মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তবে এগুলো নিয়ে চিকিৎসকের বেশি পড়াশোনা করেন সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো জানার কোন প্রয়োজনীয়তা পড়ে না। তবে একটি মানুষ কি রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং সেই রোগ কেন হয়েছে তার ধরন কি সেটা হলে কি সমস্যা হয় এরকম তথ্য জানাটা তার অধিকার। তার শরীরের ওপর দিয়ে কি চলে যাচ্ছে সেটা যদি সে জানতে না পারে তাহলে সব সময় তার মনে সন্দেহ কাজ করবে।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা আপনাদের ভাস্কুলার ডিজিজ সম্পর্কে ধারনা দেব। সাধারণত একটি চিকিৎসক সে সম্পর্কে একটি বিবৃতি প্রদান করেছেন এবং সেই বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী আমরা সাধারণত এই সমস্যা কি সেটা সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। সাধারণত ভাস্কুলাইটিস শব্দের আক্ষরিক অর্থ রক্তনালীর প্রদাহ জনিত সমস্যা। আমরা এই বিষয়ের নিচে একটু আলোচনা করব তবে এখানে আমরা আপনাদের বোঝাতে চাচ্ছি যে সাধারণত সেরেভ্রাল ভাসকুলাইটিস মস্তিষ্কের রক্তনালী প্রদাহ। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই রোগ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আছে।
ভাস্কোলাইটিস কি রোগ
আমরা উপরে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছি আবারো বলছি ভাস্কুলাইটিস শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে রক্তনালীর প্রদাহ জনিত সমস্যা। শরীরে যেকোনো অঙ্গে রক্তনালী থাকে এই রক্তনালীতে যদি প্রদাহ জনিত কোন সমস্যা দেখা দেয় সেই ধরনের রোগ গুলোকে বলা হয়ে থাকে ভাস্কোলাইটিস রোগ। তাই কোন চিকিৎসক যদি কাউকে বলে থাকেন তার ভাস্কোলাইটের সমস্যা হয়েছে তাহলে সে এক কথায় বুঝতে পারবে যে তার রক্তনালীর প্রদাহের সমস্যা হয়েছে।
এর মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরনের ভাগ আছে যেমন সেরিব্রাল ভাস্কুলাইটিস এর অর্থ হচ্ছে মস্তিষ্কের রক্তনালী প্রদাহ। এটা এক ধরনের বিরল রোগ যেটা সাধারণত খুব কম মানুষের হয়ে থাকে। শরীরের যে কোন অঙ্গেই রক্ত না লেগে প্রদাহ জনিত সমস্যা হতে পারে কিন্তু মস্তিষ্কে রক্তনালীর প্রদাহ হওয়া খুব কম। এই রোগ সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে এগুলা সম্পর্কের ভালোভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভাস্কুলার ডিজিজ এর উপসর্গ
প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান খুঁজতে হলে অবশ্যই আপনাকে তার উপসর্গগুলো প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে তার উপসর্গ গুলো খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে আপনি সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারবেন যা আপনাকে সঠিক সুস্থতা এনে দেবে। সাধারণত ভাস্কুলার রোগ অত্যন্ত জটিল এবং অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ সেই রোগের সঠিক সমাধান খুঁজে পেতে হলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সবার প্রথমে তার সঠিক লক্ষণ এবং উপসর্গ শরীরে খুঁজে বের করা। এ সমস্যা যখন খুঁজে বের করবেন তখন অবশ্যই তার সমাধানও খুঁজে পাওয়া যাবে।
প্রাথমিক অবস্থাতে সাধারণত যে সমস্যা দেখা দেয় সেটা হচ্ছে হাতের রক্ত সরবরাহকারী ধমনী আক্রান্ত হলে হাতে ব্যথা এবং ঘা বা গ্যাং গ্রিন হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থাতে যদি এই লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে অবশ্যই সেটা ভাসকুলারে ডিজিজ এর লক্ষণ এ অবস্থাতে অবশ্যই জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
যদি পায়ের ছোট ধমনী আক্রান্ত হয় তাহলে আঙুলে ঘা বা গ্যাংগ্রিন হতে পারে। সাধারণত এই সমস্যা অনেক রোগীর হয়ে থাকে কিন্তু আমরা এগুলা অবহেলা করি যার কারণে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয় তাই সময় থাকতেই আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও যে উপসর্গ আরও রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হাত বা শরীরের অন্যত্র বড় এলাকা জুড়ে লালচে ফোঁটা ফোটা দাগ হতে পারে এই ভাস্কুলার ডিজিজের জন্য। এছাড়া অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে পাকস্থলী বা অন্ধের রক্তনালী আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা হতে পারে বিশেষ করে খাবারের পরে এই ব্যথা আরো বেশি হতে পারে।
কিডনির রক্তনালী আক্রান্ত হলে রোগী কিডনির জটিলতা নিয়ে আসতে পারেন তাই আমরা বলতে পারি যে শরীরের যে কোন অঙ্গ ভাসকুলারের ডিজিজে আক্রান্ত হতে পারে তার কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটি অঙ্গে রয়েছে রক্তনালী আর এই রোগের মূল সমস্যাই হচ্ছে রক্তনালীর প্রদাহ।