প্রেসার যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ। সাধারণত প্রেশার নিয়ন্ত্রণে না থাকার মূল কারণই হচ্ছে দুশ্চিন্তা তার ওপর যদি কেউ শোনে তার হাই প্রেসার হয়েছে তার দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে যায়। চিন্তাকে কোনভাবে কোন ঔষধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না তাই এই ধরনের রোগীদের সবার প্রথমে নিজের মধ্যে এমন একটি শক্তি গড়ে তুলতে হবে যার মাধ্যমে সে তার দুশ্চিন্তাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
অযথা কোন চিন্তা-ভাবনা করে লাভ নেই আপনি চাইলে পরিকল্পনা করতে পারেন আপনার ভবিষ্যতের কিন্তু আপনি যে দুশ্চিন্তাগুলো পড়ছেন সেগুলোতে কোন লাভ হয় না। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রথমে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেটা হচ্ছে দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সম্পূর্ণ বিশ্রামে যাওয়া।
এরপরে আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। সাধারণত যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে যেই কাজটি আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে ওজন কমাতে হবে এবং ওজন কমানোর জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন সবকিছুই আপনাকে করতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার আপনি যতটা কম খাবেন ততই আপনার উচ্চ রক্তচাপের জন্য সেটা ভালো এবং চেষ্টা করতে হবে যে খাবারগুলোতে প্রাকৃতিকগতভাবে পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের বেশি উপাদান আছে সেগুলো খেতে।
প্রেসার কেন বেড়ে যায়
প্রেসার কেন বাড়ে এরকম প্রশ্নের উত্তরে এক কথায় কিছু বলা যায় না। প্রেসার বাড়ার একটা কারণ নেই প্রেসার বাড়ার বহু কারণ আছে যে কারণগুলো আমাদের মধ্যেই বিরাজমান। চলুন আমরা সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ জানার চেষ্টা করি যদি সেই কারণগুলো আমাদের জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা উপকৃত হব। চলুন প্রেসার বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
স্বাভাবিকভাবেই যাদের হাই প্রেসার আছে তাদের একটি বয়স অতিক্রম হওয়ার পরে এই হাই প্রেসার ধরা পড়ে। সাধারণত অতিরিক্ত স্টেজ এবং অতিরিক্ত মানসিক সমস্যার কারণে এবং মানসিক চিন্তার কারণেই এই প্রেসার বাড়তে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন হাই প্রেসার এর জন্য দায়ী অর্থাৎ এতটাই ওজন হয়েছে যে সে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না এর জন্য দায়ী হতে পারে হাই প্রেসার।
এছাড়াও হঠাৎ করে যদি কারো শারীরিক অন্য কোন সমস্যা দেখা যায় যেমন মনে করুন হরমোনের সমস্যা অথবা কিডনির সমস্যা এছাড়াও ডায়াবেটিসের সমস্যা এই ধরনের সমস্যার সঙ্গে হাইপ্রেসার যুক্ত হতে পারে। সাধারণত ওই ওষুধগুলো যদি নিয়ন্ত্রণের না থাকে তাহলে আস্তে আস্তে হাই প্রেসার তৈরি হবে। একটি গবেষণা থেকে গেছে যে কিছু সংখ্যক মানুষের হাই প্রেসার হয় বংশগত কারণে। যাদের বংশে হাই প্রেসার আছে তাদের বংশে অনেক মানুষের এমনিতেই হাই প্রেসার হয়।
হাই প্রেসার এর লক্ষণ
হাই প্রেসার এর লক্ষণ দেখলেই বোঝা যায় সাধারণত যাদের হাই প্রেসার আছে তাদের প্রচুর পরিমাণে গরম লাগে। গরমের দিনে তো সকলকেই গরম লাগে হাই প্রেসার যুক্ত মানুষের শীতের দিনেও গরম লাগে এটা প্রধান লক্ষণ।
হাই প্রেসার আছে এমন মানুষদের সব সময় মাথা ঘোরা এবং মাথাতে চাপ চাপ অনুভূত হয় এবং ঘাড়ের আশপাশ দিয়ে ব্যথা অনুভূত হয়। যাদের হাই প্রেসার আছে তাদের অল্পতেই ঢুকে যাওয়া প্রবণতা আছে অর্থাৎ কিছু কাজ করতে গিয়ে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি তারা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে এটা হাই প্রেসার এর লক্ষণ। এ ছাড়াও হাই প্রেসার এর আরো কিছু লক্ষণ এর মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে ঘুম কমে যাওয়া।
প্রেসার হঠাৎ বেড়ে গেলে কি করবেন
যদি কারো প্রেসার হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই বাড়িতে খুব একটা দেরি করা যাবে না চেষ্টা করতে হবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে আপনি যদি বাড়িতে চেষ্টা করেন তাহলে একটু বিশ্রাম করাতে পারেন অথবা মাথায় একটু ঠান্ডা পানি ঢালতে পারেন এরপরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন।