নবজাতক শিশুর প্রস্রাব না হলে করণীয়

অনেক নবজাতক শিশু জন্মের পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। সাধারণত এই সমস্যাগুলো অত্যন্ত জটিল এবং অত্যন্ত সাংঘাতিক তার কারণ হচ্ছে সেই অবস্থাতে এমনিতেই শিশুর অবস্থা খুব নাচুক থাকে এবং এই সময় যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেটা বড় ধরনের সমস্যা। নবজাতক শিশুর প্রস্রাব অথবা পায়খানা যদি না হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিষয়টি অত্যন্ত চিন্তা। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে একজন শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে তখন থেকে অন্তত ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সে ভালোভাবে মায়ের বুকের দুধ পায় না। এ অবস্থাতে যদি কেউ শাল দুধ খায় তারপরও সেই শালদুধ থেকে সঠিক পরিমাণে প্রস্রাব তৈরি না হতে না পারে যার কারণে প্রস্রাব নাও করতে পারে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।

তবে যদি এরকম বোঝা যায় যে শিশুর প্রস্তাব একেবারেই হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। শিশুর শারীরিক অবস্থা এবং শিশুর ওজন এবং অন্যান্য সমস্যার উপর বিবেচনা করে চিকিৎসকেরা সঠিক চিকিৎসা দেবেন। এই চিকিৎসা সম্পূর্ণই বাস্তব ধর্মের অর্থাৎ সেখানে যে ঘটনা ঘটছে তার ওপর পর্যবেক্ষণ করে মূলত চিকিৎসকের আ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

নবজাতক শিশুরা দিনে সাধারণত কয়বার প্রস্রাব করে

সাধারণত নবজাতক শিশুদের দিনে প্রস্রাব করার কোন লিমিটেশন নেই। এক কথায় বলতে গেলে নবজাতক শিশু যতবার মায়ের বুকের দুধ সেবন করবে প্রায় ততবারই প্রস্রাব করতে পারে। এই প্রস্রাবের পরিমাণ এর থেকে কমও হতে পারে আবার বেশিও হতে পারে। আমার মতে নবজাতক শিশু যদি দিনে বেশি বেশি প্রস্রাব করে তাহলে সেখানে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনাকে খেয়াল করতে হবে সে যতটুকু প্রস্রাব করছে তার থেকে বেশি খাবার খাচ্ছে কিনা।প্রসাবে তুলনায় যদি খাবার খাওয়া সঠিক হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। তবে যদি আপনার মনে হয় খাবার খুব কম খাচ্ছে এবং প্রস্রাব অতিরিক্ত করছে এবং প্রস্রাবে অন্য কোন সমস্যা আছে তাহলে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে এই বিষয়ে পরামর্শ করা উচিত।

বাচ্চাদের প্রসাব পায়খানা ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবেন

সাধারণত শিশু বাচ্চাদের প্রস্রাব পায়খানা বোঝা যায় একটু খেয়াল করলে তার কারণ হচ্ছে তাদের প্রতিদিন একটা নিয়মের মধ্যে প্রসাব পায়খানা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধ যতবার পান করবে সে ততবার প্রস্রাব করবে এটা স্বাভাবিক। আর পায়খানার ক্ষেত্রে কোন কোন শিশু দিনে একবার বা কোন কোন শিশু দুই থেকে তিন দিনে একবার পায়খানা করতে পারে।আবার কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে দিনে দুই তিনবার পায়খানা করতে পারে এটা যদি নিয়মের মধ্যে চলে যায় তাহলে একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। যারা এই বিষয়গুলো নিয়ে দর্শনতা করে তাদেরকে বলবো এ বিষয়গুলো নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না। তবে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নবজাতক শিশুর পায়খানা না হলে করণীয়

নবজাতক শিশুদের যদি চার পাঁচ দিনে একবারও পায়খানা না হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এই অবস্থাতে অবশ্যই নবজাতক শিশুর অভিভাবককে খেয়াল করতে হবে শিশুর পেট শক্ত হয়েছে কিনা। যদি চার পাঁচ দিন পর পর পায়খানা করে তারপরও শিশুর পেট শক্ত না হয় এবং সঠিক সময়ে বাতাস যায় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই।

তবে যদি শিশুদের ক্ষেত্রে পেট অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যায় এবং পেটের ভেতর জ্বালাপোড়ার কারণে শিশু কান্নাকাটি করে তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী খুব অল্প পরিমাণ মানে ঔষধের মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে যাতে ছোট শিশু বাচ্চার পায়খানা নরমাল নিয়মে চলে আসে।