রক্তের যে পরীক্ষাগুলো রয়েছে তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা হচ্ছে লিপির প্রোফাইল। লিপির প্রোফাইল সাধারণত এমন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণকে বোঝা যায়। এ অবস্থাতে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আপনাকে বুঝতে হবে এর প্রাথমিক মানগত বা আদর্শ মান কত। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একজন মানুষ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে থাকছে।
আদর্শ মান অনুযায়ী আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি লিপিড প্রোফাইল এর মান সাধারণত নরমাল অবস্থায় থাকে 200 মিলিগ্রাম এর নিচে। যাদের এই মান ২০০ মিলিগ্রামের নিচে থাকে তারা অবশ্যই ভালো অবস্থানে আছেন এবং যাদের ঈমান ২০০ থেকে ২৩৯ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে তারা বর্ডার লাইনে আছেন অর্থাৎ যেকোনো সময় সমস্যা হতে পারে। তবে যাদের লিপির প্রোফাইলের মান ২৪০ মিলিগ্রাম প্রতি ডেসি লিটারে অতিক্রম করেছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা বিপদজনক একটি সংকেত। এই অবস্থাতে কখনই অবহেলা করা যাবে না নিজের শরীরকে।
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কেন করা হয় লিপির প্রোফাইল টেস্ট কেন করা হয়? এরকম প্রশ্ন অনেকেই করেন। লিপির প্রোফাইল টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট এবং এই টেস্টের মাধ্যমে সাধারণত যে জিনিসগুলো জানা যায় সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকে জানার চেষ্টা করব লিপিড প্রোফাইল টেস্ট সাধারণত কেন করা হয় এর জন্য । হঠাৎ করে কোন রোগই যদি এরকম কোন সমস্যা বা এরকম কোন অসুস্থতা অনুভব করেন যার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন তার রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে তাহলে চিকিৎসকেরা তাকে এই পরীক্ষা করাতে বলবেন।
এর লক্ষণ হতে পারে হঠাৎ করে গরম লাগা বা হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়া অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে অল্পতেই ঘেমে যাওয়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতন সমস্যার কারণেও চিকিৎসা কারা প্রাথমিক অবস্থাতে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চান তার রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাপ কত আছে। সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে ভালো তবে যদি লিভ এর প্রোফাইল পরীক্ষার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে নিয়মিত চিকিৎসার।
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট এর প্রস্তুতি
লিপিট প্রোফাইল টেস্টের যে প্রস্তুতি রয়েছে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন না পড়লেও লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষায় অবশ্যই প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। প্রস্তুতি হিসেবে আমরা বলতে পারি কমপক্ষে 8 থেকে 10 ঘণ্টা উপবাস থেকে একদম খালি পেটে রক্ত দিতে হবে এই অবস্থাতে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে এই ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা আগে আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন সেটা যদি চর্বি মুক্ত খাবার হয় তাহলে সেটা আরো ভালো।
তবে রেনডাম লিপিড প্রোফাইল নামক একটি টেস্ট আছে যেটাতে আপনি যে কোন অবস্থাতেই পরীক্ষা করাতে পারেন সেই ক্ষেত্রে নরমাল রেঞ্জ আলাদা হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই এই পরীক্ষা করানো হয় তবে যদি আপনি ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা না খেয়ে সম্পূর্ণ খালি পেটে এই পরীক্ষাটা করাতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য সবথেকে ভালো।
লিপির প্রোফাইল টেস্টের খরচ
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল টেস্ট। যারা এই লিপির প্রোফাইল টেস্ট করাতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই একটি প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সাধারণত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এই পরীক্ষা করানো হয় না তাই আপনাকে এই পরীক্ষা করানোর জন্য চলে আসতে হবে একেবারে সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে এই পরীক্ষা করাতে আপনার খরচ হতে পারে ৫০০ টাকার মত কিন্তু আপনি যদি বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করেন তাহলে আপনার খরচ হবে ১২০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানভেদে এই পরীক্ষার দাম একটু কম বেশি হতে পারে ।