চলুন আমাদের কাছে অতি পরিচিত সেকলো ২০ ক্যাপসুলের আরও পরিচিতি জেনে নেই। আশা করছি সকলে একমত হবেন এটা আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি ক্যাপসুল এবং অতি পরিচিত হওয়ার ফলে অনেকেই এই সেকলো ২০ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন। তবে আমরা চেষ্টা করব এই ক্যাপসুল সম্পর্কে নতুন কোন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাতে করে আপনারা নতুন তথ্য পেয়ে অনেক বেশি খুশি হন। স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ওমিপ্রাজল উপাদানের মাধ্যমে তৈরি হয় এই সেকলো ২০ ক্যাপসুল।
স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা ফার্মাসিটি কাজ গুলোর মধ্যে একটি এবং তাদের তৈরি এই ওমিপ্রাজল অত্যন্ত জনপ্রিয় বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য। আমরা আজকে জানার চেষ্টা করব ধারাবাহিকভাবে সেকলো ২০ ক্যাপসুল এর সঠিক কার্যকারিতা বা উপকারিতা সম্পর্কে। এরপরে আমরা জানার চেষ্টা করব এই ওষুধ খাওয়ার সঠিক পরিমাণ যেটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। সর্বশেষে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কোন সমস্যা হবে কিনা সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।
সেকলো ২০ এর উপকারিতা কি
যদি উপকারিতা সম্পর্কে কথা বলি তাহলে ওমিপ্রাজল সাধারণত কিছু কিছু উপসর্গের জন্য ব্যবহার করা হয়। যাদের সাধারণত গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসারের উপসর্গ দেখা দেয় তাদের জন্য সেকলো ২০ ক্যাপসুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এর পাশাপাশি অনেকের ক্ষেত্রে নন স্টরোয়েডাল প্রদাহ বিরোধী ঔষধ ব্যবহারজনিত গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার ধরা পড়লে সেগুলোর ক্ষেত্রেও এই একই ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। যারা আমরা যতোটুকু জানতে পেরেছি প্রতিষেধক হিসেবে এই ঔষধ গ্যাস্ট্রয়ীসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজের স্বল্প দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
প্রতিবেশেধক হিসেবে আরো কয়েকটি জায়গায় এটা ব্যবহার করা হয় যেমন জোলিঞ্জার এ্যালিসন সিনড্রোমে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আলসার প্রতিরোধে এবং প্রতিশোধক হিসেবে এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক এসিডজনিত ডিস্পেপশিয়ায় এটা ব্যবহার করা হয়। এই রোগগুলো আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত লোক তবে আমরা যে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি সেটা হচ্ছে গ্যাসের সমস্যা। সাধারণত গ্যাসের সমস্যা কোন রোগ না এটা আপনার অভ্যাস জনিত একটি সমস্যা আপনি যদি অভ্যাস পরিবর্তন করেন তাহলে এটা এমনিতেই চলে যাবে। আর এই ওষুধগুলো যে মূল রোগের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে সেই রোগের কথা আমরা একেবারে সহজ বাংলাতে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম আশা করছি এর থেকে সহজে আপনাকে কেউ এই রোগের কথা বলবে না।
সেকলো ২০ খাওয়ার সঠিক পরিমাণ
সাধারণত প্রত্যেকটি ওষুধের সঠিক মাত্রা জানাটা অত্যন্ত জরুরি বিশেষ করে গ্যাসের ওষুধ তার কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি ব্যবহার হচ্ছে বর্তমানে গ্যাসের ঔষধ কোন মাত্রা ছাড়াই যেটা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের পাকস্থলীর রোগ তৈরি করছে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের আলসার যেমন ডিওডেনাল আলসার প্রতিরোধে দৈনিক ২০ মিলিগ্রাম করে চার সপ্তাহ পর্যন্ত খেতে হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে এই মাত্রা একই থাকবে এবং আট সপ্তাহ পর্যন্ত এই ঔষধ খেতে হবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং দিনে সর্বোচ্চ ৪০ মিলিগ্রাম বিভক্ত মাত্রায় খেতে হবে তাহলে আস্তে আস্তে এইমাত্র নিয়ন্ত্রণে আসবে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে আমরা সেই তথ্য থেকে দেখতে পেরেছি দৈনিক সর্বনিম্ন 10 মিলিগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ৪০ মিলিগ্রাম করে এই ঔষধ খাবার নির্দেশনা রয়েছে। কিছু গুরুতরের রোগীর ক্ষেত্রে ১২০ মিলিগ্রাম দৈনিক খাওয়া যাবে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সংস্পর্শে থাকতে হবে এই অবস্থাতে।
সেকলো ২০ দাম ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ওষুধ খাওয়ার যে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তবে এই ঔষধ অত্যন্ত সুসহনীয় ওষুধ। অনেকে খেতে ওষুধ খাওয়ার ফলে বমি ভাব হতে পারে বা মাথা ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের এই সেকলো ২০ ক্যাপসুল এর বর্তমান দাম ৬ টাকা।