বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের করণীয়

বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরে স্বামী-স্ত্রী অবশ্যই তাদের ভবিষ্যতের জীবনে একটি সুন্দর পরিকল্পনা করেন এবং সেই পরিকল্পনার সবার উপরে যেটা প্রাধান্য পায় সেটা হচ্ছে সন্তান গ্রহণ। নিজের সন্তানকে অনেক আদরে রাখবেন এবং নিজের সন্তানকে অনেক ভালো রাখবেন বলেই অনেক বাবা-মা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন। সেই ত্যাগের মধ্যে একটি হচ্ছে সন্তানকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করা নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য।

সন্তান গ্রহণের পূর্বে পুরুষদের সাধারণত যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য একটা কিছু করা। অবশ্যই বাবাকে আগে স্বাবলম্বী হতে হবে তারপর চেষ্টা করতে হবে সন্তান নাও আত্মার কারণ হচ্ছে বাবা যে কষ্ট করেছে সন্তানও যদি পৃথিবীতে আসার পর একই কষ্ট করে তাহলে সেটা অনেক দুঃখজনক। এরপরে আরেকটি পরিকল্পনা করতে হবে সেটা হচ্ছে সময়। সন্তান গ্রহণের জন্য সেটা সঠিক সময় কিনা সেটা পুরুষকে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা। অনেক পুরুষ এমন আছে বিয়ে করার সঙ্গে সঙ্গে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু এই অবস্থাতে তারা খেয়াল করে না তার সঙ্গীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে কিনা সন্তান নেওয়ার জন্য উপযুক্ত কিনা। এরপর আরেকটি বিষয় চিন্তা ভাবনা করা উচিত সে সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারবে কিনা এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা।

বাচ্চা নেওয়ার আগে কতবার সহবাস করা উচিত

সাধারণত ব্যাথা নেওয়ার আগে কতবার সহবাস করতে হবে এটার কোন আলাদা নিয়ম নেই। স্বামী স্ত্রী যারা বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তারা অবশ্যই চেষ্টা করেন । এখন পর্যন্ত কোন ডাক্তারি চিকিৎসায় এটা বলা হয়নি যে সন্তান নেওয়ার জন্য কতবার চেষ্টা করতে হবে। ডাক্তারি চিকিৎসায় এটা বলা হয়েছে যে সন্তান নেওয়ার জন্য অবশ্যই বারবার চেষ্টা করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সন্তান আসে।

তবে সহবাসের সময়ের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে অর্থাৎ কখন সহবাস করলে সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বেশি থাকে সে সম্পর্কে কিছু দিকনির্দেশনা আছে যেটা ডাক্তারি চিকিৎসাতেও পাওয়া যায়। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা সেই সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পেতে পারেন।

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময় হচ্ছে স্ত্রীর মাসিকের সময়ের উপর নির্ভর করে। মেয়েদের মাসিক হওয়ার একটি নির্ধারিত সময় থাকে এবং মাসিকের সময়ের এই নির্ধারিত সময়ের উপর নির্ভর করে সাধারণত সহবাসের উপযুক্ত সময় থাকে সন্তান গ্রহণের জন্য। এক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার অষ্টম দিন থেকে ২০ তম দিন পর্যন্ত সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে। মেয়েদের ফাটাইল উইন্ডো নামের একটি সময় থাকে এই সময়টিতে ডিম্বাণু তৈরি হয় এবং সেই ডিম্বাণুর জড়ায়ুতে আসে।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই ডিম্বাণ শুধুমাত্র ২৪ ঘন্টার জন্য জড়ো হতে থাকে এবং এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি সহবাস করা হয় তাহলে কেবলমাত্র সন্তান গ্রহণ সম্ভব হয় তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই কয়টা দিনে জানো সহবাস করা হয়। আর কি বাসায় চিকিৎসকের অবশ্যই একদিন পরপর সহবাস করতে বলেন যেটা সন্তান গ্রহণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।

ইসলামিক নিয়মে বাচ্চা নেওয়ার নিয়ম

ইসলামিক নিয়মে বাচ্চা নেওয়ার আলাদা কোন নিয়ম নেই। একদম দম্পতি যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তখন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা দেওয়ার সকল নিয়ম মেনে তারা বিয়ে করেন। এরপরে তারা যেকোনো সময় বাচ্চা নিতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। তবে অনেকে হয়তো বর্তমানে বাচ্চা নেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতিকে উল্লেখ করে এ প্রশ্ন করেন। সাধারণ পদ্ধতিতে যখন সন্তান আসে না তখন বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে বর্তমানে এগুলো কতটা সঠিক এবং এগুলো কতটা ঠিক হবে সে সম্পর্কে জানার জন্য বিস্তর আলোচনা প্রয়োজন রয়েছে।