গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল

বর্তমানে এই উন্নতির যুগে এসে গর্ভবতী মায়েরা আর আগের মত কাজ অথবা আমল করে না। বেশিরভাগ গর্ভবতী মায়েরা এখন বিশ্রামে থাকেন। তবে এটা একদমই ঠিক নয় কারণ বিশ্রাম থেকেও যে আমল করা সম্ভব সেগুলো সম্পর্কে হয়তো আমাদের মধ্যে অনেকেই আমরা জানি না।

অনেকেই মনে করেন গর্ব অবস্থায় বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে তিনি সুন্দর এবং নেককার সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন তবে এটি একেবারেই ভুল ধারণা কারণ গর্ব অবস্থায় আপনি যদি শুধু শুয়ে বসে থাকেন আল্লাহর ইবাদত না করেন আল্লাহর জিকির না করেন আল্লাহ তাআলার দেওয়া আমলগুলো না করেন তাহলে কোন ভাবে আপনি একজন নেককার সন্তানের মা হতে পারবেন না।

একজন নেককার সন্তানের মা হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে গর্ভাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কথামতো চলতে হবে এবং তার বিশেষ আমলগুলো করতে হবে এছাড়াও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।

গর্ভাবস্থায় যদি আপনার বড় ধরনের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই বিশ্রাম করবেন তবে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে আমলগুলো চালিয়ে যেতে হবে। আজকে আপনারা অনেকে জানতে চেয়েছেন গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে। তো চলুন আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো একজন গর্ভবতী মায়ের নয় মাসে কোন কোন মাসে কি আমল করা প্রয়োজন সে আমলগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্যগুলো।

আশা করি আপনারা যারা জানতে আগ্রহী রয়েছেন তারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়বেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জেনে নিবেন।

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের আমল

একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসে অন্যান্য আমলের পাশাপাশি আলাদাভাবে যে আমলগুলো করতে হবে সে সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা আমরা আপনাদেরকে দিব। সন্তান গর্ভধারণের প্রথম মাস থেকে শুরু করে তৃতীয় মাসের মধ্যে গর্ভবতী মায়েরা নামাজ কালাম পড়ার পাশাপাশি অবশ্যই কোরআন তেলাওয়াত করবেন। আর এই সময়ে বেশি বেশি সূরা লোকমান ও সূরা ইন শিফাত পড়তে হবে।

সাধারণত সূরা লোকমান পড়লে গর্ভের সন্তান জ্ঞানী তীক্ষ্ণ ও বুদ্ধিমান হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনি যদি গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় প্রথম তিন মাস সূরা লোকমান নিয়মিত পড়েন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আপনার সন্তানকে জ্ঞানের সন্তান এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও হেকমতওয়ালা সন্তান হিসেবে পৃথিবীতে নিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।

গর্ভবতী মায়ের মাঝখানে তিন মাসের আমল

বেশিরভাগ মায়েদের গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস অনেক কষ্টের মাধ্যমে যায় তবে এই তিন মাস পার করার পর মাঝখানে যে তিন মাস রয়েছে সেই তিন মাসে গর্ভবতী মায়েরা নিজের শরীর অনেক সুস্থ অনুভব করতে পারেন। তবে নিজের সন্তানকে আরো বেশি সুরক্ষিত করতে এবং নিজের আমলনামা বৃদ্ধি করতে আপনি চার নাম্বার মাস থেকে ৬ নাম্বার মাসের মধ্যে সূরা ইউসুফ ও সূরা আল ইমরান পড়তে পারেন।

কারণ এই সময়গুলোতে সূরা ইউসুফ এবং আল ইমরান পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। গর্ভাবস্থার মাঝের তিন মাসে আপনি যখন সূরা ইউসুফ পড়বেন তখন আপনার গর্ভের সন্তানের রুহানি ও জিসমানি উভয় দিক সুন্দর হয়।

গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাসের আমল

একজন গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাসে যখন পা ফেলেন তখন অবশ্যই সেখানে সতর্কতার কিছু দিক অবলম্বন করতে হয়। এ সময় গর্ভে থাকা সন্তান এবং সন্তানের মায়ের উভয়ের মন বেশি চঞ্চল হয় তার কারণ হলো এখানে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়।। তাই অবশ্যই এই সময় গুলোতে আপনি আল্লাহর কিছু আমল করতে পারেন যেমন সূরা মরিয়াম ও সূরা মুহাম্মদ পড়তে পারেন।

আপনারা যদি সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় মরিয়ম সূরা পড়েন তাহলে সন্তান পরহেজগার ও আল্লাহ ভীরু হয়। তাই গর্ভাবস্থার শেষের তিন মাসে যতটুকু পারবেন বেশি বেশি সূরা মারিয়াম ও সূরা মুহাম্মদ পড়তে থাকবেন তবে এর পাশাপাশি অবশ্যই ফরজ সালাতগুলো সাথে সাথে নফল সালাতও বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করবেন।