়াকে রোধ করে এবং পাকস্থলীকে লৌহঘটিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেয়। এই সমস্ত কারণে ইহা লৌহ তার শোষণের অংশ রিলিজ করে লৌহকে সর্বোচ্চ শোষণ নিশ্চিত করে।

ফেরাস ফিউমারের এন্ড ফলিক এসিড কি কাজ করে

সাধারণত এই উপাদানের মাধ্যমে যে ক্যাপসুল তৈরি করা হয় সেটা ব্যবহার করা হয় তাই রিলিজ ক্যাপসুল হিসেবে এবং এটি রক্তবর্ণক ঔষধ যা লৌহ ও ফলিক এসিডের ঘাটতিতে বিশেষ করে ব্যবহার করা হয়। কোন একটি বিশেষ সময়ে ক্যাপসুল এর ব্যবহার আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন। হঠাৎ করে যখন কোন রোগের শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে বা রক্তস্বল্পতার সম্ভাবনা রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহের মজুদ রাখার প্রয়োজন রয়েছে ঠিক তখনই এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। সাধারণত সরাসরি ভাবে বলতে গেলে ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণের জন্য এটা ব্যবহার করা হয় এবং ফলিক এসিডের ঘাটতি পূরণের জন্য যখন এটা ব্যবহার করা হয় অবশ্যই নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য এর চিকিৎসা সময় নির্ধারণ করা থাকে।

আমরা যদি বিষয়টা আরো বেশি সহজ করতে চাই তাহলে বলতে পারি গর্ভকালীন এবং স্তন্যদান কালীন সময়ে চিকিৎসায় এই ঔষধ সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। এই সময়গুলোতে রোগের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো থাকে না এবং স্বাভাবিকভাবেই তার গর্ভে গড়ে ওঠা সন্তানটি সঠিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে ডাক্তাররা সাধারণত এই ক্যাপসুল নির্দেশ করেন চিকিৎসা এবং প্রতিষেধক হিসেবে। অবশ্যই এর বাইরেও কিছু চিকিৎসা রয়েছে তবে এর জন্য আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ফেরাস ফিউমারের এন্ড ফলিক এসিডের খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সাধারণত গর্ভকালীন ও স্তন্যদান কালীন সময়ে প্রতিদিন একটি করে ক্যাপসুল খাওয়ার পরামর্শ দেন প্রত্যেকটি ডাক্তার। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই একই ওষুধ চলমান থাকবে এমন নয় বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। তাই আপনি যদি শুধুমাত্র আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে নিজে থেকে নিজের ঔষধ সেবন করা শুরু করে দেন তাহলে বলব সেটা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। কোনভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাবেন না তার কারণ হচ্ছে আপনার শারীরিক অবস্থা এবং আপনার ওষুধ খাওয়ার সক্ষমতার ওপর নির্ভর করেই এই ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করতে হবে। এই জিনিসটা সবথেকে ভালো করতে পারবে আপনার উপস্থিত চিকিৎসক তাই এই দায়িত্ব তার হাতেই ছেড়ে দিন। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য কারণে অধিক মাত্রা প্রয়োজন পড়তে পারে তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ফেরাস ফিউমারের এন্ড ফলিক এসিডের দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা যদি বলতে হয় তাহলে এখানে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে অধিক মাত্রায় ঔষধ সেবনের ফলে কিছু জিনিস লক্ষ্য করা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে রক্ত বমি হতে পারে বা রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ওষুধ খাওয়া অবস্থাতে যদি এই ধরনের সমস্যা কেউ বুঝতে পারে তাহলে ওষুধ খাওয়া সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে।

এরপরে যে ডাক্তারের কাছে আপনি চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন সেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য। এছাড়াও আরো গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সব সময় সতর্ক থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা নাও হতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।