কিডনির পয়েন্ট কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়

কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সবার প্রথমে আমাদের যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সব থেকে খারাপ জিনিসটা যেটা হয় সেটা হচ্ছে আমরা উপসর্গগুলোকে অপেক্ষা করি। অর্থাৎ একটি সুস্থ শরীরে যখন কোন অঘটন ঘটে তখন সেই ব্যক্তি অবশ্যই বুঝতে পারে কিন্তু সেটাকে সে অবহেলা করে মনে করে কিছুই হবে না সামান্য সমস্যা সেটা এমনিতেই সেরে যাবে।

কিন্তু এই সামান্য সমস্যায় যখন বড় হয় তখন প্রয়োজন পড়ে বড় চিকিৎসার এবং এই চিকিৎসা করেও অনেকের রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। শেষমেষ কিডনির ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন পড়ে যেটা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং অত্যন্ত সাংঘাতিক ব্যবহার। আজকে আমরা একটি তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যে তথ্য অনুযায়ী আপনারা জানতে পারবেন রোগীদের সাধারণত কিডনির পরীক্ষার রেজাল্ট কত হলে সেখানে ডায়ালাইসিস এর প্রয়োজন পড়ে।

আমরা অন্য একটি আর্টিকেলে আপনাদের নরমাল ভ্যালু সম্পর্কে অবগত করেছি এখন আমরা আপনাদের এমন একটি ভ্যালু জানাবো যে ভ্যালুর মান অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে ডায়ালাইসিস করতে হবে। সঠিকভাবে ডায়ালাইসিস করার জন্য এই বিষয়ে জ্ঞান রাখা জরুরি তার কারণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস রোগী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি ডায়ালাইসিস করা না হয় তাহলে হতে পারে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে। রোগীর রক্তে যদি ক্রিয়েটিয়েনিন এর পরিমাণ ৫.০ এর বেশি থাকে তাহলে সেখানে ডায়ালাইসিস করতে হবে। অবশ্যই এটা ভালো যে এটা আপনার জানা থাকলো তাহলে ভবিষ্যতে কোন ধরনের সমস্যা হলে যাতে কোন বিপদে না করতে হয়।

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো

কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো হয় এ প্রসঙ্গে আমরা বড় বড় আর্টিকেল আমার ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা এই বিষয়ে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন। তারপরেও আপনাদের বলে দিতে হয় যে কিডনির সমস্যা যদি হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। নিয়মিত চেকার যদি আপনারা না করেন তাহলে সেটা আপনাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ।

সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ ০.৫ থেকে ১.১ পর্যন্ত স্বাভাবিক। ছেলেদের ক্ষেত্রে এই মান একটু বেশি ০.৬ থেকে ১.২ পর্যন্ত স্বাভাবিক। কারো রক্তের এই পরিমাণ যদি ঠিক থাকে তাহলে সে নিশ্চিতভাবে থাকতে পারে তার কারণ হচ্ছে তার কিডনিতে কোন ধরনের সমস্যা নেই। আশা করছি বিষয়টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এবং নিজের পরীক্ষার মান এখন থেকে নিজেই চেক করে নিশ্চিত হতে পারবেন।

কিডনির সমস্যা হলে কিভাবে বুঝবেন

কিডনির সমস্যা হলে কিভাবে বুঝবেন এর সরাসরি উত্তর হচ্ছে কিডনির সমস্যা হলে অবশ্যই আপনার শরীরে কোন না কোন লক্ষণ দেখা দিবে এবং সেই লক্ষণের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কি নিতে সমস্যা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাবের জায়গাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।সুস্থ শরীরে যখন কোন সমস্যা হয় তখন সে ব্যক্তি নিজেই উপলব্ধি করতে পারে তার কোন সমস্যা হয়েছে তাই এ বিষয়ে নতুনভাবে বোঝানোর কিছু নেই তবে আপনারা যে ভুলটি করেন সেটা হচ্ছে অল্প সমস্যা নিয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। কিডনির চিকিৎসা অল্পতেই করতে হবে বেশি হওয়ার পরে কিডনি চিকিৎসা কোন করে লাভ নেই শুধু টাকা যাবে এবং সময় হলে ঠিকই রোগী মারা যাবে।

কিডনির সমস্যার চিকিৎসা

কিডনি চিকিৎসা বিভিন্নভাবে করা হয় তবে সবথেকে ভালো এবং উত্তম কথা হচ্ছে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা। কিডনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং যদি আপনি শুরুর দিকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন তাহলে সেটা ভালো শেষের দিকে সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে শুধু টাকা খরচ হবে।