রক্ত যদি এলার্জি ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই সেটার জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা যদি পরীক্ষার না করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান তাহলে সেটা ভুল হবে। আপনাকে রক্তের এলার্জি পরীক্ষা করাতে হবে। সাধারণত এনার্জি এমন একটি সমস্যা যেটা সহজে শরীর থেকে যেতে চায় না তবে সাধারণ পর্যায়ে শরীরে এলার্জি থাকতেই পারে কিন্তু যদি সেই এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি হয় তাহলে তার কারণে আরো বড় ধরনের সমস্যা হবে। এর জন্য বড় ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তার প্রথম ধাপ হচ্ছে পরীক্ষা। যদি সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যায় তাহলে সেটা সবথেকে ভালো।
যদি কেউ এলার্জি পরীক্ষা করেন তাহলে সেখানে তার মান কত হলে সেটা সব থেকে ভালো সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। সাধারণত এই টেস্ট করাতে গেলে রোগীকে শুধুমাত্র রক্ত প্রদান করতে হয়। রক্ত প্রদানের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করানো হয় এবং এই পরীক্ষার সাধারণ যে মান আছে সেটা বয়স্ক অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১২০ এর মধ্যে। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এর মান ১০ থেকে ২০ পার্সেন্ট এর নিচে বড়দের চেয়ে।
এলার্জি কাদের বেশি হয়
অনেকে জানতে চেয়েছেন এলার্জির বেশি হয় কাদের মধ্যে। অবশ্যই এলার্জি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে যে কারণে সাধারণত কিছু কিছু সংখ্যক মানুষের মধ্যে এলার্জি বেশি হয়। ইতিমধ্যে আমরা অ্যালার্জির কারণ সম্পর্কে আপনাদের অনেক কিছুই বলেছি এখন জানানোর চেষ্টা করব সাধারণত এলার্জি বেশি হয় এমন কারণ বা কাদের এলার্জি বেশি হয় এই সম্পর্কে। এলার্জি সম্পর্কে প্রচুর তথ্য আমাদের কাছে আছে কিন্তু আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব যাতে এই এলার্জি বেশি হয় সে সম্পর্কে।
সাধারণত এনার্জি ত্বকে হয়ে থাকে এবং এর কারণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। সাধারণত যে মানুষগুলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এলার্জির পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও যাদের রক্ত বিভিন্নভাবে দূষিত হয় তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অনেকের ক্ষেত্রে যারা এমন পরিবেশে থাকে যে পরিবেশে ধুলাবালি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে এরকম পরিবেশে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে এলার্জির পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। তাই অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে এলার্জিকে নিয়ে যেকোনো সময় এই এলার্জি বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এলার্জি টেস্টের নাম
সাধারণত এলার্জি পরীক্ষা করার জন্য যে টেস্ট করানো হয় সেই টেস্টের নাম হচ্ছে IGE। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত মানুষের শরীরে এলার্জির পরিমাণ কতটুকু সেটা বোঝা যায়। তাই যদি কেউ রক্তে এলার্জির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাই তাদের এলার্জি সম্পর্কে জানতে হলে এই পরীক্ষা করাতে হবে। যারা এই পরীক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভুল চিন্তাভাবনা রাখেন তাদেরকে বলব এটা একেবারে স্বাভাবিক একটি পরীক্ষা তাই এখানে কোন ধরনের ভুল করার অবকাশ নেই।
রক্তের এলার্জি কমানোর উপায়
আপনি যদি রক্তে এলার্জি কমাতে চান তাহলে আপনাকে যেমন সুন্দর জীবন যাপন করতে হবে তখন খেতে হবে একেবারেই প্রাকৃতিক খাবার। আপনারা যত বেশি প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল হবেন আপনার এলার্জি আপনার শরীর থেকে ততই বেশি কমতে থাকবে। আধুনিকতার ছোঁয়ার কারনে আমাদের শরীর এতটাই দূষিত হচ্ছে যে যে কোন জিনিসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে যা আমাদের শরীরের পুরো সিস্টেমটা নষ্ট করে দিচ্ছে।
আমরা তখন অবশ্যই জেনেছি খাদ্যের মাধ্যমে দূহিত পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এখন আমরা এটাও জানবো বাতাসের মাধ্যমে এবং পানির মাধ্যমে কি পরিমান দূষিত পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়াও বর্তমানে আমরা আমাদের ত্বকের জন্য যে ধরনের বিউটি প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করছি সেগুলো এলার্জি হওয়ার অন্যতম কারণ। বর্তমানে এই বিউটি প্রোডাক্টগুলো এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছে যে সেগুলোর কারণে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার পরেও আমরা এগুলো ব্যবহার করেই চলেছি।