বাচ্চাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত

বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা বোঝাটা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার। যেহেতু তারা খুব ছোট বয়সে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ে তাই এ অবস্থাতে তার শরীরে তাপমাত্রা বুঝতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা বুঝতে না পারলে অনেক সময় অনেক ধরনের অঘটন করতে পারে। সাধারণত এমনিতেই বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে তবে আপনাকে খেয়াল করতে হবে সেই পরিবর্তন খারাপ দিকের লক্ষণ নাকি।

বাচ্চাদের শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা যদি আপনি পরিমাপ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেটা থার্মোমিটারের মাধ্যমে করতে হবে। থার্মোমিটার যদি আপনার সঙ্গে থাকে তাহলে আপনি বাচাদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারবেন এবং সেই তাপমাত্রার উপর নির্ভর করেই তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা মানতে পারবেন। বাচ্চাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত স্বাভাবিক। এই অবস্থাতে বাচ্চাকে কোন ঔষধ খাওয়াতে হবে না এবং এই অবস্থাতে বাচ্চা একেবারে স্বাভাবিক । যদি তাপমাত্রা এর থেকে বেশি হয় তাহলে কি করা উচিত সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা কত হলে জ্বর হয়

সাধারণত বাচ্চাদের তাপমাত্রা যদি অনেক বেশি হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই সেটা পরিমাপ করতে হবে এবং পরিমাপ করলে জ্বর কত সেটা অবশ্যই জানা উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে শরীরে তাপমাত্রা যদি ১০০° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তাহলে সেটাকে বলা হয় জ্বর। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও একই কিন্তু যখন বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা 99 ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করবে তখন থেকেই আপনাকে পুরো সতর্ক অবস্থানে যেতে হবে তার কারণ হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৯° সেলসিয়াস হওয়া জ্বরের লক্ষণ।

অবস্থা তো অবশ্যই বাবা-মাকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং বাচ্চার যদি জ্বর আসে সেখানে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার প্রস্তুতি গ্রহণ করে রাখতে হবে। বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা কত ডিগ্রি হলে আপনি ওষুধ খাওয়াতে পারবেন সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো তবে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত তার কারণ হচ্ছে শরীরের পাশাপাশি আরো কিছু জিনিস নির্ভর করে ঔষধ খাওয়ানোর উপর।

বাচ্চাদের শরীরে তাপমাত্রা কত হলে ওষুধ খাওয়াবেন

বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে ঔষধ খাওয়াবেন এরকম প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। সাধারণত বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০০° সেলসিয়াস অতিক্রম করে তাহলে তাকে ঔষধ খাওয়াতে হবে। এই অবস্থা তো অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আপনাকে যেতে হবে আপনার বাচ্চাকে নিয়ে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী কি ঔষধ খাবে এবং কতটুকু খাবে সে সম্পর্কে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সঠিকভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় তার কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ না করা হলে যে কোন সময় যেকোনো ধরনের ভুল হতে পারে। বাচ্চাদের খেতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সঠিক পরিচর্যা পাওয়া যাচ্ছে যদি সঠিক পরিচর্যা পায় তাহলে খুব অল্প সময়ে সুস্থ হতে পারবে।

বাচ্চাদের জ্বরের ঔষধ

বাচ্চাদের জ্বরের ঔষধ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে যেটা ব্যবহার করা হয় সেটা হচ্ছে প্যারাসিটামল। কোনভাবেই বাচ্চাদের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ দেওয়া যাবে না বিশেষ করে প্রথম তিন দিন। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে আপনি প্যারাসিটামল কিভাবে খাওয়াবেন বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি এবং ওজনের উপর নির্ভর করে এইভাবে তিন দিন পর্যন্ত খাওয়াবেন। তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পরেও যদি বাচ্চার জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই সেক্ষেত্রে পুনরায় আপনাকে চিকিৎসকের কাজে যেতে হবে।

সাধারণত এরপরে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এন্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে এবং এন্টিবায়োটিক এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে বাবা-মাকে। বাবা মা যদি সতর্ক না থাকে তাহলে ভুল অ্যান্টিবায়োটিক অথবা এন্টিবায়োটিকের ওভারডোস নিজের শিশুকে অসুস্থ করে দিতে পারে।