রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে সব ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তার কারণ হচ্ছে রক্তে যখন হিমোগ্লোবিন কমে যায় তখন রক্তস্বল্পতা দেখা যায়। রক্তস্বল্পতার কারণে যে সমস্যাগুলো হয় হিমোগ্লোবিন কমার কারণেও ঠিক একই সমস্যা হয় বলতে গেলে এটা একই জিনিস। সাধারণত রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে সেই সমস্যাগুলো নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল তাই আশা করছি আপনারা যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল ফলো করুন।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা যায় এটা অনেক বড় সমস্যা। এ রক্তস্বল্পতার কারণে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। রক্ত হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আরো যে সমস্যা সৃষ্টি হয় তার মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা হচ্ছে অন্যতম। এই শারীরিক দুর্বলতার কারণে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে একজন রোগীর।
খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া এবং হঠাৎ করে রোগীর ওজন কমে যাওয়া রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার মতন সমস্যার কারণে হতে পারে। এছাড়াও শিশুদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসা এবং সঠিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে অবশ্যই রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ সঠিক রাখতে হবে তা না হলে এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ
বিভিন্ন কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়তে পারে আবার বিভিন্ন কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার পেছনে যে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রক্তের ইনফেকশন। রক্তের ইনফেকশনের কারণে স্বাভাবিকভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমতে শুরু করে এবং সেটা আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করতে পারে।।
রাতে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে পুষ্টি হীনতায় ভোগ। সাধারণত খাবারের মধ্যে যাদের শরীরে পুষ্টি কম প্রবেশ করে এবং যারা পুষ্টিকর খাবার কম খান তাদের ক্ষেত্রে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে অপারেশন বা সার্জারি। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে সার্জারির সময় রক্ত দেওয়া হয় তারপরেও এই অবস্থাতে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে এবং শারীরিক দুর্বলতা প্রকাশ পায় যার কারণে নতুনভাবে রক্ত তৈরি হতে সময় লাগে এই অবস্থাতে স্বাভাবিকভাবে তার হিমোগ্লোবিন কমতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করার খাবার
যে খাবারগুলো খেয়ে আপনি আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে পারেন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে আজকে আমরা দিক নির্দেশনা দেব। অবশ্যই চেষ্টা করবেন এই খাবারগুলো নিয়মিত আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে নিজের রক্তকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হিমোগ্লোবিন কে নিয়ন্ত্রণ করতে।সবার প্রথমে আমরা আপনাদের পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মাছ খাবার পরামর্শ দিচ্ছি। এ অবস্থাতে যদি সম্ভব হয় তাহলে সামুদ্রিক মাছের প্রতি গুরুত্ব বেশি দিতে হবে তার কারণ হচ্ছে সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি আছে যেটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
রক্ত বৃদ্ধি করতে পারে এরকম খাবারের তালিকার মধ্যে রঙিন ফলমূল অন্যতম এবং রঙিন ফাল্গুনের মধ্যে কমলালেবু থেকে ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও যেই ফলমূলগুলোতে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে যেমন মনে করুন আনার বা ড্রাগন ফল এই জাতীয় খাবার আপনাকে বেশি খেতে হবে রক্ত বৃদ্ধি করার জন্য।এছাড়াও রক্তের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কলিজা অত্যন্ত সুস্বাদু একটি খাবার। যেকোনো কলিজাই আইরনের পরিমাণ বেশি থাকে। এই কলিজা হতে পারে মুরগির কলিজা এই কলিজা হতে পারে গরুর মাংসের কলিজা আবার হতে পারে খাসির মাংসের কলিজা যেকোনো ধরনের কলিজা প্রচুর পরিমাণে আয়রনের ভরপুর।
এছাড়াও নিয়মিত পুষ্টিকর চিনাবাদাম এবং অন্যান্য বাদাম আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে আপনাকে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত দুধ এবং নিয়মিত ডিম যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে সেটা অনেক বড় উপকারে আসবে।