এটা যদি ব্যথা হয় তাহলে রোগীকে অনেক কষ্ট করতে হয়। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যারা পেটের ব্যথার কারণে প্রচুর ছটফট করতেন। সাধারণত স্বাভাবিক অবস্থায় পেট অত্যন্ত আরামের জায়গা কিন্তু সেই পেটে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সেই আরাম কে হারাম হতে দেরি হয় না। পেটের ব্যথার সবার প্রথমে করণীয় কাজ হচ্ছে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ১০০% নিশ্চিত হওয়া কি হয়েছে। কোনভাবেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।
আপনি যখন পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার পেটের ব্যথা কম কেন হয়েছে তখন অবশ্যই আপনাকে একজন ভালো বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। তার মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে হবে যদি ঔষধে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ওষুধ খাবেন যদি অপারেশন করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে চেষ্টা করবেন দেরি না করে অপারেশন করাতে। সাধারণত এই সমস্যাগুলো যত দেরি করা হয় ততই বেশি হয় তাই আস্তে আস্তে অপারেশন না করানোর থেকে চেষ্টা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করাতে।
পেটে টিউমার হলে করণীয়
এটা টিউমার হলে কি করবেন এরকম সাংঘাতিক রোগ সাধারণত সকলের হয় না। কিন্তু যাদের পেটে টিউমার হয় তাদের অনেক কষ্ট করতে হয় তার কারণ হচ্ছে এমনিতেই টিউমার এতটাই খারাপ জিনিস যে সেটা আমাদের শরীরের সাধারণ কার্যকলাপকে ব্যাঘাত ঘটায়। বড় ব্যাপার হল এই টিউমারের কারনে ক্যান্সার হতে পারে তাই পেটে টিউমার হলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসা করাতে হবে।
আমার মতে চিকিৎসা বলতে যত দ্রুত সম্ভব এই টিউমারকে অপারেশন করে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। যদিও শুনতে সেটা সহজ দেখাচ্ছে কিন্তু অপারেশন করাটা এতটা সহজ নয় তাই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে অপারেশন করাতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পেটের টিউমার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে ভালো তবে যদি এটা একেবারে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে সেখান থেকে ক্যান্সার সরানো সম্ভাবনা রয়েছে।
শরীরে যত্ন নেওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব তাই যতই ব্যস্ত থাকি না কেন প্রতিদিন অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করব। এতে করে আমি যতটা নিজের শরীরকে সুস্থ রাখছি এর পাশাপাশি আমার পরিবারের ভবিষ্যৎকে ততটাই সুরক্ষিত রাখছি।
পেটে পানি জমলে কি করবেন
পেটে পানি জমা অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সমস্যা। খুব অল্প পরিমাণ রোগীর ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলেও তাদের অনেক কষ্ট করতে হয় এখান থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য। আরেকটি বড় ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে পেটে যদি পানি যাবে তাহলে সেখান থেকে ক্যান্সারের ভাইরাস ছড়াতে পারে তাই প্রাথমিক পর্যায়ে এই পানিকে যদি ধরতে পারা যায় তাহলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব।।
সাধারণত বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে আমাদের পেটে পানি চলতে পারে তবে এই পানি যদি প্রাথমিক অবস্থাতে কোন রোগে বুঝতে না পারে তাহলে সেটা তার ব্যর্থতা যার কারণে তাকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয়। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক লক্ষণ বোঝার পরেও যদি সে বুঝতে না পারে তার পেটে পানি জমেছে তাহলে কিছু করার নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অপারেশনের মাধ্যমে পেটের পানি সম্পূর্ণ বের করা যায় এবং ওষুধের মাধ্যমে সেটা পরবর্তীতে যেন না হয় সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসা
পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত বড় মাপের চিকিৎসা। যাদের পেটের ক্যান্সার হয় তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে হলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে যতটা দ্রুত সম্ভব কেমোথেরাপি দিয়ে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং সার্জারির মাধ্যমে যে অংশে ক্যান্সার হয়েছে সেই অংশ পুরোপুরি অপসারণ করতে হবে। এগুলো সাধারণত ডাক্তারের দায়িত্ব তাই আপনাকে এগুলো চিন্তা না করে চিন্তা করা উচিত আপনি পেটের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।