কিডনির নরমাল পয়েন্ট কত

যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সবসময় চিন্তা থাকে কিডনি পরীক্ষার টেস্ট এর মান নিয়ে। অনেকে জানতে চাই এই মান কত থাকলে ভালো এবং কত থাকলে খারাপ। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি পরীক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট করানো হয় সেটাকে বলা হয় ক্রিয়েটিনিন। এই পরীক্ষার যে রেজাল্ট আসে সেই রেজাল্টের দিকে তাকালে বোঝা যায় উক্ত ব্যক্তির কিডনির অবস্থা কেমন আছে। এই পরীক্ষার মান কত হলে রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো এবং কত হলে রোগী শারীরিক অবস্থা খারাপ সেই সম্পর্কে আজকে জানাবো।

এটা অনেক ছোট একটি পরীক্ষা তবে এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। কিডনিতে যে কোন জায়গাতে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে এখানে একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাবে সেখানে সমস্যা হয়েছে। এবং সেই ইঙ্গিত অনুযায়ী চিকিৎসকেরা পরবর্তীতে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করবেন।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়

স্বাভাবিক অবস্থাতে কোন রোগীর কিডনির সমস্যা থাকলে অবশ্যই সেটা অনেক দুঃখজনক ব্যাপার। এবং যদি সেটা ডায়ালাইসিসের পর্যায়ে যায় সেটা অবশ্যই সাংঘাতিক একটি ব্যাপার এবং এই বিষয়ে রয়েছে বড় বড় চিকিৎসা। অনেকেই জানতে চান কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় সেই প্রসঙ্গে আমরা যে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি সেই তথ্য অনুযায়ী রোগীর রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ 5.0 এর বেশি হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হবে।

এখানে অবশ্যই রোগীর যদি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় তাহলে বাড়িতে বসে থাকা চলবে না। এই বিষয়ে আমরা সকলে অবগত আছি যে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন রোগীর মৃত্যুবরণ করতে পারে তাই যখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন রয়েছে তখন বাড়িতে বসে না থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডায়ালাইসিস এর ব্যবস্থা করতে হবে। এটা রোগীর জন্য বড় একটি পদক্ষেপ হবে যতক্ষণ রোগীকে ডায়ালাইসিস করানো হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত রোগীর কিডনির অবস্থা খারাপ হতে থাকবে।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো

কিডনির পয়েন্ট সম্পর্কে বলতে হয় যে স্বাভাবিক ক্ষেত্রে নারী দের প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা থাকতে হবে ০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রাম। এইমাত্র যদি সঠিক থাকে তাহলে সেই নারী রোগী ভেবে নিতে পারে তার কিডনির অবস্থা ভালো আছে। এর জন্য তাকে এক্টি প্যাথলজিতে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা করতে হবে এবং সে রিপোর্ট দেখতে হবে। আপনি যদি নিজে থেকে রিপোর্ট ভালোভাবে বুঝতেও না পারেন তাহলে সেখানে উপস্থিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এই বিষয়ে।পুরুষদের ক্ষেত্রে এই পরিমাপ একটু পরিবর্তন হবে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে এর মান হতে হবে ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম। এক্ষেত্রে একটু মান পরিবর্তন হলেও দুইজনেই সুস্থ আছেন বলে বিবেচনা করা হবে । এটা ছিল কিডনির সুস্থ থাকার মান তবে যাদের কিডনি নেই অর্থাৎ একটি কিডনিতে সমস্যা হয়েছে এবং একটি মাত্র কিডনি আছে তাদের ক্ষেত্রে এর মান আরো বেড়ে যাবে।

এই অবস্থাতে ক্রিয়েটিনিং এর মাত্রা প্রতি ডেসি লিটারে থাকবে ১.৮ মিলিগ্রাম। যাদের একটি কিডনি আছে তাদের দুইটি কিডনির কাজ একটি কিডনির মাধ্যমে করাতে গিয়ে অনেক চাপ পড়ে এবং সেখানে ক্রিয়েটিনিন এর মান বৃদ্ধি পেতে পারে। এই মান এই পর্যন্ত থাকলে স্বাভাবিক হিসেবে গণ্য হয়।

কিডনির পরীক্ষার খরচ বাংলাদেশ

কিডনির বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা বাংলাদেশের করা হয় এবং এই বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার মধ্যে আপনি কোন পরীক্ষার খরচ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সেটা সম্পর্কে আমাদের অবগত করবেন। তবে কিডনি পরীক্ষার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে টেস্ট করা হয় সেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিনিন এবং সেই টেস্ট করাতে বাংলাদেশে ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মত খরচ হতে পারে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা কিন্তু খরচ একেবারে কম তাই আশা করছি কেউ এই বিষয়ে পিছপা হবেন না।