জন্ডিস হলে করণীয় কি

আপনার কি জন্ডিস হয়েছে?? জন্ডিসের উপসর্গ গুলো আপনার শরীরে আছে আপনি মনে করছেন এখন কি করবেন । চিন্তার কোন কারণ নেই আপনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং এর জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে বাড়িতে বসে না থাকে সবার প্রথমে গিয়ে জন্ডিস পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং নিশ্চিত হতে হবে আপনার জন্ডিস হয়েছে কিনা।

জন্ডিস পরীক্ষার পরে আপনি যদি এটা নিশ্চিত হতে পারেন আপনার জন্ডিস হয়েছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্রাম করা এবং আপনি যদি সঠিক নিয়ম মেনে বিশ্রাম করতে পারেন তাহলে স্বাভাবিক যে জন্ডিসগুলো রয়েছে সেগুলো পুরোপুরি সুস্থ হবে। চলুন কিভাবে আপনি জন্ডিসের বিশ্রাম করতে পারেন তার একটি পরিকল্পনা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি।

জন্ডিস হলে কি করবেন

বিলিরুবিন পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি যখন নিশ্চিত হতে পেরেছেন আপনার জন্ডিস হয়েছে কিন্তু সেটা একেবারে স্বাভাবিক পর্যায়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। চিকিৎসক তার পরামর্শ অবশ্যই দেবেন এবং তিনি আপনাকে বিশ্রাম করতে বলবেন কিন্তু আপনি বিশ্রাম টা কিভাবে করবেন তার কোন ধারণা যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলে আমরা সে ধারণা দিতে পারব।বিশ্রাম বলতে এখানে পরিপূর্ণ বিশ্রাম কে বোঝানো হয়েছে এবং আপনি যদি বিশ্রাম না করেন তাহলে আপনার বিপাক বাড়বে যার কারণে যকৃতের উপর চাপ বাড়বে এবং বিলিরুবেন আরও বৃদ্ধি পাবে। যদি সম্ভব হয় যতটা সম্ভব শয্যাশায়ী অবস্থায় থাকুন অর্থাৎ বিছানাতে শুয়ে থাকুন এটা জন্ডিস কমানোর প্রধান শর্ত।

এরপরে যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে স্বাভাবিক খাবার খাওয়া। গ্রামাঞ্চলে একটা নিয়ম আছে জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের কোন ধরনের তরকারি খেতে দেওয়া হয় না এবং তাদের শুধুমাত্র সাদা ভাত এবং ডাবের পানি বা সাদা পানি এ জাতীয়  খাবার খেতে দেওয়া হয়। এগুলো জন্ডিস এর জন্য অবশ্যই ভালো কিন্তু আপনি একেবারেই সাদা ভাত খাবেন অন্য তরকারি খেলে যে জন্ডিসের ক্ষতি হবে এমন নয়। এ অবস্থাতে চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব তরকারিতে মসলা এবং ঝাল এবং তেল বাদ দিয়ে খেতে এবং পুষ্টিকর ও রুচি কর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে।

স্বাভাবিক পাছায় পানি পান করতে হবে এই অবস্থাতে কেউ মনে করেন অতিরিক্ত পানি পান করলে জন্ডিস খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয় কিন্তু এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। স্বাভাবিকভাবে আপনি পানি পান করতে পারেন স্বাভাবিকভাবে দাউয়ের পানি এবং স্বাভাবিকভাবে আখের রস খেতে পারেন অস্বাভাবিকভাবে কিছুই খাবেনা সেটা আপনাকে কোন উপকার দেবে না।জন্ডিস হলে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং মনোবল ভালো রাখা যার মাধ্যমে আপনি মনোবল ভালো রাখতে পারবেন সেটা হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং নিয়মিত গোসল। শীতকাল হোক বা গরম হোক সঠিক সময় নিয়মিত গোসল করতে পারলে আপনার মন মেজাজ ভালো থাকবে যেটা জন্ডিস এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

জন্ডিস হলে যাত্রীদের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এ সময় যেকোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ না করাই উত্তম বলে মনে করা হয়। তবে পেট ব্যথা এবং সাধারণ বমি চিকিৎসার পরামর্শে ওষুধ খাওয়া উচিত এই পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে একজন ভালো মানের চিকিৎসকের কাছ থেকে। আবার অনেক রোগী যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এই ওষুধগুলো খাওয়া উচিত তবে সম্ভব হলে ওষুধ বন্ধ রেখে ইনসুলিন চালানো উচিত এই সময়টুকুর জন্য।জন্ডিস রোগ স্বাভাবিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অবশ্যই এটা খুব সহজেই ভালো হয়ে যাবে কিন্তু যদি এটা খুব দেরিতে ধরা পড়ে তাহলে সেটা সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই আশা করছি আপনারা উপসর্গগুলি দেখে খুব সহজে বুঝতে পারবেন জন্ডিস রোগ এবং এটার চিকিৎসার মাধ্যমে মুক্তি পাবেন।