ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ওষুধ খাবেন সেটা নির্ভর করবে কোন সমস্যার কারণে আপনার এই কাজটি হচ্ছে। আপনারা হয়তো আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করেন আমাদের ওয়েবসাইটে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার বেশ কয়েকটি আর্টিকেল তৈরি করা আছে যেখানে আমরা খুব সুন্দর ভাবে এর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছি যে কারণগুলো এই প্রস্রাব হওয়ার পেছনে দায়ী।স্বাভাবিক কারণে যদি কোন রোগের ঘনঘন প্রস্রাব হয় তাহলে তাকে কোন ধরনের ঔষধ খেতে হবে না তবে যদি অস্বাভাবিক কারণে তার ঘন ঘন প্রস্রাব হয় তাহলে অবশ্যই তাকে ঔষধ খেতে হবে। স্বাভাবিক কারণে ওষুধ খেতে হবে না তার মধ্যে একটি কারণ হলো প্রস্রাবের ইনফেকশন। সাধারণত প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে অনেক সময় প্রচুর পানি পান করা এবং সঠিক সময় প্রস্রাব করার অভ্যাস গড়ে তুললে ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়ে না।
তবে যদি গুরুতর কোন সমস্যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় তাহলে সবার প্রথমে সেই সমস্যাকে চিহ্নিত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলতে হয় প্রোস্টেটের সমস্যা। বয়স্কদের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে বিরক্তিকর সমস্যা হচ্ছে প্রস্ট্রেট সমস্যা। প্রোস্টেট সমস্যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় এবং এটা অনেক বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা যে এই প্রস্রাব ভালোভাবে হতে চায় না যার কারণে পুনরায় আবার একটু পরে প্রস্রাব চাপে। এই ধরনের গুরুতর সমস্যার কারণে আপনাকে সবার প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সেই রোগের চিকিৎসা করতে হবে। অর্থাৎ আগে প্রোস্টেটের চিকিৎসা করুন প্রস্ট্রেটের সমস্যার সমাধান হলে এমনিতেই আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কমে যাবে।
আশা করছি বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে আপনাদের বোঝাতে পারলাম ঘনঘন পোস্টার হওয়ার আলাদা কোনো কারণ নেই বরং যেই কারণে ঘনঘন প্রস্রাব হচ্ছে সে কারণগুলো সমাধান করতে পারলে আপনার কোন ধরনের ঔষধ খেতে হবে না। যারা এই সমস্যার কারণে অযথায় ওষুধ খেতে চাচ্ছেন বা ওষুধ খাচ্ছেন তাদেরকে বলব এই ওষুধ খেয়ে কোন লাভ হবে না।
কিডনির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কি করা উচিত
কিডনি সমস্যা নিয়ন্ত্রণের সবার প্রথমে যে কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে কিডনির রোগ নির্ণয়। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি এবং সব থেকে পপুলার রোগ হচ্ছে কিডনিতে পাথর। এটা যদি কোন ব্যক্তির হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সঠিক সময় চিকিৎসা করতে হবে তা না হলে এই পাথর আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করবে যেটা পরবর্তীতে অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবং প্রয়োজন পড়লে তাড়াতাড়ি অপরেশনের মাধ্যমে পাথর অপসারণ করতে হবে যেটা সবথেকে ভালো উপায়।
প্রোস্টেট সমস্যার চিকিৎসা
বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে পোস্টেদের সমস্যা কমন একটি ব্যাপার। প্রোস্টেটের সমস্যাতে প্রোস্টেটের আকার এর পরিবর্তন হয় যার কারণে সেটা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। সঠিকভাবে কাজ না করতে পারার কারণে যখন প্রস্রাবের চাপ হয় তখন সেটা ঠিকভাবে বোঝা যায় না এবং প্রস্রাব করতে বসার সময় চাপ অনুযায়ী প্রস্রাব বের হতে চায় না।
যার কারণে অনেক সময় ধরে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রস্তাব অল্প অল্প করে বের হয় যেটা অত্যন্ত বিরক্তির কারণ। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে আবার এমন হয় যে প্রস্রাব সম্পূর্ণ হওয়ার পরেও প্রস্রাব বের হতে থাকে যেটা তার জামা কাপড় নষ্ট করে দেওয়ার মতন প্রবণতা তৈরি করে।এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সময়মতো আপনাকে চিকিৎসা করতে হবে এবং এই চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে ওষুধের মাধ্যমে সেটা নিরাময় করা যায় তবে যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে প্রশ্নের অপারেশনের মাধ্যমে তার আকৃতি ঠিক করা হয় যেটা অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা।