জন্ডিস টেস্টের নাম কি

সাধারণত যদি কেউ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে কিছু প্রাথমিক লক্ষণ এর মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়। সাধারণত এই প্রাথমিক লক্ষণগুলো যখন একজন মানুষের শরীরে ধরা পড়ে তখন বাড়িতে বসে না থেকে সে যদি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে তাহলে সেটা তার জন্য সবথেকে ভালো দিক। আসার পরে অবশ্যই চিকিৎসা করা তার সঙ্গে পরামর্শ করবেন এবং তার মতামত অনুযায়ী তাকে জন্ডিস পরীক্ষা করাতে বলবেন এবং জন্ডিসের জন্য সাধারণত যে পরীক্ষাগুলো করতে বলা হয় সেগুলো খুবই সহজ পরীক্ষা।

সাধারণত সবার প্রথমে যেটা করতে হয় সেটা হচ্ছে বিলুরুবিন। এটা রক্তের বিলিরুবিনের পরিমাণ নির্ধারণ করতে দেওয়া হয় এবং যদি রক্তের বিলিরুবিনের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায় তাহলে সিদ্ধান্তে আসা যায় তার জন্ডিস হয়েছে কিনা। তাই কেউ যদি জন্ডিস পরীক্ষার নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব জন্ডিস পরীক্ষার নাম হচ্ছে বিলিরুবিন টেস্ট। এটা জন্ডিস পরীক্ষা বা জন্ডিস নির্ধারণের একমাত্র পরীক্ষা। এই বিলোরোবিন পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত জন্ডিস চিহ্নিত করা যায়।

জন্ডিস হলে কি কি টেস্ট করতে হয়

আমরা আপনাদের খুব সুন্দর ভাবে জানিয়েছি যে জন্ডিস পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে এবং প্রধানত যে পরীক্ষা করা হয় সেটা হচ্ছে বিলিরুবির পরীক্ষা। তবে সবার ক্ষেত্রে বিলেরুবিন পরীক্ষার মান যদি ভাল হয় তাহলে খুব ভালো কিন্তু বিলিরুবিন পরীক্ষার মান যদি অতি খারাপ হয় তাহলে উচ্চমানের চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এই উচ্চ মানের চিকিৎসার জন্য অবশ্যই তাকে আরো অন্যান্য পরীক্ষা করাতে হবে এবং এর জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলে সব থেকে ভালো।

সাধারণত বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তে এনজাইমের পরিমাণও বেড়ে যাবে এবং তখন লিভারে জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে তাই বিলেরুবিন পরীক্ষার পাশাপাশি লিভারের পরীক্ষাও করানো হয়। এই লিভার ফাংশন পরীক্ষার নাম হচ্ছে এসজিপিটি। এছাড়া অনেক সময় হেপাটাইটিস ভাইরাস সনাক্তের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়।অনেক সময় দেখা যায় কারা কারা জন্ডিস অনেকদিন ধরে থাকে একবার হয় আবার একবার ভালো হয় এটার জন্য ক্যালরি ডিপ্রাইভেশন টেস্ট করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও অনেকের দেখা যায় যে ঘনঘন জন্ডিস হয় এবং সে ক্ষেত্রে তাদের সিবিসি টেস্ট করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যা যেখান থেকে তার রক্তশূন্যতা এবং রক্তের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের পরিমাপ নির্ধারণ করা যায়।

অনেক সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফের প্রয়োজন রয়েছে তার কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে যদি তার জন্ডিস হয় তাহলে তার লিভারের সমস্যা হতে পারে এবং লিভারে কি ধরনের সমস্যা হয়েছে সেটা নিশ্চিত করার জন্যই মূলত আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। তাই অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে জন্ডিস সাধারণ কোন রোগ হলেও এটার যদি খারাপ প্রভাব মানুষ হলে পড়তে থাকে তাহলে তার কারণে অনেক ক্ষতি হতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

বিলিরুবিন টেস্টের খরচ কত

অনেকে জানতে চেয়েছেন বিলিরুবিন ইন্টারেস্ট এর খরচ সম্পর্কে। সাধারণত বিলিরুবিন টেস্ট করতে গেলে রোগীকে খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয় না। আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে হেই টেস্ট করাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা। তবে আপনি যদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই দেশ পাঠাতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে এখানে সর্বোচ্চ 500 টাকার মতো যেটা সমস্যার থেকে অনেক কম।

জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ কি কি

জন্ডিসের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো আমরা সকলেই জানি। একেবারে সাধারণ লক্ষণ যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আমরা রোগী হলে জন্ডিস আছে কিনা সেটা আগে থেকে বুঝতে পারি। রোগের ক্ষেত্রে হালকা জ্বর হওয়া থেকে শুরু করে খেটে না পারা এবং শরীরের রং পরিবর্তন এবং প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিস হওয়ার পূর্ব লক্ষণ। এই লক্ষণ গুলো ধরা পড়লে অবশ্যই বাড়িতে বসে না থেকে দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।