মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থানে থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। কেননা প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সুস্থ থাকা অত্যন্ত জরুরি। যার সামান্য একটি সমস্যা হলেও এই জ্বরের কারণে মানুষকে অনেক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জ্বর যখন আসে তখন মানুষকে একেবারেই বিছানাতে ফেলে দেয় যার কারণে সে শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে যায় এবং মানসিক দিক দিয়েও পিছিয়ে যায়। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব হঠাৎ করে যদি কারো শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটা কিসের লক্ষণ এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত।

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকতে পারে ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। যদি এর মধ্যে আপনি আরও ভাগ করতে চান তাহলে ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে 97 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকাটা একেবারেই পারফেক্ট। এরকম তাপমাত্রা বজায় থাকলে কোন ধরনের সমস্যা নেই তবে যদি এই তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি অতিক্রম করে এবং আস্তে আস্তে সেটা বাড়তে থাকে তাহলে সেটা জ্বর আসার পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

মানুষের শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর

হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা যদি বাড়তে থাকে তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ। কেউ চায় না অসুস্থ হতে তার কারণ হচ্ছে অসুস্থ হলে জীবনের অনেক কিছুই নষ্ট হয়। যার সামান্য অসুখ হলেও জ্বরে অনেক কষ্ট করতে হয় তাই কেউ চায় না জ্বরে আক্রান্ত হতে। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে। তবে এটা যদি আরো বৃদ্ধি পায় এবং 100 ডিগ্রী সেলসিয়াসে চলে যায় তাহলে সেখান থেকে জ্বর ধরে নেওয়া হয়।

মূলত সাধারণ জ্বর ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শুরু হয় এবং এটা বাড়তে পারে ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে পারে। ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস মনে সর্বোচ্চ জর্জ এই অবস্থাতে রোগী জ্ঞান হারাতে পারে বা রোগী ভুল বকতে পারে। সাধারণত জ্বরের চিকিৎসা বাড়িতে রেখেই করা হয় কিন্তু যদি জ্বর নিয়ন্ত্রণে না আসে এবং সেটা যদি অতিমাত্রায় উঠে যায় তাহলে অবশ্যই রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে কারণ জ্বর থেকে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।

মানুষের শরীরে তাপমাত্রা কত হলে ওষুধ খেতে হবে

অনেকে বুঝতে পারে না শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কোনটি আর তাপমাত্রা কত হলে জ্বর হবে এবং ওষুধ খেতে হবে। তাদের অনেক কিছু একেবারে পরিষ্কার করতে আজকের এই আর্টিকেল যেখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন একজন সুস্থ মানুষের শরীরে হঠাৎ করে যদি জ্বর আসে তাহলে কি অবস্থাতে যাওয়ার পরে জ্বরের ওষুধ খেতে হবে।

সাধারণত প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয় জ্বরের ক্ষেত্রে আপনি যদি এই প্যারাসিটামল ব্যবহার করেন তাহলে জ্বর আসার লক্ষণ বোঝার আগেও আপনি এই প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। আপনি ছোট্ট একটি ডোজ নিতে পারেন অর্থাৎ একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট যেটাতে রয়েছে প্যারাসিটামল 500 মিলিগ্রাম এটা গ্রহণ করতে পারেন। তবে শরীরে তাপমাত্রা যদি 100 অতিক্রম করে তাহলে অবশ্যই প্যারাসিটামল খেতে হবে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই অবস্থাতে ঔষধ খাওয়া।

জ্বরের ঔষধের নাম

জ্বরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হচ্ছে প্যারাসিটামল। এটা সাধারণ জ্বরের জন্য একমাত্র ব্যবহার উপযোগী ঔষধ যেটা বিভিন্ন বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। জ্বরের এই প্যারাসিটামল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তার কারণ হচ্ছে একই ধরনের ঔষধ সকলের মধ্যে বিভিন্ন পরিমাপের ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ভুল হতে পারে যেটা অনেক বড় ভুল।

তবে জ্বরের কারণে যদি অন্য কোন সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এবং মাথায় রাখতে হবে যাতে করে সঠিক চিকিৎসা হয়। তার কারণ হচ্ছে সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগী অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।