চলুন সবার প্রথমে আজকের ovocal d ট্যাবলেট সম্পর্কে কিছু সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করি এবং কিছু পরিচিতি জানার চেষ্টা করি। এই ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। এখানে মোট দুইটি উপাদানের ব্যবহার করা হয়েছে ঔষধ তৈরিতে এবং দুইটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিছু উপাদান। প্রথমে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেই উপাদানের নাম হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এটা সাধারণ ক্যালসিয়াম কার্বনেট নয় এটা সংগ্রহ করা হয় এগসেল সোর্স থেকে।
তাই এর ব্যবহারের বিশেষত্ব রয়েছে এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি৩ ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। দুটি উপাদান যথাক্রমে ৫০০ মিলিগ্রাম এবং 200 iu পাওয়া যাবে একটি ট্যাবলেটে । আপনারা যারা এই গুরুত্বপূর্ণ ট্যাবলেট সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকবেন এর গুরুত্ব বোঝার জন্য। আমরা আপনাদের এই ট্যাবলেটের সঠিক নির্দেশনায় এবং ovocal d ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক পরিমাপ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
ovocal d ট্যাবলেট কি কাজ করে
মূলত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি3 কিছু উপসর্গের জন্য ব্যবহার করা হয় সেটা যদি আমাদের জানা থাকে তাহলে আমরা এই ওষুধের সঠিক কার্যকারিতা সম্পর্কেও ভালো ধারণা পাবো। যে সকল রোগীদের দেখা যায় যে হাড়ের ক্ষয় হয়েছে অর্থাৎ অস্ট্রিও পেরোসিস নামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে সে সকল রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে ovocal d ট্যাবলেট। এছাড়াও কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে দুর্বল হাড়ের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হয় এই সমস্যার সমাধানেও একই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
অনেকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পেশির কিছু রোগ দেখা যায় এই রোগ গুলো নির্মূলের জন্যও একই ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এই সমস্যাগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে রোগীর শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা এবং যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় তাই এখানে অনেক কষ্টে ভোগে রোগীরা। এই কষ্ট থেকে নির্মূলের জন্য চিকিৎসা করা অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই ovocal d ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিবেন।
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থ্রি নিশ্চিত করতে কিছু কিছু পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে এগুলো। গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদান কালে এই ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে গর্ভকালীন অবস্থায় মা ও সন্তান সঠিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য। আশা করছি আপনারা এই ওষুধের সঠিক নির্দেশনা সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেলেন এর বাইরে যদি কিছু জানা থাকে তাহলে অবশ্যই সে সম্পর্কে আমাদের অবগত করতে পারেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
ovocal d ট্যাবলেট এর সঠিক খাওয়ার নিয়ম
এই ঔষধ খাওয়ার নির্দেশনা বলতে গেলে ৫০০ মিলিগ্রাম ও 200iu ট্যাবলেট খাওয়ার একটি নির্দেশনা রয়েছে আপনারা চাইলে আমাদের এখান থেকে সঠিক পরিমাপ সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেতে পারেন। তবে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয় তাই আমরা এখানে সঠিকভাবে এর মাত্রা বলতে পারছি না তবে এটা মুখে সেবনযোগ্য একটি অংশ সেটা আপনাদের ধারণা দিচ্ছি। মূলত বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই এটা সকালে একটি এবং রাতে একটি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এর বাইরে কোন নির্দেশনা আমরা সংগ্রহ করতে পারেনি এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে তবে শিশু এবং কিশোরদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটা খাওয়া যেতে পারে।
ovocal d ট্যাবলেট এর দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হিসেবে এই ওষুধ দায়ী হতে পারে। অনেকের ক্ষুধামন্দার সৃষ্টি হতে পারে। এই ওষুধের দামের কথা যদি বলতে হয় তাহলে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ovocal d ট্যাবলেটের বর্তমান দাম ১০ টাকা।