কেমোথেরাপীর পর করণীয়

ক্যান্সার মরণঘাতী রোগ এই সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যদি কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে বেঁচে থাকতে হলে। ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার মধ্যে কেমোথেরাপি হচ্ছে সবথেকে বড় চিকিৎসা। এটা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যে চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক বেশি সময় এবং অনেক বেশি টাকা খরচ করায়। আজকে আমরা সেই গেমও থেরাপির খুঁটিনাটি কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করব যেগুলো আমাদেরকে সাহায্য করবে এই সম্পর্কে জানতে।

সাধারণত কেমোথেরাপির আগে এবং পরে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় এবং এটা সঠিকভাবে কেমোথেরাপি কে আপনার উপকারে আনতে সাহায্য করে। আমরা বিভিন্ন বড় বড় সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটা জানতে পেরেছি যে কে মোথানাফি দ্বারা রোগীদের বিশেষ কিছু কাজ আছে যেগুলো তাই তাদের মেন্টেন করতে হবে।

কেমোথেরাপীর পরবর্তী খাবার

কেমোথেরাপির পরবর্তী খাবারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ হচ্ছে কেমোথেরাপি এমন একটি সমস্যা যে সমস্যার কারণে তার শরীরে অনেক বেশি প্রভাব পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সকল রোগীরা শারীরিকভাবে অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং তাদের ঘন ঘন বমির প্রবণতা হতে থাকে। তাই কেমোথেরাপিযুক্ত রোগীদের সব সময় অল্প এবং বেশি পুষ্টিযুক্ত খাবার এবং হালকা খাবার খাবার চেষ্টা করতে হবে। যে খাবারগুলো তাদের শরীরকে অতিরিক্ত ভারি না করে দেয় এবং তাদের অতিরিক্ত কষ্ট না দেয় এমন খাবার তাদের খেতে হবে।

কেমোথেরাপের পর কি সমস্যা হয়

কেমোথেরাপীর পরে সব থেকে বড় যে সমস্যাটা হয় সেটা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। আর এই শারীরিক দুর্বলতার পেছনে দায়ী থাকে মানসিক দুর্বলতা। কেমোথেরাপির পরে যে রোগীগুলো মানসিক দুর্বলতা কাটিয়ে শারীরিক দুর্বলতে দূর করতে পারে তারাই কেবলমাত্র সঠিকভাবে সুস্থ হতে পারে। আর এর জন্য প্রয়োজন পড়েছে ডাক্তারের সঠিক কমিউনিকেশনের। এবং পরিবারের সদস্যদের সঠিক সাপোর্টের।যে পরিবারে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী আছে সেই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে এটা মাথায় রাখতে হবে যে সেই রোগীকে তাকে সর্বোচ্চ সময় দিতে হবে এবং সর্বোচ্চ ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই জিনিসগুলো যদি আপনি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে কেমোথেরাপি রোগীগুলো কেমোথেরাপের পরেও সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে।

কিছু কিছু লক্ষণের মধ্যে অতিরিক্ত বমি হওয়া এবং খাবারে অনীহা হতে পারে যেগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আস্তে আস্তে ঠিক করা যায়। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শরীরে অত্যাধিক দুর্বলতা দেখা দেয় আবার অনেকের রোগীর ক্ষেত্রে মাথার চুল পড়ার প্রবণতা দেখা দেয় এগুলো সবকিছুই সেরে উঠে আস্তে আস্তে তবে এখানে প্রয়োজন রয়েছে পরিবার এবং ডাক্তারের সাপোর্টের।

কেমোথেরাপের খরচ কত বাংলাদেশ

ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ তাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে এ ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় যে টাকা খরচ হবে সেটা হবে সর্বোচ্চ পরিবারের টাকা। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে বাংলাদেশের ক্যান্সারের সাধারণত তিনটি পন্থা অবলম্বন করা হয় এবং এই কথাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অষ্টপাচার অপরটি হচ্ছে কেমোথেরাপি এবং সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে রেডিও থেরাপি।এখানে আমরা বিভিন্ন তথ্য সংঘের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় বলেছেন সব সরকারি হাসপাতাল একবার রেডিও থেরাপির জন্য ২৫ হাজার এবং একবার কেমোথেরাপির জন্য 20000 এবং অষ্টপাচারের ষাট হাজার টাকা খরচ হয়। এখানে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এটা কিছুটা কম বেশি হতে পারে তবে বড় ধরনের কম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে।

তবে হ্যাঁ যারা বেশি ভালো জায়গাতে এবং ভিআইপি জায়গাতে এই চিকিৎসা করাতে চাইবেন তাদের ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক খরচ আরো হতে পারে। এখানে খরচের পরিমাণ দুই গুণ বেড়ে যেতে পারে যদি কিনা খুব উচ্চবিলাসিতা হাসপাতালে আপনি এই থেরাপি গুলো দিতে চান। আশা করছি কেমোথেরাপি সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা আপনার আমাদের এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারলেন।