কিডনি সমস্যা হলে অবশ্যই একটি সুন্দর এবং নিয়মমাফিক জীবন যাপন আপনাকে করতে হবে তা না হলে যে কোন সময় কিডনি ড্যামেজের মত দুর্ভাগ্য আপনার কপালে আসতে পারে। যারা কিডনি রোগে আছেন তারা বিভিন্ন রোগের জন্য লড়াই করছেন। আমরা সকলে অবগত আছি যে কিডনি রোগ বলতে শুধুমাত্র এক ধরনের রোগ কে বোঝানো হয় না কিডনি রোগ বলতে বিভিন্ন ধরনের রোগ কে বোঝানো হয়।কিডনি ড্যামেজ থেকে শুরু করে কিডনিতে পাথর হওয়া বা কিডনির নালীগুলো সরু হয়ে যাওয়া এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে বিভিন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে।
তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সবার প্রথমে কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে রোগী। বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হয় তাই এ বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করবো কি কিডনির রোগ হলে কোন কোন খাবার বা কোন কোন ঔষধ একজন ব্যক্তি খেতে পারে সেই সম্পর্কে। কিডনি অনেক জটিল একটি সমস্যা তাই এই বিষয়ে যদি অসতর্ক থাকা যায় তাহলে সেটা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কিডনি রোগীদের জন্য খাবার
যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগে আছেন তাদের জন্য প্রথম যেই নিয়ম ঠিক করে তুলতে হবে সেটা হচ্ছে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা। আপনি যদি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২+ পানি পান করেন তাহলে অবশ্যই আপনার কিডনি সুস্থ থাকবে এবং তার কার্যকলাপ গুলো সঠিকভাবে করতে পারবে যার কারণে যেকোনো ধরনের রোগ এবং যেকোনো ধরনের সমস্যার বিরুদ্ধে কিডনি একাই লড়াই করতে পারবে।
এর পাশাপাশি আপনাকে যে খাবারগুলো খেতে হবে সেটা হচ্ছে একবারে হালকা খাবার। একটি বিষয় লক্ষ্য করলে আপনারা বুঝতে পারবেন কিডনির সঙ্গে পাকস্থলী রয়েছে খুব ভালো সম্পর্ক। আপনি যদি অসুস্থ অবস্থাতে আপনার পাকস্থলীকে সুন্দর রাখতে পারেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কিডনি সুন্দরভাবে তার কার্যকলাপ করতে পারবে। তাই এমন কোন খাবার আপনি সেবন করবেন না যে খাবারগুলো আপনার পাকস্থলীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আস্তে আস্তে সেটা পরবর্তীতে আপনার কিডনি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করবে।যাদের অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস আছে তাদের কাছে অনুরোধ থাকছে যদি কোন ধরনের সমস্যা দেখতে না চান তাহলে এখন থেকে অ্যালকোহল সেবন করা বন্ধ করে দিন। অ্যালকোহল সেবনের জন্য সবথেকে বড় ক্ষতি হয় পাকস্থলী এবং কিডনিতে তাই এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রেখে চলতে হবে এবং যারা এখন থেকে অ্যালকোহল সেবন করেন তাদেরকে চেষ্টা করতে হবে এই অ্যালকোহল সেবন বন্ধ করে দিতে।
এর পাশাপাশি চিকিৎসকরা নিয়মিত যেই ঔষধ গুলো সেবন করতে বলছে সেই ওষুধগুলো অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে সেবন করতে হবে। এমন অনেক মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে দুনিয়ার সবকিছু সে সঠিকভাবে করে কিন্তু ঔষধ খাওয়ার বেলায় সে অনীহা পোষণ করে এই ধরনের রোগীদের কিডনির রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। কারণ ঔষধ খেতে অনীহা করলে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন না।কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে কিডনি রোগীদের নিয়মিত চেকআপের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি কিডনি রোগের চিকিৎসা নিয়মিত করতেন না পারেন তাহলে সেটা আপনার দুর্বলতা। কারণ হচ্ছে কিডনি রোগের সমস্যা যদি বাড়তে শুরু করে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সেটা বেড়ে যায় এবং এটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ে তাই আশা করছি বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
এছাড়াও চেষ্টা করুন খাবারের লবণ পরিহার করতে অর্থাৎ লবণ ছাড়া খাবার যদি সম্ভব হয় সেটা সেবন করুন কিডনিকে ভালো রাখতে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বর্জন করুন এবং অল্প অল্প লবণ খেয়ে অভ্যাস গড়ে তুলুন কিডনিকে সুস্থ রাখার।