বাচ্চাদের ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়

সাধারণত নরমাল ডেলিভারি শুধুমাত্র যে বাচ্চা ওজনের উপর নির্ভর করে এটা ভুল। বর্তমানে পরিবেশ পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন হচ্ছে। আগের দিনে যেখানে প্রত্যেকটি মেয়ের নরমাল ডেলিভারি হত এখন নরমাল ডেলিভারি হওয়া মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়। নরমাল ডেলিভারি খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক কিছুই নির্ভর করে।

সবার প্রথমে নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক পরিস্থিতি অর্থাৎ তার শারীরিক গঠন এবং শারীরিক পরিস্থিতি কেমন আছে তার উপর। এরপরে গর্ভে থাকা সন্তানের শারীরিক সুস্থতা এবং তার গর্ভে থাকার পজিশনের উপর নরমাল ডেলিভারি নির্ভর করে। একটা বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ডেলিভারির সময় অর্থাৎ পেটে থাকা অবস্থাতে যদি কোন সমস্যা না হয় এবং ডেলিভারি হওয়ার সময় পর্যন্ত যদি সন্তান পেটে থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ওজনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই ওজন অবশ্যই ২.৫ কেজি থেকে 3.5 কেজির মধ্যে থাকতে হবে। এটা হচ্ছে আদর্শ একটি ওজন।

নবজাতক শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত

নবজাতক শিশুর ওজন কত হওয়া উচিত এ প্রসঙ্গে অনেকেই অনেক ধরনের প্রশ্ন করেন। নবজাতক শিশুর ওজন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে অনেকেই চিন্তায় থাকেন এই ওজন নিয়ে। সাধারণত যেই শিশুগুলো পেটের মধ্যে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া এবং সকল পুষ্টিগুণের মাধ্যমে বড় হয়ে ওঠে তাদের ওজন একটু বেশি হয়। আর গর্ভে থাকা শিশু সন্তানের মধ্যে যে সন্তানগুলো ছেলে হয় স্বাভাবিকভাবে তাদের ওজন বেশি হয় এবং যে সন্ধান গুলো মেয়ে হয় স্বাভাবিকভাবে ছেলেদের তুলনায় তাদের ওজন কম হয়। গর্বে থাকা সন্তানের ওজন কেমন আছে এরা জানার জন্য অনেক মা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করে। পরীক্ষার মাধ্যমে একটি সাধারণ ধারণা পাওয়া যায় কিন্তু শতভাগ সঠিক ধারণা পাওয়া যায় গর্ভের সন্তান প্রসব হওয়ার পরে।

এখানে গর্ভে থাকা সন্তান প্রসব হওয়ার পরে যদি ওজন করে দেখা হয় তার ওজন আড়াই কেজি থেকে সাড়ে তিন কেজির মধ্যে থাকে তাহলে সেটা একেবারেই স্বাভাবিক। এ অবস্থাতে সন্তানকে সুস্থ-সন্তান এবং সঠিক ওজন এর সন্তান হিসেবে ধরা হয়। তবে যে সন্তানের ওজন আড়াই কেজি এর নিচে হয় তাদের ক্ষেত্রে একটু চিন্তার বিষয় থাকে তবে এটা কোন চিন্তার কারণ নেই সন্তানের শারীরিক সুস্থতা যদি ঠিক থাকে তাহলে সেটাও কোন সমস্যা নয়।

জন্মের পরে বাচ্চাদের ওজন কত হওয়া উচিত

জন্মের পরে বাচ্চাদের ওজন সাধারণত আড়াই কেজি থেকে সাড়ে তিন কেজির মধ্যে হওয়াটা একেবারেই পারফেক্ট। এরপরে যে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে সেটা হচ্ছে জন্মের পরে বাচ্চাদের ওজন প্রথম কয়েক দিনে কমতে শুরু করে তারপর আস্তে আস্তে এটা বৃদ্ধি পায়। এটা সকলের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা পৃথিবীতে আসার পরে অনেক কিছুই তাকে সহ্য করতে হয় যার কারণে তার ওজনটা একটু কমে আসে কিন্তু সে যখন খাওয়া-দাওয়া ঠিকঠাকভাবে করতে শুরু করে এবং মায়ের বুকের দুধ যখন ঠিকঠাক ভাবে পেতে শুরু করে তখন থেকে তার ওজন বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে।

দেখে তো দেখা গেছে যে সন্তান প্রসব হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই সন্তানের যে ওজন আছে সেটা দুই গুণ হওয়া উচিত। যদি সন্তান প্রসব হওয়ার পরে তার ওজন ৩ কেজি থাকে তাহলে তিন মাস পরে তারা ওজন ৬ কেজি হলে সেটা সব থেকে ভালো এবং এই অবস্থাতে সন্তান সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে বলে ধারণা করা হয়।

বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধির উপায়

বাচ্চাদের ওজন বৃদ্ধিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ। একটি সন্তান যদি দুই বছর পর্যন্ত সুন্দরভাবে মায়ের বুকের দুধ পান করতে পারে তাহলে সেই সন্তান এমনিতেই পুষ্টিগুনে ভরপুর এবং শক্তিশালী সন্তান হয়ে বেড়ে উঠবে।