বিলিরুবিন বেড়ে গেলে করণীয়

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপাদান একেবারেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুস্থ আছি এই উপাদানের রেশিওগুলো বজায় থাকে কিন্তু যখন এই রেশিও ভাঙতে শুরু করে অর্থাৎ কোন উপাদান কম অথবা কোন উপাদান বেশি তখন আমরা অসুস্থ হতে শুরু করি। আপনি যদি সামান্য একটি উপাদান কেউ আপনার শরীরের থেকে বের করে ফেলেন তাহলে দেখবেন তার ঘাটতি আপনাকে অসুস্থ করে দিয়েছে। বিলিরুবিন হচ্ছে একটি সামান্য উপাদান কিন্তু সেটা যদি আমাদের শরীরে বেড়ে যায় অথবা কমে যায় তাহলে অবশ্যই আমরা অসুস্থ হব।

বিলিরুবিন যদি বেড়ে যায় তাহলে কি করতে হবে এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় এই সমস্যা হয়েছে তখন অবশ্যই একজন ভালো মানের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তিনি আপনাকে যেভাবে থাকতে বলবেন আপনাকে সেই ভাবে থাকতে হবে এবং অবশ্যই কিছু নিয়ম মানতে হবে যে নিয়মগুলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই অংশের নিচের দিকে আপনাদের সেই নিয়মগুলো সম্পর্কে জানাবো এটা মানলেই আপনি এই সমস্যা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেন।

বিলিরুবিন কেন বাড়ে

এটা সাধারণত বেড়ে যায় অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের জন্য। অতিরিক্ত পরিশ্রম করা এবং অতিরিক্ত গরম অথবা রোদে থাকা এবং শরীরের প্রতি একেবারে যত্ন না নেওয়া হতে পারে এটা বাড়ার আরেকটি কারণ। প্রজা তো পরিমাণে পানি না পান করা এটা বাড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে। এছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে যেমন লিভারের বিভিন্ন সমস্যার কারণেও এটা বাড়তে পারে।

বিলিরুবিন টেস্ট

সাধারণত এই টেস্ট করাতে যদি আপনি হাসপাতালে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সবার প্রথমে একজন চিকিৎসক কে দেখাতে হবে। আপনার যে সমস্যা হয়েছে সেই সমস্যা সাধারণত কি সমস্যা সেটা আপনি নিজে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবেন না এর জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে। আপনারা যখন এই চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন অবশ্যই তারা আপনাকে পরামর্শ দেবে এই পরীক্ষা করানো যদি প্রয়োজন হয় আর যদি প্রয়োজন না হয় তাহলে আপনারা এই টেস্ট করাবেন না।

টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না শুধুমাত্র স্যাম্পলের জন্য কয়েক ফোঁটা রক্ত দিতে হয় এটাই। সরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট করাতে খরচ হতে পারে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা এবং যদি বেসরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট করানো হয় তাহলে খরচ হতে পারে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মত।

বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়ার চিকিৎসা

সাধারণত এই জিনিসটা যদি বেড়ে যায় তাহলে সমস্যা হয় শারীরিক দুর্বলতা এবং অনেকের ক্ষেত্রে বমি হওয়া বা খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া। তাই দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত এই সমস্যার সমাধান করার জন্য কয়েকটি পরিকল্পনা এবং কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম। একেবারে শয্যাশায়ী অবস্থায় বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে এবং এই অবস্থাতে আপনি যদি বিশ্রাম গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরের ক্যালরি খুব কম খরচ হবে। শরীরের ক্যালরি খুব কম খরচ হলে আপনার খাওয়া কমে যাবে যা আপনার যকৃতের ওপর চাপ কমিয়ে দেবে। বেশিরভাগ সময় যকৃত যখন কাজ করবে না তখন তার মধ্যে থাকা প্লীহা সেখান থেকে আর বিলুরুবিন উৎপাদন করবে না যার ফলে আপনার রক্তে থাকা অতিরিক্ত বিলিরুবিন আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।

এরপরে যে পরিকল্পনা সেটা হচ্ছে খাওয়া অবশ্যই এই অবস্থাতে আপনাকে খেতে হবে কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া অথবা অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাওয়া এই অবস্থা দেখে খাওয়া যাবে না। এছাড়া পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে অতিরিক্ত বেশি পানি খাওয়া যাবে না এবং একেবারে কোম্পানি খাওয়া যাবেনা একটি যে আদর্শ মাপ আছে সেই অনুযায়ী আপনাকে পানি পান করতে হবে।