সাধারণত রক্তচাপ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর যেমন ব্যস্ত হয়ে যায় ঠিক তেমন আমাদের শরীরের সবকিছু তেমনি ব্যস্ত হয়ে যায়। যার কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি যদি সেটা না থাকে তাহলে আপনার রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে অথবা আপনার রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
রক্তচাপ কমে যাওয়া উচ্চ রক্তচাপের মত এতটা ভয়ংকর নয় তবে অবশ্যই রক্তচাপ কমে যাওয়া একটি সমস্যা এবং এর কারণে রোগীকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। সাধারণত রক্তচাপ যাদের কমে যায় তাদের বিশেষ কিছু কারণে রক্তচাপ কমে যায় তার প্রধান কারণ হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। তবে এই রাখতেচাপ কমে গেলে আপনি কি করবেন সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো আজকের এই আর্টিকেল থেকে। আশা করছি আপনারা এখান থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক কিছু সংগ্রহ করতে পারবেন।
প্রেসার কমে গেলে করণীয়
হঠাৎ করে যদি রক্তচাপ কমে যায় তাহলে অবশ্যই সেটা কোন সমস্যা না আপনি একটু রেস্ট করলে সেটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে যদি কারো রক্তচাপ নিয়মিত এই কমতে থাকে তাদের অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কারণে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের চেয়ে কম হয়ে যায় যেমন গর্ভবতী অবস্থায়। এই অবস্থাতে অধিকাংশ নারীর ক্ষেত্রে রক্তচাপ কম থাকে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটা ভালো দিক।
যাদের রক্তচাপ কম তাদের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক বিশ্রাম। সঠিক বিশ্রাম নেওয়ার পরে সব থেকে যে বিষয়টিকে খেয়াল রাখতে হবে শারীরিক দুর্বলতা কাটানো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের রোগীদের শারীরিক দুর্বলতা অনেক বেশি অর্থাৎ তারা খুব বেশি খেতে পারে না এবং দুই বেলার মধ্যে এক বেলা খায় একবেলা খায় না। আপনি যদি আপনার নিম্ন রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই এই অভ্যাস আপনাকে পরিত্যাগ করতে হবে এবং প্রতিদিন আপনাকে ভালো-মন্দ তরকারি দিয়ে খেতে হবে তিন বেলায়।
এরপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার মনোবল বৃদ্ধি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। এরপরে যাদের লো প্রেসার আছে তারা অবশ্যই মনকে ভালো রাখতে খেলাধুলা করতে পারেন অথবা বাইরে বেড়াতে যেতে পারেন। এরপরেও যদি সমস্যা আরো বেশি হয় তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন সমস্যার সমাধানের জন্য।
প্রেসার কমে গেলে কি খাবার খাবেন
যদি প্রেশার কমে যায় তাহলে যে খাবারগুলো খাবেন সেগুলো প্রত্যেকটাই ভারি খাবার। তবে চেষ্টা করবেন এখানে টক জাতীয় খাবার কম খেতে কারণ টক জাতীয় খাবারের প্রেসার আরো কমিয়ে দেয়। তাই টক জাতীয় খাবার বাদে যে ভাল খাবারগুলো বর্তমানে পাওয়া যায় সেই খাবারগুলো আপনাকে খেতে হবে।
দু একদিনের জন্য নয় অবশ্যই আপনাকে নিয়ম করে এই ভালো খাবার গুলো প্রতিদিন খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে এর সঙ্গে আমিষের একটি বড় তালিকা আপনার খাবার তালিকায় থাকতে হবে। দুধ এবং ডিম নিয়মিত খেতে হবে। বাদাম জাতীয় যে খাবারগুলো আছে সেগুলো নিয়মিত অবসর সময়ে খেতে হবে এইভাবে আপনি যদি একটি সুন্দর নিয়মের মধ্যে আপনার খাবারকে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনার লো প্রেসার এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।
প্রেসার কমে যাওয়ার লক্ষণ
প্রেসার যদি কমে যায় তাহলে কিভাবে বুঝবেন সাধারণত প্রেশার কমে যাওয়ার প্রাথমিক যে লক্ষণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে মাথা ঘোরা এবং ঘাড়ের আশেপাশে ব্যথা হওয়া। এই সমস্যার কারণে সাধারণত প্রেসার কমে যেতে পারে এবং এটার মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়। আরেকটি বড় কারণ হতে পারে সেটা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা। সব মিলিয়ে এই প্রেশার নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই আপনাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা না হলে এটা সমস্যার কারণ হতে পারে।