ডিএনসি করলে কি কি সমস্যা হয়

সাধারণত এটা এক ধরনের মেডিকেল ইমারজেন্সি। সাধারণত এটা সাধারণ মানুষের পক্ষে করানো হয় না এমন কিছু মেডিকেল ইমারজেন্সি আছে যার কারণে মেয়েদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা বা এই কাজটি করানো হয়ে থাকে। এটাকে সাধারণত এক ধরনের অপারেশনও বলা যেতে পারে। এটার অস্বাভাবিক কিছু পার্শ্বপ্রতিকে আমাদের মানুষের শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে চলুন জানার চেষ্টা করি।

ডিএনসি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত এই অশো পাচারের কারণে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি অস্ত্র পাচার। সাধারণত এর কারণে অনেক সময় অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন ভারী রক্তপাত তৈরি হতে পারে এই ডিএনসি করানোর পরে পিরিয়ডের সময়।

অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে জ্বর আসতে পারে। ব্যথা বা দুই দিনের বেশি স্থায়ী হতে পারে অর্থাৎ এই অবস্থাতে ব্যথা হলে এবং সে ব্যথা যদি দুই দিনের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই সেটা একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। সাধারণত দুর্গন্ধের সঙ্গে চাপ তৈরি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা যদি থাকে বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যদি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যেহেতু এটা অস্বাভাবিক একটি কাজ তাই স্বাভাবিকভাবে এটা হওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে মেয়েদের শরীরে। তাই যেকোনো ধরনের সমস্যাই হোক না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সমস্যা সমাধানে তার কারণ হচ্ছে বাড়িতে বসে থেকে আপনি যদি এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই পরবর্তী যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য এই সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডিএনসি কেন করা হয়

সাধারণত জরায়ুর মধ্যে যদি অস্বাভাবিক টিস্যুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় তাহলে সেই অস্বাভাবিক টিস্যু জরায় থেকে বের করার জন্যই মূলত ডিএমসি  করানো হয়। এই অস্বাভাবিক টিস্যু কোথায় থেকে আসে এরকম প্রশ্ন অনেকেই করতে পারেন। সাধারণত এই অস্বাভাবিক টিস্যু আসে গর্ভধারণের পরে। অনেক সময় গর্ভধারণের পরে গর্ভপাত হয় এবং সেটা যদি একেবারেই ছোট অবস্থাতে হয়ে থাকে তাহলে গর্ভধারণের সময় সেখানে যে টিস্যুগুলো তৈরি হয়েছিল যেগুলো ভবিষ্যতে বাঁচাতে রূপান্তরিত হতো সেই টিস্যুগুলো জরায়ুর মধ্যে আটকে থেকে যাওয়া সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এ অবস্থাতে যখন এই টিসুগুলো সেই স্থানে আটকে থাকে তখন সেই টিসুগুলো অপসারণ করানোর প্রয়োজন পড়ে। যদি সঠিক সময়ে টিস্যুগুলো অপসারণ করা না হয় তাহলে পরবর্তীতে বড় কোন সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই চেষ্টা করা হয় যাতে কোন ধরনের কাঁটা ছেঁড়া ছাড়াই এই টিসুগুলো জরের মধ্য থেকে অপসারণ করানোর আর এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিএনসি।

ডিএনসি করলে কি বেবি হবে

সাধারণত যারা গর্ভবতী হওয়ার প্রচেষ্টায় থাকেন এবং গর্ভবতী হওয়ার পরে গর্ভপাত ভোটার ফলে ডিএনসি করানোর প্রয়োজনীয়তা পরে তাদের ক্ষেত্রে মাথায় একটি চাপ থাকে সেটা হচ্ছে পরবর্তীতে গর্ভবতী হওয়া যাবে কিনা। সাধারণত ডিএনসি প্রক্রিয়ায় জরায়ুতে কোন ধরনের ক্ষতি করা ছাড়াই টিসুগুলো ভেতর থেকে অপসারণ করা হয় তাই এক কথায় পরবর্তীতে গর্ভধারণ হওয়ার ক্ষেত্রে ডিএনসি প্রক্রিয়াটি দায়ী থাকবে না।

অনেকের মনে দুশ্চিন্তা থাকে এই ঘটনাটি হওয়ার পরে গর্ভবতী হওয়া যাবে কিনা তবে এটা একেবারে ভুল ধারণা এই ঘটনা হওয়ার পরে আপনার শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলে আপনি শতভাগ গর্ভবতী হতে পারবেন। তবে পরবর্তীতে যদি গর্ভধারণ হতে অনেক রোগের সমস্যা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডিএনসি কে দোষ দিলে চলবে না আপনাকে একটু যাচাই-বাছাই করতে হবে তার কারণ হচ্ছে এটা অন্যান্য কারণেই মূলত হচ্ছে। তবে অবশ্য খেয়াল করতে হবে যেন যথেষ্ট রেস্ট দেওয়া হয় এই ঘটনাটি ঘটার পরে অন্তত ছয় মাস অথবা এক বছর আপনাকে রেস্ট থাকতে হবে তারপরে পুনরায় চেষ্টা করতে হবে গর্ভবতী হওয়ার জন্য।