মানব শরীর বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় এবং বিভিন্ন সময় এই রোগ গুলো বিভিন্নভাবে তার দাপট দেখিয়ে চলে। সাধারণত একজিমা এমন একটি সমস্যা যেখানে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে একইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে এটা চিহ্নিত করা যায়। সাধারণত নবজাতক এবং অল্প বয়স্ক শিশুদের মধ্যে বেশি বিকাশ লাভ করে এই সমস্যা। এটা এমন একটি রোগ যেটা পুরুষ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সমান ভাবে বিস্তারে লাভ করে তাই উভয়কেই যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে আর একটা বিষয় এটা কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়, এটার পেছনে বিশেষ কিছু কারণ আছে।
একজিমা রোগের লক্ষণ বা কারণ
একজিমা এমন একটি সমস্যা যেখানে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন ছত্রাক জনিত আক্রমণ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হওয়া অথবা চুলকানি সৃষ্টি হওয়া এই ধরনের সমস্যা থেকে বোঝা যায়। সাধারণত একজিমার আক্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু কারণ আছে।। আবার একজিমা এমন একটি রোগ যেটা একটি পরিবারে আক্রান্ত হলে প্রত্যেকটি সদস্যকে আক্রান্ত করতে পারে।
এর কিছু কারণ এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে ইমিউনি সিস্টেম অস্বাভাবিক কাজ করা। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে জেনেটিক্স সমস্যা থাকলে সেখান থেকে একজিমার প্রকোপ বাড়তে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে শুষ্ক ও কঠোর জলবায়ুর এক্সপোজ এর ক্ষেত্রেও এই একজিমা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। অনেক সময় একজিমা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এবং বিভিন্ন ধরনের এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হতে পারে এবং আস্তে আস্তে এটা বেড়ে যেতে পারে।
একজিমার লক্ষণ সম্পর্কে আপনার যদি কোন ধারণা না থাকে তাহলে আপনারা আমাদের এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন যেটা আপনাদের চিহ্নিত করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। সাধারণত ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে বিভিন্ন স্থানে সেই ফুসকুড়ি থেকে চুলকানি এবং শুকনো প্যাচ বা স্ক্র্যাচ সহ খোলা ঘা হতে পারে। চুলকানি আস্তে আস্তে লাল হয়ে যাওয়া এবং সেখানে ফাটা বা টক ফেটে যাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত স্থানের ফাটল অথবা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে একজিমার কারণে। আরো একটি বড় লক্ষণ হল এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আপনি এর প্রকোপ দেখতে পাবেন।
একজিমা রোগের চিকিৎসা কি
সবার প্রথমে আপনাকে সঠিক রোগ নির্ণয় করতে হবে অর্থাৎ এটা একজিমার আক্রমণ না অন্য কোন সমস্যা এর জন্য অবশ্যই আপনাকে উপযুক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে রোগ নির্ণয় করিয়ে নিতে হবে। এর জন্য একজন ভালো ডাক্তারের সঙ্গে আপনাকে পরামর্শ করতে হবে । আপনার শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ এবং আপনার সমস্যার ইতিহাস পর্যালোচনা করে চিকিৎসক নির্ধারণ করে দেবে সেটা একজিমা কিনা এবং যদি সেটা এক্সিমা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো একটি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
এর জন্য আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রিমের সঙ্গে কিছু মুখে সেবনযোগ্য ঔষধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেওয়া হয় যেটা আপনার শরীরের একজিমার সংক্রমণ ভেতর থেকে দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। অনেকের ক্ষেত্রে হালকা থেরাপির প্রয়োজন পড়তে পারে সাধারণত প্রাকৃতিক সূর্যালোকের নিয়ন্ত্রিত পরিমাণকে ত্বককে প্রকাশ করা জড়িত থেরাপে এখানে দেওয়া হয়েছে থাকে।
একজিমা রোগ হলে করণীয়
এখানে উল্লেখ্য যে আপনার রোগ নির্ণয় যদি সঠিক হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং বিভিন্ন ধরনের থেরাপির মাধ্যমে আপনি একজিমা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসক এবং সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি যেগুলো নির্ণয়ের ফলে একজিমা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আপনার থাকবে। তাই অবশ্যই সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং একজিমা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হন।