নাপা ডল এর কাজ কি Napa

নাপা আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি ট্যাবলেট কিন্তু না পার পার্শ্ববর্তী যে ট্যাবলেট গুলো আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় সেই ট্যাবলেট সম্পর্কে আমরা একেবারেই কম জানি। নাপা ট্যাবলেট তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে প্যারাসিটামল এবং সেই প্যারাসিটামলের সঙ্গে ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে নাপাডল ট্যাবলেট । আজকে আমরা এই ট্যাবলেটের পরিচিতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

মূলত প্যারাসিটামল মূল উপাদানের সঙ্গে আরেকটি উপাদান যুক্ত করে এই ট্যাবলেট তৈরি করা হয়। এখানে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড একটু ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা করেছে এবং তারা এমন কিছু রোগের জন্য এই ঔষধ তৈরি করেছে যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। সাধারণত এর প্রধান যে উপাদান প্যারাসিটামল সেটা বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা নাশক এবং বিভিন্ন ধরনের জর উপশমক গুণাবলী ধারণ করে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত অন্য একটি গ্রুপের ঔষধের কম্বিনেশনের ফলে তা আমাদের শরীরে কি কাজ করে সেই সম্পর্কে আজকে জানার চেষ্টা করব।

নাপা ডল কি কাজ করে

সাধারণত যে সকল উপসর্গ একজন রোগীর শরীরে থাকলে নাপাডল ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তার তাকে দেবেন সেই সমস্ত উপসর্গগুলো নিয়ে এখন কথা বলব। আপনি যদি এই বিষয়গুলো আগে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের এখানে প্রথমবার হবে এবং আপনি যদি আগে জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে আমরা অবশ্যই নতুন কোন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। মাঝারি এবং মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথায় প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা হয়।

সাধারণত ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয় কিন্তু যখন সেই ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং সেই রোগীর বয়স যদি বেশি হয় অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক রোগের ক্ষেত্রে নাপাডল ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আপনি যে কাজটি করতে যাচ্ছেন সেটা সঠিক হবে কিনা সেই সম্পর্কে জানতে হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তার কারণ হচ্ছে ব্যথা নাশক যে ঔষধ গুলো রয়েছে সেগুলো সব সময় বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভরপুর থাকে।

এছাড়া তীব্র ব্যথার স্বল্প মেয়াদে চিকিৎসার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যে তীব্র ব্যথার জন্য এই নাপাডল ট্যাবলেট ব্যবহার করবেন দীর্ঘদিনের জন্য সেটা করতে পারবেন না। তীব্র ব্যথার জন্য স্বল্পমেয়াদি সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত এই চিকিৎসা সময়কাল চালানো যেতে পারে। এছাড়াও আমরা অবগত আছি যে প্যারাসিটামল হলো সর্বাপেক্ষা বেশি ব্যবহৃত এবং সর্বাপেক্ষা নিরাপদ ও দ্রুত কার্যকরী ব্যথা নাশক একটি উপাদান। এটি অধিক সহনশীল ও অ্যাসপিরিন জনিত অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। তাহলে নিঃসন্দেহে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা নিরাময়ের জন্য এই ঔষধ আপনাকে খেতে হবে।

নাপা ডল খাওয়ার নিয়ম ও সঠিক মাত্রা

মাঝারি অথবা মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথার জন্য এক থেকে দুইটি ট্যাবলেট প্রতি চার ঘন্টা অথবা ৬ ঘন্টা পর পর প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের জন্য খাবার পরামর্শ রয়েছে। এখানে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরিমাপ আপনাকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। এই চিকিৎসা যদি সর্বোচ্চ মাত্রার কথা বলা হয় তাহলে দিনে ৮ টি ট্যাবলেট সেবন করা যাবে এর বেশি নয়।

তীব্র ব্যথার স্বল্পমেয়াদি চিকিৎসা অর্থাৎ পাঁচ দিন অথবা এর চেয়ে কম চিকিৎসার জন্য দুটি ট্যাবলেট প্রতি চার ঘন্টা অথবা ৬ ঘন্টা পর পর তীরে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট খেতে হবে। এই ট্যাবলেটের সবথেকে ভালো গুণ হচ্ছে খাবারের আগে বা পরে যে কোন সময় আপনি এটা খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চেষ্টা করুন পানির সঙ্গে এই ঔষধ খেতে যাতে সেটা আপনার পরিপাকতন্ত্রের সঠিক জায়গাতে পৌঁছাতে পারে।

নাপা ডল দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলতে গেলে এটা অত্যন্ত সুসহনীয় একটি ঔষধ তারপরও অতিরিক্ত ব্যবহার বা হঠাৎ করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, কাঁপুনি, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, মুখে শুষ্কতা, উৎকণ্ঠা, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি।