এই পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত কিডনির সার্বিক অবস্থা নির্ণয় করা হয়। কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং এই অঙ্গে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে সেটা আমাদের জন্য বড় চিন্তার ব্যাপার। শুধু যে চিন্তার ব্যাপার এমন নয় যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে কিডনির চিকিৎসা নিয়ে।সাধারণত ক্রিয়েটি নিন পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর এই পরীক্ষার মান যদি 5.0 এর বেশি হয় তাহলে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন রয়েছে। এটা আদর্শ মান তবে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এটা পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ যাদের একটি কিডনি আছে অথবা যাদের কিডনিতে অপারেশন আছে বা এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা অথবা যাদের চিকিৎসা চলমান আছে এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে মান বিভিন্ন হতে পারে।
কিডনির রোগের লক্ষণসমূহ
কিডনি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আমাদের প্রত্যেকের শরীরে দুইটি করে কিডনি থাকে এই দুইটি কিডনি সমানভাবে আমাদের সাপোর্ট দেয় বিভিন্ন কাজে। আমাদের শরীরে যে তরল প্রবেশ করে তার প্রত্যেকটি তরল এই কিডনির মধ্যে দিয়ে পরিশোধিত হয়ে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায় তার কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরের যে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো রয়েছে তার মধ্যে কিডনি হচ্ছে একটি। সে কিডনিতে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই বিভিন্ন লক্ষণ দেখে আমরা সেটা বুঝতে পারব।কিডনি রোগের বড় লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। প্রস্রাবে সমস্যার মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া থেকে শুরু করে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ এবং প্রস্রাবে বিভিন্ন ধরনের রং পরিবর্তন যেমন রক্তের মতো লাল হওয়া এই ধরনের সমস্যার কারণে ধরে নেওয়া যায় সেই রোগীর কিডনিতে সমস্যা হয়েছে।
হঠাৎ করে পিঠে দুই পাঁজরে ব্যথা করাও কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। কিডনির সমস্যা সমাধান করতে এই লক্ষণগুলো অবশ্যই আপনাকে ফলো করতে হবে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে পেটে ব্যথা হতে পারে অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বমিও হতে পারে। কিডনি সমস্যার এই লক্ষণগুলো অবশ্যই রোগীকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শারীরিক দুর্বলতার সৃষ্টি হতে পারে কিডনির সমস্যার কারণে। হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমে যাওয়া এবং ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়া কিডনি সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। তাই এই লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে বসে না থেকে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে চলে আসুন।
কিডনি রোগের চিকিৎসা
কিডনি রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে পৃথিবীতে অনেক উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে তাই বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যাদের কিডনি র ইনফেকশন সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে কিছুদিন পর পর ডায়ালাইসিস করা একটি বাধ্যতামূলক চিকিৎসা। অনেকের ক্ষেত্রে হাজার চিকিৎসা করার পরেও কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা পড়ে।
কিডনিতে পাথর হলে কি করতে হবে
কিডনি রোগের একটি রোগ হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। কিডনিতে পাথর হলে স্বাভাবিকভাবেই সেটা সমস্যার কারণ এবং সেটা যদি অপসারণ না হয় তা অপসারণ না করা হয় তাহলে তিনি ড্যামেজ হওয়ার কারণ হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে সবার মা প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পাথরের অবস্থান এবং পাথরের আকার আকৃতি এবং সাইজ সম্পর্কে।তারপরে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এইগুলো সম্পন্ন হওয়ার পরে যদি পুনরায় আপনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ধরা পড়ে তাহলে অপারেশন করতে হবে। ভয় করার কিছু নেই বর্তমানে বাংলাদেশের ল্যাপটস্কপি সার্জারির মাধ্যমে পেট ফুটা করে কিডনির পাথর অপার অপসারণের অপারেশন করা হয়। ভাই এখানে দুশ্চিন্তার কোনই কারণ নেই।