ব্রেস্ট টিউমার হলে করণীয়

মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে ব্রেস্ট টিউমার হচ্ছে একটি বড় ধরনের সমস্যা। এটাকে বড় ধরনের সমস্যা বলার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে এই ব্রিজ টিউমার ব্রেস্ট ক্যান্সারের একমাত্র কারণ। ব্রেস্ট টিউমার কেন হয় সেটা যদি আপনাদের জানা থাকে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন সেটা প্রতিরোধ করার জন্য। তবে আমাদের সমাজে এই ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতামূলক কোন পদক্ষেপ নেই তার কারণ হচ্ছে আমাদের সমাজে মানুষের চক্ষু লজ্জা বেশি। কিন্তু মৃত্যুর কাছে এই চোখ লজ্জার নেই কোন প্রয়োজন আমি যেটা মনে করি।

তাই অবশ্যই আপনাদের এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে যে একজন মেয়ের যদি শরীরে কোন সমস্যা হয় তাহলে সে খোলামেলাভাবে নিজের পরিবারের কাছে কথাগুলো বলতে পারে এমন পরিবেশ তৈরি। বেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণ গুলো বুঝতে পারা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক যেমন ব্রেস্ট টিউমারের ক্ষেত্রে তাই আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব ব্রেস্ট টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে আপনারা যদি এই লক্ষণগুলো বুঝতে পারেন তাহলেই আপনারা এই রোগকে জয় করতে পারবেন।

বেস্ট টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ

বেস্ট টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে প্রচন্ড ব্যথা। সাধারণত যে সকল নারীরা তাদের স্তনে হঠাৎ করে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভব করেন তারা একটু খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে আরো কিছু পরিবর্তন হয়েছে।

ব্যথার সঙ্গে উপসর্গের জন্য সাধারণত স্তনের রং পরিবর্তণ এবং যে জায়গাতে ব্যথা হয়েছে সেই জায়গাটা কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এই অবস্থাতেই এই সমস্যাগুলো একত্রিত থাকলে ধারণা করে নেওয়া হয় টিউমার হতে পারে।

এখানেই শেষ নয় টিউমার হওয়ার আরো কিছু লক্ষণ আছে যেমন হঠাৎ করে স্তন বৃত্ত থেকে রক্ত পড়া। সাধারণত ওখানে টিউমার হলে সাধারণ প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ হয়ে যায় যার কারণে বিভিন্ন সময় রক্তক্ষরণ হতে পারে যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক। এছাড়াও টিউমার যখন বেড়ে উঠতে শুরু করে তখন স্তনের আকার পরিবর্তন হয় অনেক ক্ষেত্রে এটা ওপর থেকেও বোঝা যায়।

এই অবস্থাতে রোগীদের শারীরিক অবস্থার পরিণতি খারাপ হতে পারে। তাদের খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারানো থেকে শুরু করে ওজন কামার মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থাতে যতটা দ্রুত সম্ভব তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

বেস্ট টিউমার এর চিকিৎসা

এক্ষেত্রে চিকিৎসার বিকল্প নেই আপনি যদি বাড়িতে বসে থাকেন তাহলে আপনার ভেতরে থাকা টিউমার আস্তে আস্তে বড় হবে ঠিক আপনার মত। কিন্তু এ টিউমার সুযোগ পেলে আপনাকে মেরে ফেলবে তার কারণ হচ্ছে তার ভেতরে রয়েছে ক্যান্সারের ভাইরাস।

আমার মতে এখন এখানে কোন ধরনের রিস্ক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। যারা অপেক্ষা করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ঔষধ যেমন হোমিও ঔষধ বা অন্যান্য মেডিসিনের মাধ্যমে সেটাকে ছোট করবেন তাদেরকে বলব ছোট করে কোন লাভ নেই সেটা আবার বড় হবে। একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে সার্জারি এবং সেটাকে করাতে হবে খুব নিখুঁতভাবে।

আমরা সকলে অবগত আছি যে মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সৌন্দর্যের অংশ তাই এমন ভাবে সার্জারি করাতে হবে যাতে তাদের সৌন্দর্যজন নষ্ট না হয়। তবে এমন অনেক নারী পাওয়া যাবে যাদের টিউমারের আকার ছিল অনেক বড় বাধ্য হয়ে তাদের সৌন্দর্য নষ্ট করা হয়েছে তার কারণ হচ্ছে এটা না করলে সেই নারী আর জীবিত থাকতে পারতো না।

সার্জারি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এই বিষয়ে অবশ্যই আপনি যে চিকিৎসককে দেখাচ্ছেন তার সঙ্গে পরামর্শ করলে সেটা সবথেকে ভালো হয়। সার্জারির আগে ও পরে কিছু চিকিৎসা করার প্রয়োজন রয়েছে এবং রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করার জন্য অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার এবং মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে পরিবারের সদস্যকে।