লিভার নষ্ট হলে করণীয়

লিভার আমাদের শরীরের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমরা সারাদিন যে খাবারগুলো খাই সেগুলো সবার প্রথমে লিভারে প্রবেশ করে এবং সেখানে খাবারগুলো হজম হয়। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াগুলো যদি বাধা প্রাপ্ত হয় তাহলে যেকোনো সময় আমাদের সুস্থতা এবং আমাদের বেঁচে থাকা প্রশ্নের সম্মুখে পড়তে পারে। একজন ব্যক্তির যদি লিভার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সে কতটা দুর্বল এবং তার বেঁচে থাকা কতটা অনিশ্চিত সেটা আমরা বুঝতে পারছি। আজকে জানবো একজন ব্যক্তির লিভার নষ্ট হয়ে গেলে সে কি করতে পারে।

লিভার সাধারণত এমন একটি অঙ্গ যেখানে প্রত্যেকটি খাদ্য উপাদান প্রবেশ করে এবং হজম হয় এবং হজর হওয়ার পরে সেটা শক্তিতে রূপান্তর হয়ে বিভিন্ন জায়গাতে চলে যায়। একজন ব্যক্তি যদি লিভার নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তাকে অবশ্যই চিকিৎসা নিতে হবে তা না হলে লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করতে পারে। যত তাড়াতাড়ি এই রোগ সম্পর্কে আপনি বুঝতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে রোগ মুক্তি পাওয়ার জন্য।

লিভার নষ্ট হলে কি হয়

লিভার নষ্ট হলে সাধারণত অনেক কষ্ট হয় এবং যে কষ্টগুলো হয়ে থাকে সেই কষ্ট সম্পর্কে এখন আপনাদের জানাবো। কেউ চাইবে না তার লিভার নষ্ট হয়ে যাক কিন্তু এই পৃথিবীর নিয়ম মেনেই আপনাকে থাকতে হবে এবং এই পৃথিবীর একটি নিয়ম হচ্ছে অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে লিভার নষ্ট হয় বিভিন্ন সমস্যার কারণে। লিভার যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সবার প্রথমে যেই সমস্যা একজন রোগীর হবে সেটা হচ্ছে পেটের যন্ত্রণা এবং এ যন্ত্রণা এতটাই কষ্টদায়ক হবে যে সেই রোগী এই যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করতে শুরু করবে।

লিভার নষ্ট হলে আরো যে সমস্যা হয় সেগুলো খাওয়া-দাওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ কোন খাবার সেই রোগী খেতে পারবে না এবং যেই খাবার খেতে যাবে সেটা গেলার সঙ্গে সঙ্গে বমি হবে। এই বমি এতটাই তীব্র হবে যে ঘনঘন বমি হবে এবং ভূমির সঙ্গে রক্ত উঠতে পারে এবং প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধ হতে পারে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে বমি হতে হতে প্রচন্ড জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে।

লিভার নষ্টের লক্ষণ

লিভার নষ্ট হয়ে যাওয়ার যে লক্ষণগুলো রয়েছে সেগুলো একইসঙ্গে যদি কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় তাহলে সেটা অবশ্যই চিন্তার ব্যাপার। এক্ষেত্রে যাদের লিভার নষ্ট হয়ে গেছে তাদের খুব তাড়াতাড়ি এই লক্ষণগুলো চোখে আসে যেমন খাওয়া দাওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পেটে প্রচুর ব্যথা। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে যদি লিভারের কোন সমস্যা হয় তাহলে সবার প্রথমে বোঝা যাবে তার রক্ত বমি হয় এই লক্ষণ দেখে।

হঠাৎ করে রোগীর ওজন কমে যাবে এবং রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে রোগী একেবারেই দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও রোগীদের পেট বড় হয়ে যাওয়া এবং পেটের আশেপাশে চুলকানি এবং হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে।

লিভার প্রতিস্থাপন মানে কি

লিভার প্রতিস্থাপন পৃথিবীতে যে বড় অপারেশনগুলো হয় তার মধ্যে একটি। এটা এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নষ্ট হয়ে যাওয়া লিভারকে সম্পূর্ণ বের করে ফেলে সেখানে নতুন একটি লিভার বসানো হয়। এই লিভার প্রতিস্থাপন অপারেশন পৃথিবীতে ঘটা সবথেকে বড় অপারেশনের মধ্যে একটি। এই অপারেশনের পূর্বে অনেক জটিলতা আছে এবং পরেও অনেক জটিলতা আছে এই জটিলতা গুলো কাটিয়ে যদি কেউ লিভার সংগ্রহ করতে পারে তাহলে কেবলমাত্র তার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব। লিভার প্রতিস্থাপন লিভারকে পরিবর্তন করাকে বোঝানো হয়ে থাকে যেটা অত্যন্ত বড় ধরনের একটি ঘটনা।