লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি করবেন

সাধারণত হজম শক্তি কমে যাওয়ার পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ থাকে। আমাদের সবার প্রথমে সেই কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। পৃথিবীতে কোন কিছুই কারণ ছাড়া হয় না তাই আমরা যদি সবার প্রথমে কারণটা খুঁজে বের করতে পারি তাহলে এই ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমাদের সুবিধা হবে। লিভারের হজমশক্তি কমে আসলে সাধারণত কিছু উপসর্গ বা কিছু লক্ষণের মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়।

তবে আপনি যদি এই হজম শক্তি সম্পর্কে ধারণা আগে থেকেই পান তাহলে অবশ্যই দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সেটা ঠিক করার জন্য। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি কিছু খাবার খেতে পারেন যেটা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারে এবং কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন যেটা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও যে কারণে হজম শক্তি কমে গেছে সেই কারণ নির্মূল করার চেষ্টা করতে হবে চিকিৎসার মাধ্যমে।

লিভারের হজম শক্তি কমে গেছে কিভাবে বুঝবেন

হঠাৎ করে হজম শক্তি কমে গেলে অবশ্যই কিছু উপসর্গের মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়। যাদের সাধারণত হঠাৎ করে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায় এবং অল্প খাওয়াতেই পেট ভরে যায় সেটা হজম শক্তি কমে যাওয়ার একটি লক্ষণ। এছাড়াও খাওয়ার পরে দীর্ঘক্ষন সময় ধরে পেট ভারি ভারি ভাব অর্থাৎ আপনি খাবার খেলেন কিন্তু পরবর্তী খাবার খাওয়ার সময় মনে হচ্ছে আপনার সেই খাবার পেটে রয়ে গেছে। এ অবস্থাতেই এই সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা পেটে জ্বালাপোড়া অথবা বদহজমের সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

যদি কারো শরীরে এরকম কোন উপসর্গ দেখা যায় তাহলে নিশ্চিতভাবে সেটা হজম শক্তি কমে যাওয়ার লক্ষণ। এছাড়াও শারীরিক দুর্বলতা এবং শরীরের ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা ও হতে পারে এই হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারণে তাই এই বিষয়গুলো অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

লিভারের হজম শক্তি দূর করার উপায়

হজম শক্তি দূর করার সাধারণত যে উপায়গুলো রয়েছে সেই উপায় গুলো সম্পর্কে এখন আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব। অবশ্য এখানে আপনাদের চোখ গান খোলা রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে তার কারণ হচ্ছে অজমশক্তি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। আমরা যে খাবারগুলো খাই সেগুলো যদি হজমে বাধা প্রাপ্ত হয় তাহলে অবশ্যই স্বাভাবিকভাবে সেটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সবার প্রথমে যে জিনিসটা আমাদের করতে হবে সেটা হচ্ছে পর্যবেক্ষণ করা। আমরা যদি হজম শক্তির কমা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে পারে অর্থাৎ কোন জাতীয় খাবার খেলে আমাদের জিনিসটা সহজে হজম হচ্ছে এবং কোন জাতীয় খাবার খেলে সেটা হজম হচ্ছে না এই জিনিসটা আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে খুব নিখুঁতভাবে। আমরা যদি নিখুঁতভাবে এটা পর্যবেক্ষণ করতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য প্রথম ধাপ হবে।

হজম শক্তি ভালো করার ক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যে শারীরিক ব্যায়ামগুলোতে শরীরের মাঝ বরাবর প্রভাব ফেলে সেই শারীরিক ব্যায়ামগুলো যদি কেউ নিয়মিত করতে পারে তাহলে সেটা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে। বলা যেতে পারে হজম শক্ত বৃদ্ধিতে শারীরিক ব্যায়ামগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঘুম। যেকোনো বয়সের মানুষের যদি পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম না হয় তাহলে সেটা তার শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই অবশ্য হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক করতে হলে আপনাকে স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে হবে।

হজম শক্তির বৃদ্ধি করার খাবার

হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাধারণত এই অবস্থাতে এমন কিছু খাবার নির্বাচন করা উচিত যে খাবারগুলো পাকস্থলীতে যাওয়ার পরে সহজেই হজম হয়। এছাড়াও হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য খাবার এর মধ্যে রয়েছে লেবু পানি। এছাড়াও ঘাট ব্যাক্টেরিয়া বা হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুততর সময়ে বেশি শক্তিশালী করতে আপনারা প্রাকৃতিকভাবে দই খেতে পারেন। দই খাওয়াটা হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।