আমরা এখন যতটা সতেজ এবং সুস্থ আছি হতে পারে ভবিষ্যতে এমন সুস্থ নাও থাকতে পারি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা কমিয়ে দিতে শুরু করে এবং তাদেরও বয়স হতে শুরু করে। যার ফলে যুবক বয়সে আমরা যেভাবে জীবন যাপন করতে পারি শেষ বয়সে ঠিক সেই ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের অসুখ আমাদের হয় এবং সেই অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়।
আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য যেখানে এমন একটি রক্ত পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে যার মাধ্যমে রক্তে ই এস আর এর পরিমাণ নির্ণয় করা যাবে। এই ই এস আর টেস্ট মূলত কেন করা হয় এবং এই এস আর টেস্ট এর মান যদি বেশি হয় তাহলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে আমরা আজকে জানবো। সাধারণত ই এস আর কমে গেলে কোন কোন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং পারলে কোন কোন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব এই আর্টিকেল থেকে।
কিভাবে রক্তের ই এস আর কমাবেন
সাধারণত অনেকের ক্ষেত্রে যে রোগগুলো হলে ই এস আর বেড়ে যেতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যক্ষ্মা এবং বাতজ্বর। এর পাশাপাশি রক্তশূন্যতা থেকে এবং থাইরয়েডের বিভিন্ন চিকিৎ সমস্যা এবং কিডনিজনিত বিভিন্ন সমস্যা যদি রোগীর হয়ে থাকে তাহলে সেখানে ই এস আর বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এলার্জিক ইনফেকশন থেকে শুরু করে হাড়ের ইনফেকশন এই ধরনের সমস্যায় এস আর বাড়তে পারে।
সাধারণত এই জিনিসটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সবার প্রথমে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তিনি যেভাবে আপনাকে চলতে বলছে আপনাকে সেই ভাবে চলতে হবে। সাধারণত কোন রোগের যদি সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেই রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করলে সেখানে ইএসআর কমে যেতে শুরু করবে। এখানে চিন্তার কোন কারণ নেই অবশ্যই আস্তে আস্তে আপনি সুস্থ হতে পারবেন।
ই এস আর বেশি হওয়ার কারণ কি
ESR বেশি হওয়ার কারণ সাধারণত কিছু রোগের কারণে হতে পারে। এসব কারণে কোন ধরনের রোগ ছাড়া ইএসআর বেশি আছে সেই কারণগুলো নিয়ে চিন্তা করতে থাকুন বেশি দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। আমরা যে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি সেখান থেকে সাধারণত বয়স জনিত কারণে ESR বেশি হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে প্রেগনেন্সির সময়ে ESR পরিমাণ বেশি আসে তাই এটাও চিন্তার কোন কারণ নাই এটা একটি খুশির কারণ। কোন ধরনের রোগ ছাড়াই আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় টেনশন করেন তাহলে আপনার রক্তে ই এস আর বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়াও কাজ বা ব্যায়াম করার পরপর টেস্ট করলে অর্থাৎ আপনি অতিরিক্ত কাজ করছেন এবং ব্যায়াম করছেন এবং নির্ধারিত মাত্রায় রেস্ট না করে ESR টেস্ট করতে গেছেন তাহলে সেখানে অবশ্যই এর মান বৃদ্ধি পাবে। ভিটামিন এ থেরাপি চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে কখন যদি রক্তের এই পরীক্ষা করানো হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে সেখানে পরীক্ষার মান বৃদ্ধি পেতে পারে তাই চিন্তার কোন কারণ নেই।
ইএসআর বেশি হলে করণীয়
আমরা উপরে খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের রোগ ছাড়াই কিভাবে ই এস আর বৃদ্ধি পায় এবং কোন কোন রোগের জন্য এই জিনিসটা বৃদ্ধি পায় সকল বিষয় একেবারে খোলামেলাভাবে বলেছি। এখন আপনি যদি ইএসআর বৃদ্ধি পাওয়া একজন রোগী হয়ে থাকেন তাহলে সবার প্রথমে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে একেবারে চিন্তা-ভাবনা বাদ দিতে হবে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সঠিক চিকিৎসা হলেই সর্বোচ্চ একমাস সময় লাগে এই ই এস আর নিয়ন্ত্রণে তাই আশা করছি আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন খুব তাড়াতাড়ি।