টিএস এইচ এর মাত্রা কত

সাধারণত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন আছে। এই হরমোন গুলো যদি কোন ভাবেই আমাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে শুরু করে তাহলে আমাদের শরীর একেবারে অকেজো হয়ে যাবে। আপনাকে একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা বোঝাচ্ছি। সাধারণত আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোনের বিশেষ বিশেষ কিছু কাজ আছে। যদি সেই হরমোন সঠিকভাবে কাজ করতেন না পারে তাহলে অবশ্যই সেই কাজগুলোতে বাধা প্রাপ্ত হবে এভাবে আস্তে আস্তে সেই কাজগুলোর কারণে অন্য প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে এইভাবে পুরো শরীর অচল হতে পারে।

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে সাধারণত যে হরমোন গুলো বের হয় সেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। যদি কোনভাবেই সেই হরমোন গুলো একটু কম অথবা একটু বেশি হয় তাহলে সেটা শরীরের জন্য কাম্য নয়। থাইরয়েডের সমস্যা হলে বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে সেটা আপনারা বুঝতে পারবেন যদি সেটা বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হলে আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে। থাইরয়েডের স্বাভাবিক মাপ আছে সেই মাপগুলো আপনার জানা থাকলে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন।

টি এস এইচ পরীক্ষা কেন করাবেন

টি এস এইচ এর পরীক্ষা কেন করাবেন এ প্রসঙ্গে উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা দেখেছি অবশ্য আপনাকে টি এইচ এইচ পরীক্ষা করাতে হবে যদি আপনার শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যদি হঠাৎ করে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি বা ওজন কমার প্রবণতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনি টিএসএইচ পরীক্ষা করাবেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক অথবা গর্ভধারণের সমস্যার তৈরি হলে টিএইচএইচ পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে। এছাড়াও যদি হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয় এবং হঠাৎ করে অনিয়মিত পায়খানা সৃষ্টি হয় তাহলে টি এইচ এইচ পরীক্ষা করাতে হবে।

এ সমস্যাগুলো আপনি যতটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন এবং যতটা তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করতে পারবেন ততটাই তাড়াতাড়ি আপনাকে পরীক্ষা করাতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে পরীক্ষা না করেন তাহলে সেটা আপনার দুর্বলতা যার কারণে আপনি পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন।

থাইরয়েডের সমস্যা হলে কি করবেন

থাইরয়েড সমস্যা হলে কি করবেন এ প্রশ্নের উত্তরে সবার প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আপনাকে যেতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা হলে ঘরোয়া কোন চিকিৎসা করে লাভ নেই তার কারণ হচ্ছে থাইরয়েড চিকিৎসায় ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। চিকিৎসায় আপনাকে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

থাইরয়েডের চিকিৎসা

থাইরয়েড চিকিৎসায় সবার প্রথমে থাইরয়েড পরীক্ষা করাতে হবে এবং আপনি যদি থাইরয়েড পরীক্ষা করান তাহলে এরা স্বাভাবিক মান আছে। TSH-0.27-4.2ML এটা হচ্ছে থাইরয়েড পরীক্ষার স্বাভাবিক মান এই স্বাভাবিক মান যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি একেবারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। তবে এর মান যদি এর থেকে বেশি হয় তাহলে বিষয়টি অনেক খারাপ পর্যায়ে যাবে তাই আপনাকে অবশ্যই আগে নিশ্চিত হতে হবে স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে কিনা আপনার থাইরয়েড এর মান। যদি না হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট চিকিৎসার পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে নিয়মিত থাইরয়েডের চিকিৎসা এবং থাইরয়েড এর ঔষধ সেবন। এটা ডায়াবেটিসের মতন একটি রোগ যেটা নিয়মিত পরিবর্তন হয় তাই আপনাকে নিয়মিত অন্তত দুই মাস পরপর থাইরয়েড পরীক্ষা করতে হবে এবং ঔষধ সেবন করতে হবে। আপনি যদি এই কাজটি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে থাইরয়েড রোগ আপনার কন্ট্রোলে থাকবে এবং এখান থেকে বড় কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

আসমান ী থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকে অনেক ধরনের চেষ্টা করেন। অনেকেই হোমিও ঔষধ খাওয়ার চেষ্টা করেন যেটা একেবারেই খারাপ অভ্যাস। সবসময় সঠিক পথ অবলম্বন করতে হবে আপনাকে আপনি যদি সঠিক কথা অবলম্বন না করেন তাহলে থাইরয়েডের সমস্যার সমাধান হবে না এবং আপনার এর জন্য বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।