আমরা সকলে অবগত আছি যে ক্যান্সার সাংঘাতিক একটি রোগ। এগি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর যেকোনো সময় রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিছু অনিয়ন্ত্রিত কোষ আমাদের শরীরে নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বেড়ে ওঠে এবং সেগুলো আমাদের শরীরের ক্ষতি করতে শুরু করে। এটা আমাদের শরীরে যে কোন অঙ্গে বা যে কোন অংশ হতে পারে। এই ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এবং চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে পরীক্ষার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
আজকে আমরা কয়েকটি পরীক্ষা পদ্ধতির সম্পর্কে জানব যেটা মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের জন্য প্রয়োজন পড়ে। সাধারণত স্তন ক্যান্সারের জন্য যে লক্ষণগুলো বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো সবার প্রথমে দেখতে হবে। যেমন মনে করুন বিছানায় শুয়ে থেকে এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিংবা গোসলের সময় যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি নিজেই স্থান ক্যান্সার পরীক্ষা করতে পারবেন।
এর পরবর্তীতে যে পরীক্ষা করা হয় সেটা হচ্ছে মেমোগ্রাফি অর্থাৎ অস্বাভাবিক অনুভূত হলে মেমোগ্রাফ করতে হয় এটাই স্তন ক্যান্সারের এক ধরনের এক্সরে পরীক্ষা যার মাধ্যমে সূক্ষ্ম ক্যান্সারের উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায়। স্থান ক্যান্সারের আরেকটি পরীক্ষার নাম হচ্ছে এম আর আই এবং এটি নিয়মিত করা হয় না শুধুমাত্র ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে গেলে এমআরআই করা হয়। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আরেকটি যে টেস্ট করানো হয় সেটা হচ্ছে বায়োপসি এবং এটি ক্যান্সারের প্রশ্নের আধুনিক ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা।
এর পাশাপাশি জরায়ুর মুখের ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সার এই ধরনের বিভিন্ন ক্যান্সারে বা ফুসফুস ক্যান্সার থেকে শুরু করে প্রোস্টেট ক্যান্সারে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এই যেমন মনে করুন কোলন ক্যান্সারে প্রথমত পরীক্ষা করা হয় কোলোনোস্কোপি তারপরে এটা ফেকাল অক্টাল ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। অবশ্য এখানে বায়োপসির প্রয়োজন রয়েছে এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে এমআরআই করা হয়। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ক্যান্সারের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।
ক্যান্সার পরীক্ষার খরচ
অনেকে জানতে চেয়েছেন ক্যান্সার পরীক্ষার খরচ আপনাদের প্রথমে জানিয়ে রাখি পৃথিবীতে ২০০ ধরনের বেশি ক্যান্সার পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি ক্যান্সার এর ধরন ভেদে চিকিৎসার ধর্ম আলাদা। তাই এখানে আপনি যদি আলাদাভাবে ক্যান্সারের খরচ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলব কোনভাবেই এই হিসাব মিলানো যাবে না।কোন ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে সেটা নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর তাই এখানে আলাদাভাবে খরচ কোন ভাবে বলা যাবে না। এটা যখন হবে তখনই কেবলমাত্র সঠিকভাবে বলা যাবে যে কত টাকা খরচ হতে পারে বা কত টাকা খরচ হয়েছে। তারপরও বলে রাখি যে ক্যান্সারের টেস্ট করতে যে খরচ হয় সেটা অন্যান্য টেস্টের থেকে অনেক বেশি।
বায়োপসি টেস্ট কি
বায়োপসি টেস্ট এর মাধ্যমে সাধারণত ক্যান্সারের কোষ নির্ণয় করা হয়। হঠাৎ যেই অংশে বা যেই অঙ্গে ক্যান্সার হয়েছে সে অঙ্গ থেকে স্যাম্পলস্বরূপ মাংস ের অংশ সংগ্রহ করা হয়। তারপরে সেটা ল্যাবে দীর্ঘদিন রাখার পরে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় সেখানে ক্যান্সারের ভাইরাস আছে কিনা। তারপরে একটি রেজাল্ট দেওয়া হয় যে রেজাল্টে উল্লেখ করা থাকে রোগীর ক্যান্সার হয়েছে কি হয়নি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বায়োসিট টেস্ট অনেক রোগীর জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখিয়েছে এই পরীক্ষা।
বায়োপসি টেস্ট কত টাকা
বায়োস্কি টেস্ট করতে সাধারণত ২৫০০ টাকা থেকে 5000 টাকা খরচ হতে পারে। এখানে মূলত নির্ভর করছে কোন ধরনের ক্যান্সার এবং সেটা শরীরের কোথায় আছে তার। শ্যামপুর সংগ্রহ করতে গিয়ে যদি চিকিৎসকদের বেগ পেতে হয় তাহলে এই টেস্টের খরচ বেড়ে যেতে শুরু করে। তাই এখানে সঠিকভাবে কার কত খরচ হবে সেটা বলা যাবে না তবে আমরা একটি প্রাথমিক ধারণা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এই টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।