বাচ্চাদের সর্দি হলে অবশ্যই সেটা চিন্তার কারণ তার কারণ হচ্ছে এই সর্দি যদি অল্পতেই ভালো না হয় তাহলে সেটা ফুসফুসের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আর আমরা সকলেই জানি নবজাতক এবং একবারে কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই সর্দি দীর্ঘদিন ধরে লেগে থাকলে নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নিউমোনিয়া কতটা খারাপ রোগ সেটা আমরা অবশ্যই জানি তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে বাচ্চারা এই সমস্যায় দীর্ঘদিন না থাকে।
এ অবস্থাতে অবশ্যই স্বাভাবিক খাবার খাবে বাচ্চারা চেষ্টা করতে হবে খাবারগুলো যাতে গরম অবস্থাতে থাকে সেই অবস্থাতেই খেতে। যদি কোন শিশু মায়ের বুকের দুধ খায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে মায়ের কোন ভাবে ঠান্ডা না লাগে এবং মা যাতে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই ঠান্ডা পরিবেশে তাকে বুকের দুধ না খাওয়ান। এ অবস্থাতে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে বাচ্চাকে সব সময় গরম জায়গাতে এবং গরম পানি ব্যবহার করতে। এই নিয়মগুলো যদি একজন অভিভাবক ফলো করেন তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চার এই সমস্যার সমাধান হবে।
বাচ্চাদের সর্দি হওয়ার কারণ
বাচ্চাদের সর্দি হওয়ার যে প্রাথমিক কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা। বাচ্চারা সাধারণত অনেক ছোট থাকে এবং তাদের কি হচ্ছে তারা মুখে বুঝিয়ে বলতে পারে না। কিন্তু আমরা যারা বড় আছি তাদের কখন ঠান্ডা লাগছে বা কখন গরম লাগছে সেটা আমরা বুঝতে পারিনি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা কম হয় যার কারণে একটু অখেয়াল হয়ে গেলে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ঠান্ডা তাপমাত্রায় কখনোই বাচ্চাকে না রাখা হয়।
বাচ্চাদের সর্দি লাগার আরেকটি কারণ হচ্ছে বাচ্চার মায়ের সর্দি লাগ। যে সকল বাচ্চারা মায়ের দুধ খান তাদের মায়ের দুধের সঙ্গে অনেক কিছুই বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করে এই অবস্থাতে যদি মায়ের ঠান্ডা লাগে তাহলে সে ক্ষেত্রে সন্তানেরও ঠান্ডা লাগতে পারে এটা একেবারে স্বাভাবিক ঘটনা।
এছাড়া হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে এবং সেই ঠান্ডা থেকে জ্বর এবং সর্দি আসতে পারে তাই অবশ্যই খেয়াল করতে হবে এই ধরনের আবহাওয়াতে অবশ্যই সন্তানের প্রতি যেন যথেষ্ট খেয়াল রাখা হয়।
কিছু কিছু বাচ্চা আছে ছোটবেলা থেকে অনেক চঞ্চল এবং তারা গোসল করতে গিয়ে অনেক সময় ধরে গোসল করে এটা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস।একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানির অপচয় হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে পানি শরীরে ঢালার কারণে তার শরীরে তাপমাত্রা কমে গিয়ে ঠান্ডা রাখতে পারে যেটা সর্দির অন্যতম কারণ।
বাচ্চাদের সর্দি হওয়ার লক্ষণ
বাচ্চা সর্দি হওয়ার স্বাভাবিক যে লক্ষণগুলো রয়েছে তার মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। যে বাচ্চাগুলো এখন পর্যন্ত কথা বলতে সেখানে তাদের সাধারণত কি সমস্যা হচ্ছে তারা বলে বোঝাতে পারবে না এই অবস্থাতে যদি বাচ্চার শ্বাসকষ্ট দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে তার সর্দি হয়েছে।
এবং হঠাৎ করে হালকা জ্বর আসা ও বাচ্চার সর্দি লাগার অন্যতম লক্ষণ এই অবস্থাতে খেয়াল করতে হবে বাঁচার অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা যদি অন্য সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন তার ঠান্ডা সর্দি লেগেছে।
বাচ্চাদের সর্দির চিকিৎসা
এই অবস্থা তো অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তার কারণ হচ্ছে এই ক্ষেত্রে বাদশা শারীরিক ওজন এবং বাচ্চার বয়সের উপর নির্ভর করে ওষুধ খেতে হবে। তবে সবার প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে যেন তাকে কোন ধরনের ঠান্ডা পরিবেশ উপহার না দেওয়া হয় সব সময় তাকে গরমের মধ্যে রাখতে হবে এবং তাকে যে খাবারগুলো খেতে দেওয়া হবে সেগুলো যেন গরম খাবার হয়।।