অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে করণীয়

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না ঠিক যেমন প্রস্রাব হওয়া। রোগীর ছেলে হোক বা মেয়ে হোক অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কারোই ভালো লাগবে না এবং সকলেই চিন্তায় থাকবেন কোন রোগ হয়েছে যার কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে। সবার প্রথমে যেই কাজটি আমাদের করতে হবে সেটা হচ্ছে নিশ্চিত হতে হবে কেন এই ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে অর্থাৎ ছেলে অথবা মেয়ের ক্ষেত্রে প্রস্রাব হওয়ার কারণ ভিন্ন হতে পারে এবং সে রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় না করতে পারলে সঠিক চিকিৎসাও দেওয়া সম্ভব নয় তাই সবার আগে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ বের করতে হবে।

এখানে অনেকেই মনে করেন ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস এটা একেবারে ভুল ধারণা। কয়েকজনের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হওয়ার পরে ঘন ঘন প্রসাব হতে পারে বাদবাকি প্রত্যেকটি মানুষের ক্ষেত্রেই ঘন ঘন প্রস্তাবের কারণ আলাদা তাই চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি এই কারণগুলো সম্পর্কে এবং এর প্রতিকারগুলো সম্পর্কে। আমাদের কাছে প্রচুর তথ্য আছে কি কারনে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় এবং এ প্রস্রাবগুলোর প্রতিকার কিভাবে করা যেতে পারে।

ঘন ঘন প্রস্রাব থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়

আবারো বলছি সবার প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে কেন আপনার ঘন ঘন প্রস্তাব হচ্ছে যদি এটা কোন বড় কোন কারণবশত না হয় তাহলে আপনি প্রাকৃতিক নিয়মে ঘন ঘন প্রস্রাবকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে যে কোন ধরনের মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে ঠেলে দিতে হবে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলোর কারনে ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে সেই সমস্যা গুলো চিকিৎসা করিয়ে নিতে হবে এতে করে এমনিতেই আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব কমে যাবে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম তিন মাস এমনিতেই ঘন ঘন প্রস্রাব বা শেষ মাস অব্দি ঘন ঘন প্রস্রাব থাকে কিন্তু যখন সন্তান হয়ে যাবে তারপর থেকে এ বিষয়টি এমনিতেই ভালো হয়ে যায় তাই এখানে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।

মেয়েদের ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

ছেলে এবং মেয়েদের উভয়ের ক্ষেত্রে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কিছু কারণ আছে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু আলাদা কারণ আছে যেমন গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে গর্ভের সন্তান আসার প্রথম তিন মাসে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। মেয়েদের পেলভিট ইনফ্লামেশন হলেও ঘনঘন প্রস্রাব হতে পারে। প্রসাবের থলিতে ক্যান্সার হলেও প্রসাবে জ্বালাপোড়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে এমনকি রক্ত বের হতে পারে প্রস্তাবের সঙ্গে। এগুলো ছিল মেয়েদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কিছু কারণ কিন্তু উভয়ের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্তাব হওয়ার কিছু কারণ আছে যেগুলো এখন আমরা আপনাদের জানাচ্ছি।

অভাজনিত কারণে বেশি বেশি পানি পান করার ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে শীতকাল বা ঠান্ডা শুষ্ক পরিবেশে মানুষের শরীর খাবে না ওই সময় অতিরিক্ত প্রস্রাব তৈরি হয় যা শরীরের পানি এবং লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। খুব অল্প পরিসরে ডায়াবেটিস এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির টিউমার ও প্রস্রাবের জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি সাহস্যার কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। ব্লাডার ক্যান্সার বা ব্লাডার কিডনিতে পাথর অথবা কিডনি অকেজ হওয়ার মতন বড় রোগের ক্ষেত্রেও ঘন ঘন প্রস্রাব হয় একটি বড় লক্ষণ।

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

এখানে সরাসরি এটা বলা যাবে না ঘন ঘন প্রস্রাবের ক্ষেত্রে কি ঔষধ খাওয়া উচিত তার কারণ হচ্ছে এই প্রস্রাব হবার হাজারো কারণ রয়েছে সবার প্রথমে কারণ চিহ্নিত করতে হবে সঠিক কারণ চিহ্নিত হলেই তারপরে আপনি সেই অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন। আপনার ঘনঘন প্রস্রাব যদি সমস্যার কারণ হয় তাহলে একজন চিকিৎসকের কাছে যান তিনি আপনাকে ভালো পরামর্শ দেবেন বলে আমি মনে করি।