ফ্যাটি লিভার হলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। কারো খুব কম সমস্যাতে বোঝা যায় আবার কারো অত্যাধিক সমস্যা তে ফ্যাটি লিভার বোঝা যায়। একটা অবাক করার কথা হল এই ফ্যাটি লিভার যে একটি বড় ধরনের রোগ এবং এটার কয়েকটি গ্রেড আছে আমরা সাধারণ মানুষ সে সম্পর্কে অবগতই নই। যে রোগ সম্পর্কে আমরা অবগত নই সেই রোগের প্রতিরোধ আমরা কিভাবে গড়ে তুলবো এটা সবথেকে বড় বিষয়।
সাধারণত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই মূলত আমরা এই আর্টিকেল তৈরি করেছি যেখান থেকে আপনারা ফ্যাটি লিভারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিভিন্ন অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এটি গবেষণা থেকে দেখা যায় গেছে যে পৃথিবীর সব থেকে বেশি মানুষ যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এ রোগে চিকিৎসার জন্য পৃথিবীতে মানুষ যারা আছে তারা যদি খরচ করেন তাহলে সব থেকে বেশি খরচ করতে হবে।
ফ্যাটি লিভার হলে কিভাবে বুঝবেন
সাধারণত কিছু উপসর্গ দেখা যাবে যে উপসর্গের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার চিহ্নিত করা যায়। লিভারের এই উপসর্গের মধ্যে প্রথম উপসর্গ হচ্ছে পেটের খাওয়ার পরিবর্তন। কারো কারো ক্ষেত্রে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাবে আবার কারো কারো প্রচুর ক্ষুধা পাবে কিন্তু যখন খেতে বসবে তখন দেখবে অল্প খাওয়াতে পেট ভরে যাচ্ছে। এরপরে অস্বস্তি অনুভূত হবে এবং পেট ফুলে আছে এরকম ভাব অনুভূত হবে এবং বদহজম শুরু হবে।
এরকম যদি উপসর্গ দেখা যায় তাহলে অবশ্যই সেটা ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ। এছাড়াও ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণত আরো কিছু অভ্যাস ত্যাগ করতে হয়। হঠাৎ করে যদি পেটে এবং তলপেটে ব্যথা হয় এবং সে ব্যথার কোন কারণ না থাকে এবং অতিরিক্ত গ্যাস হয় তাহলে সেটা ফ্যাটি লিভারের প্রাথমিক লক্ষণ। এর মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন আপনার এই সমস্যা হয়েছে কিনা তবে এটা শিওর হওয়ার জন্য অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে।
ফ্যাটি লিভারের সতর্কতা
ফ্যাটি লিভারে সাধারণত কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় যে সতর্কতা আপনি যদি আগে থেকেই গ্রহণ করতেন তাহলে এই সমস্যা তৈরি হতো না। এলকোহল সেবন করার অভ্যাস আমাদের অনেকের আছে এবং এই অ্যালকোহল সেবনের ক্ষেত্রে অনেকে মাত্রা ছাড়িয়ে চলে যান। নিয়মিত এই ধরনের অভ্যাস আপনার যদি থাকে তাহলে সেটা আপনার ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করবে যার কারণে ফ্যাটি লিভার অতিরিক্ত বেড়ে যাবে এবং যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই এটা বড় ধরনের একটি সতর্কতা লিভার নিয়ন্ত্রণের জন্য।
ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আরেকটি সতর্কবার্তা হচ্ছে যারা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন। প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করেন এবং খাওয়ার পেছনে সেটা করেন এবং যখন যা ইচ্ছে তখন সেটা খান এবং একেবারে শরীরের প্রতি খেয়াল রাখেন না ঘুরে বেড়ান এরকম ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়। এটা বড় ধরনের সতর্কতা।
ফ্যাটি লিভার কেন হয়
ফ্যাটি লিভার হওয়ার বিশেষ কিছু কারণ আছে। যেগুলোকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বলা হয়। এ অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন আমাদের যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। হঠাৎ করে একটা বয়সে আমরা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করি যেমন যখন যা ইচ্ছে তখন সেটা খায় টাকা পয়সার পরোয়া করি না। যখন যেখানে যেতে মন চায় সেখানে যায় কোন কিছু চিন্তা ভাবনা করি না এবং নিজের শরীরের প্রতি কোন ধরনের খেয়াল রাখি না। সাধারণত এরকম অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন যারা করেন তাদের ফ্যাটি লিভার হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার।
ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যারা খাবারে অতিরিক্ত তেল চর্বি খান এবং এই অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারেন না তাদের জন্য ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে বাড়িতে এমন একটি অভ্যাস গড়ে তুলতে যাতে করে সেখানে তেল চর্বির ব্যবহার কম করা হয় এবং পরিবারের সকলেই ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করতে পারেন।