যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে আমরা চেষ্টা করি ঔষধ খেতে। ওষুধগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী হয়ে থাকে কিন্তু সেই ঔষধ যদি আমরা ভুল কারণে খেয়ে থাকি তাহলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য অপকারী হবে। সাধারণত আমরা কোন ধরনের ওষুধ খাব সেটা নির্ভর এবং নির্বাচন করবে চিকিৎসকের চিকিৎসার ওপর। সাধারণত আজকে যেই গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ নিয়ে আমরা কথা বলব সেই ঔষধ অপসনিন ফার্মা লিমিটেডের একটি ঔষধ।
এখানে ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ক্লোনাজিপা। এই ওষুধের বেশ কয়েকটি ধরন বাজারে রয়েছে তবে এখানে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর বিবেচনা করে চিকিৎসক নির্ধারণ করে দেবে কে কোন ঔষধ খাবে। আপনি যদি বাজারে ০.৫ মিলিগ্রাম এর এই ট্যাবলেট কিনতে চান তাহলে তার দাম পড়বে 6.50 টাকা। এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনারা জানতে চাইলে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়তে হবে যেখানে এই ঔষধ সম্পর্কে অনেক খুঁটিনাটি তথ্য দেওয়া আছে।
পেইস ট্যাবলেট কেন খাবেন
আপনি যদি এমন প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে সে প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে, যে কোন ধরনের প্রাণী কে ডিশঅডারে এই ঔষধ নির্দেশন করা হয়। অর্থাৎ যদি রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখেছি চিকিৎসকরা এটা বুঝতে পারেন পেনিক ডিসঅর্ডারের সমস্যার কারণে এরকম হচ্ছে তাহলে তাকে অবশ্যই এই ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। তার কারণ হচ্ছে এই ট্যাবলেটের রয়েছে কোনাজিপাম পাম্প যেটা রোগীর বিভিন্ন ধরনের প্যানিক ডিসঅর্ডার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। শুধু এখানেই এর কার্যকারিতা শেষ নয় এর পাশাপাশি যাদের হঠাৎ করে ভয় হওয়ার রোগের লক্ষণ দেখা পড়ে যেমন যে কোন অল্প সমস্যাতেই সে রোগী ভয় পায় এরকম ধরনের সমস্যার সমাধানের এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত যারা মনে করেন এই ঔষধ ঘুমের ঔষধ এবং সরাসরি ভাবে ঘুমের জন্য এই ঔষধ কাজ করে তাহলে বলবে সেটা ভুল। সাধারণত এগুলো সরাসরি ভাবে কোন ঘুমের কাজ করে না এগুলো সাধারণত মানসিক প্রশান্তি দেয় যার কারণে ঘুম আসে। দীর্ঘদিন ধরে এই জিনিসটা ব্যবহার করা অবশ্যই ক্ষতির কারণ হতে পারে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ খেতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসকেরা যতটুকু খেতে বলেন সেই অনুযায়ী সর্বোচ্চ নয় সপ্তাহ একটানা এই ওষুধ খাওয়া যাবে।
পেইস ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
প্রত্যেকটি ওষুধের সঠিক নিয়ম আছে সে নিয়ম মেনে যদি ঔষধ খাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ওষুধের কার্যকারিতা পাওয়া যায়। আর আপনি যদি সেই নিয়ম না মানেন তাহলে কার্যকারিতা তো দূরের কথা বরঞ্চ সেই ঔষধ আপনার শরীরে আরো ক্ষতি করতে পারে। আজকের এই ক্লোনাজি পাম্প প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত প্যানিক ডিজার্ডারে দিনে সর্বোচ্চ ১.৫ মিলিগ্রাম করে তিনবার খাওয়া যাবে। এছাড়া অন্যান্য রোগীর ক্ষেত্রে যাদের সিজার নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন অনুসারে অন্তত কমপক্ষে তিন দিন অন্তর অন্তর শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম অতিরিক্ত মাত্রা অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
এছাড়াও প্যানিক ডিসঅর্ডার এর ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হতে পারে শূন্য দশমিক ২৫ মিলিগ্রাম দিনে দুইবার এবং তিন দিন অন্তর অধিকাংশ রোগের ক্ষেত্রে ঔষধের লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক 1 মিলিগ্রাম বৃদ্ধি করা যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে তবে চেষ্টা করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ ব্যবহার করতে।
পেইস ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
প্রত্যেকটি ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং স্বাভাবিকভাবেই ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সাধারণত ৫০% রোগীদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং ৫০% রোগীদের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত চলাচল এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আচরণগত পরিকল্পনা অনেকের ক্ষেত্রে আরও গুরুতর সমস্যা যেমন খিচুনি বা মাথা ঘোরা এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।